তৃণমূলের এককালের কর্মচারিরা এখন বিজেপিতে সম্মান পেয়ে 'কার্যকর্তা' ! অর্জুন পর্বের পর মন্তব্য দিলীপের
বঙ্গ বিজেপিতে নেতৃত্ব, ক্ষমতা , ভোট অঙ্ক সমস্ত দিক মিলিয়ে গত এক সপ্তাহে রাজধানী দিল্লিতে পারদ তুঙ্গে ছিল। মুকুল ক্যাম্প বনাম দিলীপ ক্যাম্পের সংঘাতের সমস্ত তথ্যই নাড্ডা শিবিরের কাছে যায়। আর গোটা পরিস্থিতি মুহূর্তে সমাধানের নির্দেশ আসে হাইকমান্ড থেকে। এমন অবস্থায় দিল্লির রুদ্ধদ্বার বৈঠকে অর্জুন সিংয়ের তোপ দিলীপের বিরুদ্ধে যেতেই এবার পাল্টা কটাক্ষের রাস্তায় গেলেন দিলীপ ঘোষ।
দিলীপের তির্যক মন্তব্য
অর্জুন সিংরা বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছেন যে রাজ্য বিজেপিতে তাঁদের কথা শনা হচ্ছে না। রাজ্য বিজপিতে ৩ নেতা ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছেন। এরপরই দিলীপ ঘোষের প্রশ্ন, 'কারা সম্মান পাচ্ছেন না? ' বিজেপির রাজ্য প্রধানের দাবি, তৃণমূলে যাঁরা এককালে কর্মচারি ছিলেন তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়ে সম্মান পেয়ে 'কার্যকর্তা' হয়েছেন।
অর্জুন প্রসঙ্গে দিলীপ
এদিন অর্জুন সিং প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, ' ভবিষ্যতে যাঁরা বিজেপিতে আসবেন , তাঁরাও সম্মান পাবেন। ' , দিলীপ ঘোষের বার্তা, অর্জুন সিং রাজ্যের সহ সভাপতি এবং উত্তর কলকাতার পর্যবেক্ষক হিসাবে রয়েছেন।
বাবুলের মধ্যাহ্নভোজ
জানা গিয়েছে, বিজেপির বঙ্গ প্রধান দিলীপ ঘোষকে ছাড়াই এই মধ্যাহ্নভোজ আয়োজিত হয়েছিল। বাবুলের বাসভবনে গিয়েছিলেন, স্বপন দাশগুপ্ত, অর্জুন সিং, সৌমিত্র খাঁ, জগন্নাথ সরকার,নিশীথ প্রামাণিক সহ একাধিক বিজেপি নেতা। যাঁদের মধ্যে অধিকাংশই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছেন। উল্লেখ্য, এঁদের মধ্যে অর্জুন সিং সরাসরি বিজেপি হাইকমান্ডের কাছে দিলীপের নামে একাধিক অভিযোগও করে এসেছেন।
মধ্যাহ্নভোজের কথা দিলীপ জানতেন না
এদিকে, মঙ্গলবার দিলীপ ঘোষ কলকাতার আসার পরই বাবুল সুপ্রিয়র বাড়িতে এই মধ্যাহ্নভোজ হয়। যার খবর দিলীপ ঘোষের কাছে ছিল না। তবে দিলীপ বাবুর দাবি, কেউ কারোর বাড়িতে খেতে যেতেই পারেন, তা নিয়ে বিজেপি রাজ্য প্রধানের কিছু বলার নেই।
মধ্যহ্নভোজ ও গোষ্ঠী অঙ্ক
উল্লেখ্য,
রাজ্য
বিজেপির
অন্দরে
যে
কাদা
ছোঁড়াছুঁড়ির
খবর
বাইরে
আসছে,
তার
অন্যতম
কারণ
ক্যাম্প
দ্বন্দ্ব।
যে
দ্বন্দ্বের
একটি
দিকে
রয়েছে
মুকুল
ক্যাম্প।
এই
ক্যাম্পের
বেশিরভাগ
সদস্যরাই
বাবুলের
বাড়িতে
আমন্ত্রিত
হয়েছেন
বলে
খবর।
তৃণমূল
থেকে
মুকুলের
হাত
ধরে
আসা
অর্জুন,
সৌমিত্ররা
এদিনের
বৈঠকে
ছিলেন।
এদিকে,
রাজনীতির
অলিন্দে
কান
পাতলেই
শোনা
যায়,
মোদী
ঘনিষ্ঠ
স্বপন
দাশগুপ্তও
মুকুল
ক্যাম্পের
দিকে
ঝুঁকতে
শুরু
করেছেন।
এমনটাই
দাবি
সূত্রের।
যে
স্বপন
দাশগুপ্তও
এই
মধ্যাহ্নভোজে
ছিলেন।
ফলে
এই
মধ্যাহ্নভোজ
বিজেপির
অন্দরে
নতুন
জ্যামিতিক
অঙ্ক
কষেছে
কি
না,
তা
নিয়ে
জল্পনা
রয়েছে।