রাজ্যে ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণ, বাড়ল মৃত্যুও! শীর্ষে কলকাতা, একনজরে জেলাগুলির পরিসংখ্যান
বুধবার রাজ্যে করোনা (coronavirus)আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের থেকে অনেকটাই বেড়েছ। সঙ্গে মৃত্যু সংখ্যা বেড়েছে। এদিন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮৫৩ জন। সুস্থতার হার রয়েছে একই, ৯৮.৩০%। এদিন সুস্থ হয়েছেন
বুধবার রাজ্যে করোনা (coronavirus)আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের থেকে অনেকটাই বেড়েছ। সঙ্গে মৃত্যু সংখ্যা বেড়েছে। এদিন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮৫৩ জন। সুস্থতার হার রয়েছে একই, ৯৮.৩০%। এদিন সুস্থ হয়েছেন ৮০৯ জন।
একনজরে বাংলার করোনা পরিসংখ্যান
স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, বিগত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৮৫৩ জন। মঙ্গলবার যা ছিল ৮০৯ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ লক্ষ ০০ হাজার ৭৩২ জন। রাজ্যে করোনা সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯, ২৬৭। এদিন মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। মঙ্গলবার সংখ্যাটা ছিল ১২।
মোট আক্রান্তের নিরিখে পরিসংখ্যান
রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মোট আক্রান্ত ১৬ লক্ষ ০০ হাজার ৭৩২ জনের মধ্যে এই মুহূর্তে সক্রিয় করোনা রোগী ৭৯৪৫ জন। এদিন সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ২৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা মুক্ত হয়েছেন ৮০৯ জন। মোট করোনা মুক্ত হলেন ১৫ লক্ষ ৭৩ হাজার ৫২০ জন।
কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় করোনা পরিসংখ্যান
কলকাতায় এদিন করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ২২৭ (২০২)। উত্তর ২৪ পরগনায় ১৫৩ (১৪৬) জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। করোনায় শুধু কলকাতায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫১৮৪ জন। আর উত্তর ২৪ পরগনায় মৃতের সংখ্যা ৪৮৬৮। কলকাতায় এদিন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ৭ জন।
এদিন পর্যন্ত কলকাতায় মোট করোনা আক্রান্ত ৩,২৪, ৬৩৫। মঙ্গলবার কলকাতায় ৪ জনের মৃত্যুর পরে এদিন মৃত্যুর সংখ্যা ৪। এখন পর্যন্ত করোনা মুক্ত হয়েছেন মোট ৩,১৭, ৩২৪ জন। এখনও সক্রিয় করোনা আক্রান্ত ২১২৭ জন।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ৩,৩০, ৬৪৩ জন। এদিন মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। এখন পর্যন্ত করোনা মুক্ত হয়েছেন মোট ৩, ২৪, ৪০৩ জন। এখনও সক্রিয় করোনা আক্রান্ত ১৩৭২ জন। এদিন তালিকায় যুক্ত হয়েছেন ৯ জন।
কোন জেলায় দৈনিক কত সংক্রমণ
(ব্রাকেটে
আগের
দিনের
আক্রান্তের
সংখ্যা)
গত
২৪
ঘন্টায়
আলিপুরদুয়ারে
২
(৩),
কোচবিহারে
১১
(১০)
,
দার্জিলিং
৫০
(২০),
কালিম্পং
৫
(২)
,
জলপাইগুড়ি
১৭
(১০),
উত্তর
দিনাজপুরে
৭
(৪),
দক্ষিণ
দিনাজপুরে
২৪
(১৬),
মালদহ
২
(১২),
মুর্শিদাবাদ
২
(৫),
নদিয়া
৩৬
(৪০),
বীরভূম
১৪
(১৪),
পুরুলিয়া
২
(১),
বাঁকুড়ায়
১৫
(১৭),
ঝাড়গ্রাম
৭
(৬),
পশ্চিম
মেদিনীপুর
১৭
(২২),
পূর্ব
মেদিনীপুর
১৩
(১২),
পূর্ব
বর্ধমান
৩৬
(১৮),
পশ্চিম
বর্ধমান
১৮
(১৪),
হাওড়া
৫৭
(৬৯),
হুগলিতে
৭৬
(৭৫),
উত্তর
২৪
পরগনায়
১৫৩
(১৪৬),
দক্ষিণ
২৪
পরগনায়
৬২
(
৭০)
জন
আক্রান্ত
হয়েছেন।
আক্রান্তের নিরিখে জেলাগুলির মধ্যে এদিন প্রথমে উত্তর ২৪ পরগনা ( ১৫৩), দুনম্বরে হুগলি (৭৬), তিন নম্বরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৬২)।
এদিনও ১৬ জেলায় মৃত্যুর খবর নেই
থেকেও মৃত্যুর কোনও খবর নেই। এদিন সব থেকে বেশি ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনায়। এরপরেই ২ জন করে রোগীর মৃত্যু হয়েছে জলপাইগুড়ি ও হুগলিতে। ১ জন করে মৃত্যু হয়েছে দার্জিলিং, হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়।
এদিন যে ৯ জেলায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, সেগুলি হল দার্জিলিং (২৫), কালিম্পং (২), জলপাইগুড়ি (৩), দক্ষিণ দিনাজপুর (৫), ঝাড়গ্রাম (১), পূর্ব মেদিনীপুর (১), পূর্ব বর্ধমান (১৫), হুগলি (১২), উত্তর ২৪ পরগনা (৯)
রাজ্য জুড়ে করোনার পরীক্ষা
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে জানানো হয়েছে এদিন পর্যন্ত করোনা টেস্ট হয়েছে ১ কোটি ৯৫ লক্ষ ৭২ হাজার ৮৭৯। ১৫২ টি ল্যাবরেটরিতে এই পরীক্ষা হচ্ছে রাজ্য জুড়ে। এদিন পরীক্ষা হয়েছে ৪২, ১১৩ জনের। মোট পরীক্ষার নিরিখে করোনা সক্রিতার হার ২.০৩ শতাংশ ( মঙ্গলবার যা ছিল ২.১২%) । প্রতি ১০ লক্ষে পরীক্ষা হয়েছে ২, ১৭, ৪৭৬ জনের। আরটিপিসিআর আর অ্যান্টিজেন টেস্টের রেশিও হল ৪৮:৫২।
১০ নভেম্বর ভ্যাকসিন প্রাপকের সংখ্যা
এদিন সারা রাজ্যে ভ্যাকসিন পেয়েছেন ৭,০৩, ৭৪৯ জন। প্রথম ডোজ পেয়েছেন ৩,৪৯, ৩০৫ জন। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৩, ৫৪, ৪৪৪ জন। এদিন পর্যন্ত রাজ্যে ভ্যাকসিন পেয়েছেন ৮, ২৫, ০০, ১৬৩ জন। যাঁদের মধ্যে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ৫, ৯১, ৫৫, ২৯৬ জন। আর দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ২, ৩৩, ৪৪, ৮৬৭ জন। এদিন রাজ্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার কেন্দ্রের সংখ্যা ৪৩১৫।
এবছরেই ফিরছে এমপিল্যাড, সিদ্ধান্ত মোদী ক্যাবিনেটের! সামনের বছর থেকে পুরো টাকা সাংসদদের