করোনা দ্রুত ছড়াচ্ছে রাজ্যে ও কলকাতায়, ২৪ ঘন্টায় দ্বিগুণ সংক্রমণ! একনজরে জেলাগুলির করোনা আপডেট
বৃহস্পতিবার, ৩০ ডিসেম্বর রাজ্যে করোনা (coronavirus)আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের তুলনায় দ্বিগুণ। আর গত চার দিনের হিসেব ধরলে প্রায় চার গুণের মতো। মৃতের সংখ্যা সংখ্যা একই রয়েছে। এদিনও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিন নতু
বৃহস্পতিবার, ৩০ ডিসেম্বর রাজ্যে করোনা (coronavirus)আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের তুলনায় দ্বিগুণ। আর গত চার দিনের হিসেব ধরলে প্রায় পাঁচ গুণের মতো। মৃতের সংখ্যা সংখ্যা একই রয়েছে। এদিন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২১২৮ জন। সুস্থতার হার কমে হয়েছে, ৯৮.২৫% । এদিন সুস্থ হয়েছেন ১,০৬৭ জন।
চার দিনে আক্রান্ত ৫ গুণ
২৭ ডিসেম্বর সারা রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪৩৯ জন। ২৮ ডিসেম্বর তা বেড়ে হয় ৭৫২। ২৯ ডিসেম্বর তা বেড়ে হয় ১০৮৯ জন। আর ৩০ ডিসেম্বর আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে আগের দিনের তুলনায় দ্বিগুণ, ২১২৮ জন।
একনজরে বাংলার করোনা পরিসংখ্যান
স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, বিগত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ২১২৮ জন। বুধবার যা ছিল ১০৮৯ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ লক্ষ ৩৫ হাজার ০৩৪ জন। রাজ্যে করোনা সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯, ৭৫৭। এদিন মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। বুধবারও সংখ্যাটা ছিল ১২ জন।
মোট আক্রান্তের নিরিখে পরিসংখ্যান
রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মোট আক্রান্ত ১৬ লক্ষ ৩৫ হাজার ০৩৪ জনের মধ্যে এই মুহূর্তে সক্রিয় করোনা রোগী ৮৭৭৬ জন। এদিন সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ১০৪৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা মুক্ত হয়েছেন ১০৬৭ জন। মোট করোনা মুক্ত হলেন ১৬ লক্ষ ০৬ হাজার ৫০১ জন।
কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় করোনা পরিসংখ্যান
কলকাতায় এদিন করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ১০৯০ (৫৪০)। উত্তর ২৪ পরগনায় ৩১৫ (১৪৫) জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। করোনায় শুধু কলকাতায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫৩১৫ জন। আর উত্তর ২৪ পরগনায় মৃতের সংখ্যা ৫০১৪। কলকাতায় এদিন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ৬৮৩ জন।
এদিন পর্যন্ত কলকাতায় মোট করোনা আক্রান্ত ৩,৩৫, ৮১৩। বুধবার কলকাতায় ৩ জনের মৃত্যুর পরে এদিনও মৃতের সংখ্যা ৪। এখন পর্যন্ত করোনা মুক্ত হয়েছেন মোট ৩,২৬, ৯০৩ জন। এখনও সক্রিয় করোনা আক্রান্ত ৩৫৯৫ জন।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ৩,৩৬, ৫৯৫ জন। বুধবারের পরে বৃহস্পতিবারেও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত করোনা মুক্ত হয়েছেন মোট ৩, ৩০, ১৮৮ জন। এখনও সক্রিয় করোনা আক্রান্ত ১৩৯৩ জন। এদিন তালিকায় যুক্ত হয়েছেন আরও ১৪০ জন।
