শনিবারও বাংলায় সংক্রমণ তিন হাজার ছুঁইছুঁই! ২০ হাজার ছাড়াল অ্যাক্টিভ কেস
গত দুদিন ধরে রাজ্যে পরপর সংক্রমণ প্রায় তিন হাজারের দোরগোঁড়ায়। এই অবস্থায় আজ শনিবার ফের একবার তিনহাজারের কাছে সংক্রমণ। তবে একদিনে যেমন সংক্রমণ বাড়ছে পাল্লা দিয়ে, তেমন হু হু করে বাড়ছে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা। যা রীতিমত ভয় ধ
ফের একবার রাজ্যে তিন হাজার ছুঁইছুঁই! গত দুদিন ধরে রাজ্যে পরপর সংক্রমণ প্রায় তিন হাজারের দোরগোঁড়ায়। এই অবস্থায় আজ শনিবার ফের একবার তিনহাজারের কাছে সংক্রমণ। তবে একদিনে যেমন সংক্রমণ বাড়ছে পাল্লা দিয়ে, তেমন হু হু করে বাড়ছে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা। যা রীতিমত ভয় ধরাচ্ছে।
এই অবস্থায় কড়া কোভিড বিধি লাগু করার কথা বলছেন চিকিৎসকরা। যদিও স্বাস্থ্যভবন পুরো পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বলেই জানা যাচ্ছে।
এক নজরে সংক্রমণের হার-
গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ২ হাজার ৯৬৮। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, শুক্রবার রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৯৫০। শুক্রবারের তুলনায় সামান্যই বেশি। তবে এই নিয়ে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল- ২০,৪৮, ৭৪৯। অন্যদিকে এদিকে তিনজনের নতুন করে মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। শুক্রবারও রাজ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়। শুধু কলকাতাই নয়, রাজ্যের একাধিক জেলাতে সংক্রমণের গ্রাফ উপরের দিকে উঠছে বলেই জানাচ্ছে তথ্য
৯ জেলায় ১০০ এর উপরে সংক্রমণ
গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার কলকাতায় সংক্রমণ উপরের দিকে ছিল। তবে গত ৪৮ ঘন্টায় সমস্ত হিসাব বদলে গিয়েছে। হঠাত করেই উত্তর ২৪ পরগণাতে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। এই জেলায় সংক্রমণ বেড়ে ৭৪৩। এরপরেই রয়েছে কলকাতা। এই জেলাতে ৭৪২ জনের শরীরে করোনা মতো মারণ ভাইরাসের নমুনা মিলেছে বলে জানা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, স্বাস্থ্য দফতরের তরফে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অন্তত ৯ জেলা'তে ১০০ এর উপরের সংক্রমণের হার। যার মধ্যে নদিয়া, হুগলি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণাতে সংক্রমণের হার উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বলেই খবর।
বাড়ছে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যাও
প্রত্যেকদিনই হু হু করে সংক্রমণ বাড়ছে। সঙ্গে বাড়ছে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যাও। আট তারিখ অর্থাৎ শুক্রবার দৈনিক স্বাস্থ্য বুলেটিনে দেওয়া তথ্য ১৮ হাজার ৮৫৬ অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ছিল। আজ শনিবার তা বেড়ে ২১ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। যা মোটেই ভালো ইঙ্গিত নয় বলেই দাবি চিকিৎসকদের। অন্যদিকে দৈনিক পজিটিভিটি রেট আজও রাজ্যে ১৫ শতাংশের উপরে। যা মোটেই সবস্তিদায়ক ছবি নয়। যদিও স্বাস্থ্য দফতরের দাবি রাজ্যে গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই আছে।
দ্বিতীয় স্থানে চলে এসেছে বাংলা।
অন্যদিকে শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়, গোটা দেশেই সংক্রমণ বাড়ছে। যা নিয়ে চতুর্থ ওয়েভের আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সংক্রমণের নিরিখে দেশে দ্বিতীয় স্থানে চলে এসেছে বাংলা।