আব্বাসের নতুন দাবিতে বিপাকে বাম-কংগ্রেস, তীরে এসে তরী ডুববে না-তো, উঠছে প্রশ্ন
আসনের দাবি নিয়ে সমস্যা মিটতেই ফের নিজের পুরনো অবস্থানে ফিরে যেতে চাইছেন পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি (abbas siddiqui)। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, তিনি চাইছেন জোটে হায়দরাবাদের ভোট কাটুয়া মিমকে (aimim) সঙ্গে নিতে
আসনের দাবি নিয়ে সমস্যা মিটতেই ফের নিজের পুরনো অবস্থানে ফিরে যেতে চাইছেন পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি (abbas siddiqui)। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, তিনি চাইছেন জোটে হায়দরাবাদের ভোট কাটুয়া মিমকে (aimim) সঙ্গে নিতে। সূত্রের খবর অনুযায়ী এব্যাপারে সিপিএম (cpm) কোনও মন্তব্য না করলেন, কংগ্রেস (congress) শুরুতেই সেই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে।
বছরের শুরুতেই এসেছিলেন আসাদউদ্দিন
এবছরের শুরুতেই হায়দরাবাদ থেকে পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। সেই সময় তিনি ভোটের আগে আব্বাস সিদ্দিকির জোটের কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন রাজ্যে তাদের (মিম) সঙ্গে জোটের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে আব্বাসের দল। তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জয় বয়ে গিয়েছে। আব্বাসকে ধর্মনিরপেক্ষ বলে বর্ণনা করেছিলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। এরপর তার সঙ্গে এবং তাঁর ভাইনৌসাদ সিদ্দিকির সঙ্গে জোট নিয়ে বৈঠক করেছেন সিপিএম-এর মহঃ সেলিম এবং কংগ্রেসের আব্দুল মান্নানরা।
দলগঠনের আগেই তাঁকে ধর্মনিরপেক্ষ বলেছেন সূর্যকান্ত
সেই সময়ই সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেছিলেন, মিম সাম্প্রদায়িক হলেও আব্বাস নন। কেননা তিনি আব্বাসের ভিডিও শুনেছেন। তিনি কখনও একটি ধর্মের কথা উল্লেখ করেননি। বরং ধর্ম-ব্রণ নির্বিশেষে নিপীড়িত মানুষের কথাই বলেছেন তিনি। পরবর্তী সময়ে দল গঠন করেন আব্বাস সিদ্দিকি। সেই দলের দায়িত্ব তিনি দেন ভাই নৌসাদ সিদ্দিকির হাতে।
একের পর দাবিতে সায় বামেদের, বিরোধিতা অধীরের
আব্বাস সিদ্দিকি প্রথমে বলেছিলেন অন্তত ৭০ আসনে লড়াই করবে তাঁর দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। পরবর্তী সময়ে আইএসএফ বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়ে আলোচনায় বসে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বাম-কংগ্রেস এবং আইএসএফ-এর মধ্যে কখনও দ্বিপাক্ষিক এবং ত্রিপাক্ষিক মিলিয়ে অন্তত ১০ টি বৈঠক হয়েছে। বামের চাইছে আব্বাসের দাবিকে ৩০-৩৫ টি আসনের মধ্যে াটকে রাখতে। এর মধ্যে বামেরা তাদের নিজেদের আসন বলে পরিচিত নন্দীগ্রাম এবং ভাঙড়ের মতো আসন আব্বাসের হাতে ছেড়ে দিতে সম্মত হয়েছে। কিন্তু কংগ্রেসের তরফে অধীর চৌধুরী মুর্শিদাবাদ এবং মালদহের আসন ছেড়ে দিতে নারাজ। জটিলতা তৈরি হওয়ায় আব্বাসের সঙ্গে আলোচনা চালানো কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান ইতিমধ্যেই সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে আলোচনা থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
মিমকে নিয়ে জটিলতা
জোট নিয়ে আলোচনা যখন অনেকটাই এগিয়েছে (বিশেষ করে বামেদের সঙ্গে) সেই সময় আরেক নতুন সমস্যা। এবার বাম-কংগ্রেসের জোটে মিমকে ঢোকাতে সওয়াল করেছেন আব্বাস সিদ্দিকি। তাঁর মতো মিমকে সঙ্গে না নিলে বিহারের মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে। ফলে জোটের ভবিষ্যৎ নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বামেরা এখনই কোনও মন্তব্য না করলেও অধীর চৌধুরী এর বিরোধিতা করেছেন। কেননা আইএসএফকে ধর্মনিরপেক্ষ মানলেও, মিমকে তা বলতে নারাজ বাম-কংগ্রেস উভয়েই। কেননা মিম জোটে যুক্ত হলে জোটের নীতি, আদর্শ কিংবা চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করবে। ইতিমধ্যেই অবশ্য মিম দাবি করেছে তারা আইএসএফকে নিয়েই ব্রিগেডে সমাবেশ করবে। তাহলে বামেদের ডাকা ব্রিগেডে যোগ দেওয়ার পরে মিমের ডাকা ব্রিগেডে যোগ দিলে জোট নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করবে সাধারণ মানুষ।