স্পিকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত চরমে, ধনখড়ের চিঠির জবাবে কড়া বার্তা বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের
স্পিকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত চরমে, ধনখড়ের চিঠির জবাবে কড়া বার্তা বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের
স্পিকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত চরমে উঠেেছ। ধনখড়ের চিঠিক জবাবে পাল্টা স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া চিঠি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তিন দিনের মধ্যে রাজভবনে যাওয়া সম্ভব নয়। রাজ্যপালকে চিঠি লিখে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটার দিবসের দিন থেকেই রাজ্যপালের সঙ্গে স্পিকারের সংঘাত শুরু হয়েছে।
স্পিকারকে তলব রাজ্যপালের
বিধানসভা অধিবেশনে রাজ্যপালকে বলতে দেওয়া হয়নি। কোনওমতে ২ লাইন পাঠ করেই বাজেট অধিবেশনের নিয়ম রক্ষা করেছিলেন জগদীপ ধনখড়। সেদিন থেকেই প্রবল রুষ্ট রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। শাসক দলের বিধায়কদের বিরুদ্ধে রাজ্যপালকে হেনস্থার অভিযোগ করেছিল বিজেপি। তারপরেই এই ঘটনা নিয়ে তিন দিনের মধ্যে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিন দিনের মধ্যে তলব করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
রাজ্যপালকে কড়া বার্তা স্পিকারের
রাজ্যপালের চিঠির পেয়ে ভীষণভাবে অসন্তুষ্ট স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি পাল্টা চিঠি দিয়ে তিনি বলেছেন, কোনওভাবেই তাঁর পক্ষে রাজভবনে যাওয়া সম্ভব নয়। রাজ্যপালের চিঠিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে জানিয়েছেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভা অধিবেশনের কাজে তিনি ব্যস্ত রয়েছেন তাই রাজভবনে যেতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে। বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়েক দাবি রাজ্যপালের পাঠানো চিঠি পুরোটাই পক্ষপাত দুষ্ট বলে দাবি করেছেন তিনি।
রাজ্য সরকার-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে
ভোটার দিবসের দিন থেকেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের বিরোধ চরমে ওঠে। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিল আটকে রাখার অভিযোগ করেছিল রাজ্য সরকার। এই নিয়ে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে স্পিকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিসেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনি বলেছিলেন স্পিকার মিথ্যে বলছেন। একটি বিলও রাজভবনে আটকে নেই। রাজ্য সরকার যা বিল বিধানসভা থেকে রাজভবনে পাঠিয়েছে তা সব সই করা হয়ে গিয়েছে। স্পিকারের বিরুদ্ধে সাংবিধানিক পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
বিধানসভায় তুলকালাম
রাজ্য বিধানসভায় তুলকালাম কাণ্ড হয়েছিল বাজেট অধিবেশনের দিনে। সেদিন রাজ্যপালের ভাষণ দেওয়ার সময় তুমুল বিক্ষোভ হয়েছিল। সেই ঘটনার জেরে দুই বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করেছেন স্পিকার। বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা বিধায়করা হেনস্থা করেছেন রাজ্যপালকে। মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য দাবি করেন, বিধায়কেরা যা করেছেন, তা গণতন্ত্র বাঁচাতেই করেছেন। বুধবার বিধানসভায় শাস্তির প্রস্তাব পেশ করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তারপরেই সুদীপ মুখোপাধ্যায় এবং মিহির গোস্বামীকে সাসপেন্ড করা হয় রাজ্য বিধানসভায়।