
আমাকে আঘাত করতে গিয়ে...! বেআইনি কেস থাকলে প্রমাণ করুক, অভিষেকের পাশে দাঁড়িয়ে তোপ মমতার
কয়লা পাচার-কাণ্ডে ইতিমধ্যে ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গত সোমবার প্রায় ৯ ঘন্টা জেরা করা হয়েছে তাঁকে। তবে নতুন করে আরও বেশ কিছু তথ্য পেতে ফের তাঁকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
আর এই ইস্যুতে ফের একবার অভিষেকের পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তাঁর দাবি, আমাকে আঘাত করতে গিয়ে......কার্যত কিছুটা চুপ হয়ে যান তিনি। এরপর বলেন, আইনত করো আমার কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু এখানে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর মতে, অভিষেকের বিরুদ্ধে বেআইনি কেস থাকলে প্রমাণ করুক। তোমাকে প্রমাণ করতে হবে, তুমি চোর?
শুধু তাই নয়, কলকাতা থেকে কেস কেন দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হল তা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তবে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকারকে জব্দ করতেই ইডি, সিবিআইয়ের মতো তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহার করছে নাকি কেন্দ্র! এদিন ফের একেবার এহেন বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মমতা।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর উপ-নির্বাচন ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে। নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে লড়াইয়ে হেরে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বিধায়ক না হয়েও মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তবে নিয়ম অনুযায়ী ছয়মাসের মধ্যে তাঁকে জিতে আসতে হবে।
সেই মতো পুজোর আগে ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচন করাচ্ছে কমিশন। লড়াই করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর নাম ঘোষণা হতেই কর্মিসভার মাধ্যমে প্রচার শুরু করে দিলেন তিনি। আর প্রথম প্রচারেই একাধিক ইস্যুতে বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে টার্গেট করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
তাঁর দাবি, এজেন্সি দিয়ে সবাইকে ভয় দেখিয়ে চুপ করে রাখানো হয়েছে। অখিলেশ যাদব থেকে শুরু করে শরদ পাওয়ার, এমনকি কংগ্রেসকেও এজেন্সির ভয় দেখিয়ে দমিয়ে রাখা হয়েছে বলে দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর এই প্রসঙ্গ তুলতেই অভিষেক প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তিনি।
তাঁর দাবি, রাজনৈতিক ভাবে লড়াই করতে পারছে না। আর সেই কারনে এই ভাবে এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। কটাক্ষের সুরে ভবানীপুরের প্রার্থী আরও বললেন, "ওদের সংস্থা ডাকলে আমাদের নেতাদের যেতে হবে। কিন্তু আমাদের সংস্থা বিজেপির কাউকে ডাকলে তাঁরা হাজিরা দেওয়ার প্রয়োজন মনে করে না।"
তবে এদিন মমতা তাঁর বক্তব্যে নারদ প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সুব্রত-ফিরহাদের নাম আছে নারদে। আর যে আসল চোর... টাকা নিচ্ছে তাঁর নাম নেই। দেশে কোনও গণতন্ত্র নেই বলেই দাবি মমতার। আর এভাবেই এদিন মোদী-শাহকে আক্রমণ করেন সুপ্রিমো।
তবে এদিন নন্দীগ্রামে তাঁকে হারাতে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল বলেও দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, আমি জানি কে প্ল্যানিং করেছিল আর কি প্ল্যানিং করা হয়েছিল। ইচ্ছাকৃত ভাবে প্ল্যানিং করে তাঁকে হারানো হয়েছে বলে দাবি তাঁর। তবে ফের একবার ভবানীপুরে ফিরে আসাতে তিনি খুশি বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে আগামী গণেশপুজোর দিন মনোনয়ন জমা দিতে যাবেন মমতা।