কোন জেলায় দৈনিক কত সংক্রমণ
(ব্রাকেটে
আগের
দিনের
আক্রান্তের
সংখ্যা)
গত
২৪
ঘন্টায়
আলিপুরদুয়ারে
১
(৩),
কোচবিহারে
৬
(৭)
,
দার্জিলিং
২৭
(৯),
কালিম্পং
৩
(৪)
,
জলপাইগুড়ি
১২
(১৪),
উত্তর
দিনাজপুরে
৭
(৬),
দক্ষিণ
দিনাজপুরে
২৪
(৪),
মালদহ
১৪
(৪),
মুর্শিদাবাদ
৬
(১),
নদিয়া
৩৬
(১২),
বীরভূম
২০
(৩৫),
পুরুলিয়া
৮
(৩),
বাঁকুড়ায়
১৪
(৮),
ঝাড়গ্রাম
৫
(১),
পশ্চিম
মেদিনীপুর
২৯
(১৫),
পূর্ব
মেদিনীপুর
১৬
(১১),
পূর্ব
বর্ধমান
১৯
(১৮),
পশ্চিম
বর্ধমান
১২১
(৪৭),
হাওড়া
১৫৮
(৭৯),
হুগলিতে
৯১
(৫৯),
উত্তর
২৪
পরগনায়
৩১৫
(১৪৫),
দক্ষিণ
২৪
পরগনায়
১০৬
(৬০)
জন
আক্রান্ত
হয়েছেন।
আক্রান্তের নিরিখে জেলাগুলির মধ্যে এদিন প্রথমে উত্তর ২৪ পরগনা ( ৩১৫), দুনম্বরে হাওড়া (১৫৮), তিন নম্বরে পশ্চিম বর্ধমান (১২১)।
এদিন ১৭ জেলায় মৃত্যুর খবর নেই
এদিন উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং-এ ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহে কোনও মৃত্যু হয়নি এদিন। মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বীরভূম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, হাওড়া থেকেও মৃত্যুর কোনও খবর নেই। দার্জিলিং ছাড়াও এদিন ২ জন করে রোগীর মৃত্যু হয়েছে হুগলি ও উত্তর ২৪ পরগনায়। ১ জন করে রোগীর মৃত্যু হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়।
এদিন যে ১২ জেলায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, সেগুলি হল উত্তর দিনাজপুর (১), দক্ষিণ দিনাজপুর (১৪), মালদহ (৩), পুরুলিয়া (৫), পশ্চিম মেদিনীপুর (৭), পূর্ব মেদিনীপুর (৫), পূর্ব বর্ধমান (৩), পশ্চিম বর্ধমান (৮৩), হাওড়া (৮৯), হুগলি (১৭), উত্তর ২৪ পরগনা (১৪০) এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৩৫)।
রাজ্য জুড়ে করোনার পরীক্ষা
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে জানানো হয়েছে এদিন পর্যন্ত করোনা টেস্ট হয়েছে ২ কোটি ১৩ লক্ষ ৫১ হাজার ০৫৯। ১৫৫ টি ল্যাবরেটরিতে এই পরীক্ষা হচ্ছে রাজ্য জুড়ে। এদিন পরীক্ষা হয়েছে ৩৮, ৮৯৮ জনের। মোট পরীক্ষার নিরিখে করোনা সক্রিতার হার ৫.৪৭ শতাংশ ( মঙ্গলবার যা ছিল ২.৮৪ %) । প্রতি ১০ লক্ষে পরীক্ষা হয়েছে ২, ৩৭, ২৩৪ জনের। আরটিপিসিআর আর অ্যান্টিজেন টেস্টের রেশিও হল ৫৩:৪৭।
৩০ ডিসেম্বর ভ্যাকসিন প্রাপকের সংখ্যা
এদিন সারা রাজ্যে ভ্যাকসিন পেয়েছেন ৪,২১, ৪৪১ জন। প্রথম ডোজ পেয়েছেন ২৭,২৫৬ জন। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৩, ৯৪,১৮৫ জন। এদিন পর্যন্ত রাজ্যে ভ্যাকসিন পেয়েছেন ১০, ৩০, ৫৮, ৮৫৯ জন। যাঁদের মধ্যে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ৬, ৪৩, ৬৪, ০১৪ জন। আর দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৬, ৪৩, ৬৪, ০১৪ জন। এদিন রাজ্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার কেন্দ্রের সংখ্যা ৪৫৩১।