কিছুতেই রোখা যাচ্ছে না প্রাণঘাতী করোনাকে! লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির সাথে জেলায় জেলায় বাড়ছে কড়াকড়ি
রোখা যাচ্ছে না দামাল করোনাকে! লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির সাথে জেলায় জেলায় বাড়ছে কড়াকড়ি
ইতিমধ্যেই গোটা রাজ্যে করোনা আক্রন্তের সংখ্যা ৪৩ হাজার পার করেছে। পাশাপাশি মারা গেছেন ১১০০-র বেশি মানুষ। পাশপাশি প্রতিটি জেলাতে সংক্রমণের হার অনেকটাই উর্ধমুখী। ইতিমধ্যেই ৩১শে জুলাই পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত কন্টেইনমেন্ট জোনে লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়েছে রাজ্য সরকার।
মালদায় বেড়ে লকডাউনের মেয়াদ
পাশাপাশি সংক্রমণ ঠেকাতে মালদায় আরও দু-দিন বাড়ল লকডাউনের মেয়াদ। যদিও সবজি ও মাছ-মাংসের দোকানে ছাড় দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। সকাল দশটা পর্যন্ত দোকান খোলার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে। যদিও আবারও লকডাউনের ঘোষণা হতেই সোমবার সকাল থেকেই মালদার ইংরেজবাজারের বিভিন্ন এলাকায় মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। ভিড় দেখা যায় রথবাড়ি বাজারেও। ক্রেতা বিক্রেতাদের অনেককেই মাস্ক পড়ে থাকতে দেখা গেলেও অনেক ক্ষেত্রেই সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
বীরভূমে বেড়েছে পুলিশি তত্পরতা
এদিকে করোনা আবহে বীরভূমে পুলিশি তত্পরতা অনেকটাই চোখে পড়েছে। এদিন সকালে সিউরি বাজার এলাকায় কড়া নজরদারি চালায় পুলিশ প্রশাসন । রাস্তায় নামতে দেখা যায় সিউরির মহকুমা শাসক ও সিউরি থানার পুলিশ। মাস্ক না পরে বের হওয়ায় অনেককেই বাড়ি পাঠিয়ে দিতে দেখা যায় পুলিশকে। এদিকে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে পশ্চিম বর্ধমানেও।
কড়াকড়ি বাড়ছে দুর্গাপুরেও
এদিন পুলিশি কড়াকড়ির ছবি দেখা গেছে দুর্গাপুরও। এখন থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত খোলা থাকবে দোকান-পাট। একইসাথে মিনিবাস পরিষেবাও বন্ধ থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি জলপাইগুড়িতে করোনা সংক্রমণ বাড়ায় লকডাউনের মেয়াদ বাড়ল গোটা শহরেই। বাড়ানো হল কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যাও। গতকাল জেলা পুলিশের এক আধিকারিকের করোনা সংক্রমণের কথা জানা যাওয়ার পর এদিন ফের আরও চার জন পুলিশ আধিকারিকের সংক্রামিত হওয়ার কথা জানা যাচ্ছে।
কোন জেলায় কত আক্রান্ত ?
করোনা ঠেকাতে পশ্চিম মেদিনীপুর, জলপাইগুড়ি, মালদা, বীরভূম সর্বত্রই কড়াকড়ি আগের থেকে অনেকটাই বাড়ানো হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে পশ্চিম বর্ধমানে এখনও পর্যন্ত ৩৭২ জন করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেছে। বীরভূমে এই সংখ্যা ৩৫৮। জলপাইগুড়িতে ৭৭৬। চার জেলার মধ্যে শীর্ষেরয়েছে মালদা। সেখানে এখনও পর্যন্ত করোনা সংক্রামিত হয়েছেন ১৭১৫ জন।
গোটা বিশ্বে করোনা আক্রান্তের মতোই হু হু করে বাড়ছে পাকিস্তানের জনসংখ্যা, বলছে সমীক্ষা