প্রত্যেকদিন বাড়ছে করোনার সংক্রমণ, পরিস্থিতি সামলাতে স্কুলগুলিতে সেফ হোম বানাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার
প্রত্যেকদিন বাড়ছে সংক্রমণের হার। গোটা দেশের পাশাপাশি বাংলাতেও চোখ রাঙাচ্ছে মারণ এই ভাইরাস। রাজ্য দৈনিক সংক্রমণ প্রায় ২০ হাজারের কাছাকাছি। কীভাবে সংক্রমণের চেন ভাঙা সম্ভব সেটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ সরকারের কাছে।
প্রত্যেকদিন বাড়ছে সংক্রমণের হার। গোটা দেশের পাশাপাশি বাংলাতেও চোখ রাঙাচ্ছে মারণ এই ভাইরাস। রাজ্য দৈনিক সংক্রমণ প্রায় ২০ হাজারের কাছাকাছি। কীভাবে সংক্রমণের চেন ভাঙা সম্ভব সেটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ সরকারের কাছে।
যদিও চিকিৎসক, গবেষকদের দাবি, কড়া লকডাউন এবং দ্রুত ভ্যাকসিনই সংক্রমণের চেন ভাঙতে পারে। কিন্তু ভ্যাকসিন সেভাবে মিলছে না। তবে ইতিমধ্যে বাংলায় লম্বা লকডাউন জারি করা হয়েছে। কিন্তু এরপরেও সংক্রমণ বাড়ছে। এই অবস্থায় বড়সড় সিদ্ধান্ত প্রশাসনের।
স্কুলগুলিতে হবে সেফ হোম
প্রত্যেকদিন বাড়ছে করোনার সংক্রমন। সর্বস্তরের মানুষ এগিয়ে আসছেন। এই অবস্থায় বন্ধ রয়েছে স্কুলগুলি। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় রাজ্যের স্কুলগুলিতে সেফ হোম করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। ইতিমধ্যেই জেলাশাসকদের কাছে চিঠি দিয়েছে শিক্ষা দফতর। অবিলম্বে স্কুলগুলিকে স্যানিটাইজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আরও বেশ কিছু নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।
কেন স্কুলগুলিতে সেফ হোম করার সিদ্ধান্ত?
মনে করা হচ্ছে, বাংলায় অনেকগুলি স্কুল রয়েছে। প্রত্যেকটি জেলাতে ক্রমশ সবগক্রমণ বাড়ছে। এই অবস্থায় স্কুলকে সেফ হোম হিসাবে ব্যবহার করা হলে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা একটু সহজ হবে। এমনটা মনে করা হচ্ছে। প্রতিদিন রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। অনেকেই বাড়িতে রেখে রোগীর চিকিৎসা করাচ্ছেন। যখন হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন, তখন পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। ফলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হচ্ছে। যাঁদের ছোট বাড়ি, সেখানে পরিবারে এক জন আক্রান্ত হলে বাকিদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এগুলি মাথায় রেখে সেফ হোমের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে।
একনজরে বাংলার করোনা পরিসংখ্যান
করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গে বাংলায় ফিরল খানিক স্বস্তি! এই প্রথম দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা আক্রান্তের তুলনায় বেশি। সোমবার টেস্টিং তুলনায় একটু কম হয়েছে। ফলে করোনার দৈনিক সংক্রমণও নেমেছে ১৯ হাজারে। সেইসঙ্গে বেড়েছে করোনায় সুস্থতার সংখ্যা। সোমবার করোনায় সুস্থতার সংখ্যা দৈনিক আক্রান্তের থেকে বেশি। তবে কমছে না মৃত্যু। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, বিগত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ১৯০০৩ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা গতদিন পর্যন্ত ছিল ১১ লক্ষ ৩৩ হাজার ৪৩০ জন। এদিন ১৯০০৩ জন বেড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লক্ষ ৫২ হাজার ৪৩৩ জন। রাজ্যে করোনা সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৩৪৩১। এদিন মৃত্যু হয়েছে ১৪৭ জনের।
দেশেও বাড়ছে সংক্রমণ
সোমবারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট বলেছে দেশে করোনার জেরে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২,৮১,৩৮৬ ছিল। এদিন তার থেকেও নেমে ১৮ মে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, দেশে করোনার জেরে শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২,৬৩,৫৩৩ জন। সুস্থ হয়েছেন ৪,২২,২৩৬ জন। শেষ একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৪,২৩৯ জনের। যে সংখ্যাটাই রীতিমতো উদ্বেগে রাখছে।