আতঙ্কের মধ্যেও স্বস্তির খবর! লকডাউনের মধ্যেও মিলবে এই সমস্ত পরিষেবা, রইল তালিকা
দৈনিক সংক্রমণের হার প্রায় ২১ হাজার ছুঁইছুঁই। এই অবস্থায় লকডাউনের পথেই হাঁটতে বাধ্য হল পশ্চিমবঙ্গ। তবে তা পুরোপুরি না করে জরুরি পরিষেবায় বেশ কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে। ১৬ মে রবিবার থেকে শুরু হয়ে তা আগামী ৩০ মে ভোর পর্যন্ত
প্রত্যেকদিন বাড়ছে সংক্রমণ। দৈনিক সংক্রমণের হার প্রায় ২১ হাজার ছুঁইছুঁই। এই অবস্থায় লকডাউনের পথেই হাঁটতে বাধ্য হল পশ্চিমবঙ্গ। তবে তা পুরোপুরি না করে জরুরি পরিষেবায় বেশ কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে। ১৬ মে রবিবার থেকে শুরু হয়ে তা আগামী ৩০ মে ভোর পর্যন্ত আইন বলবত করা হয়েছে।
রাত নটা থেকে ভোর ৫ টার মধ্যে বাইরে বেরনো যাবে না। জারি করা হয়েছে নাইট কার্ফু। আইন না মানলে আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনটাই কড়া নির্দেশেকা জারি করা হয়েছে।
নির্দেশিকা জারি হতেই প্রস্তুতি পুলিশের তরফে
ইতিমধ্যে রাজ্যের তরফে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। প্রত্যেকটি থানায় এই বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে। সেই মতো পুলিশের তরফে বিভিন্ন জায়গাতে মাইকিং করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে জানানো হচ্ছে সরকারের এই নির্দেশিকা। কি কি করা যাবে, কি কি করা যাবে না সে বিষয়ে জানানো হচ্ছে। বিশেষত বাজার এলাকাগুলিতে পুলিশের তরফে এই মাইকিং করা হচ্ছে।
বাজার খোলা থাকবে ৭-১০ টা
পুরোপুরি বন্ধ থাকবে শপিং কমপ্লেক্স, বার, রেস্তোরাঁ, সিনেমা হল। এগুলিকে আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে বাজার শুধুমাত্র খোলা থাকবে সকাল ৭ টা থেকে ১০টা পর্যন্ত। মিষ্টির দোকান খোলা থাকবে সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত। ৩০ শতাংশ কর্মী নিয়ে চটকল এবং ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে চা-বাগানগুলি খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব।
খোলা থাকবে দুধ ও ওষুধের দোকান, ব্যাঙ্ক
রাজ্য সরকারের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে দুধের দোকান এবং ওষুধের দোকান, চশমার দোকান নির্দিষ্ট সূচি অনুযায়ী খোলা থাকবে। এই দু-ক্ষেত্রে কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। তবে জরুরি পরিষেবা, যেমন চিকিৎসক, নার্স কিংবা সংবাদ মাধ্যমের ক্ষেত্রে পুরোপুরি ছাড় রয়েছে। আর যাঁরা চিকিৎসার প্রয়োজনে বাইরে বেরোবেন তাঁদের ক্ষেত্রেও ছাড় দেওয়া হয়েছে। ব্যাঙ্ক খোলা থাকবে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টো পর্যন্ত।
এছাড়াও খোলা থাকবে
বিয়ে বাড়ির আয়োজন করলেও উপস্থিত থাকতে পারবেন ৫০ জন অতিথি। সৎকারের কাজে থাকতে পারবেন ২০ জন। সমস্ত ই-কমার্স, হোম ডেলিভারি চালু থাকবে। এছাড়াও সুইগি-জোম্যাটোর মতো অনলাইন ফুড ডেলিভারি অ্যাপও ব্যবহার করা যাবে। ওষুধ, চশমা, ইলেকট্রনিক্সের দোকানগুলি খোলা থাকবে। সরকারি-বেসরকারি সমস্ত অফিস বন্ধ থাকলেও খোলা থাকবে চিকিৎসা এবং জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত প্রতিষ্ঠান। চিকিৎসা এবং জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সবার জন্য থাকবে গণপরিবহণে ছাড়। ওষুধ, চিকিৎসার সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক কারখানা বা সংস্থা খোলা থাকবে। জরুরি পরিষেবায় চালু থাকবে ট্যাক্সি। পণ্য পরিবহণে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও জরুরি পণ্য পরিবহণে রয়েছে ছাড়।
বন্ধ থাকবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস
নবান্নে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আপাতত ১৬ মে ভোর ছটা থেকে ৩০ মে ভোর ছটা পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী করা হবে। এই সময়ের মধ্যে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সরকারি এবং বেসরকারি অফিস বাদ দিয়ে সব সরকারি ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। তবে চালু থাকবে অনলাইন পরিষেবা। তবে সরকারি ঘোষণায় লকডাউন শব্দটিকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে বারবার বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞা বা বিধিনিষেধের কথা।