'পার্টি অফিস বন্ধ করা হবে' থেকে 'পরিবর্তন তৃণমূলের অন্দরেই শুরু হয়েছে' বার্তা! দিলীপ ঘোষ ফের খবরে
তৃণমূলের অন্দরের ফাটল নিয়ে একচুল জায়গা না ছেড়ে ক্রমাগত রাজ্য রাজনীতির পারদ চড়াতে শুরু করল বিজেপি। এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি এগরায় চায়ে পে চর্চায় যোগ দেওয়ার পর কটাক্ষের পারদ নামা আরও চড়িয়ে দিলেন।

২১ এর পর সব তৃণমূল পার্টি অফিস বন্ধ করা হবে!
'কারখানা বন্ধ করে রাখা হয়েছে,জুট মিল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য কারখারা বন্ধ করা হয়েছে। যেটা ছিল বাকি , দিদিমনির সিঙ্গুরের কারখানাও বন্ধ করা হয়েছে। এই যে বন্ধ করা পার্টি তারা বাংলার সব কিছু বন্ধ করে দিয়ে যাবে। তাই আমরা ঠিক করেছি, ২০২১ সালের পর ওদের পার্টি অফিসের দরজা বন্ধ করে দেব।'

পরিবর্তন নিয়ে দিলীপের কটাক্ষ
এদিকে, এগরার সভার পর এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন তৃণমূল পার্টির যা পরিস্থিতি তাতে পরিবর্তনের ডাক পার্টি দিলেও , মূলত পার্টির ভিতরেই শুরু হয়ে গিয়েছে পরিবর্তন । দিলীপের এহেন কটাক্ষ মূলত, শুভেন্দু সহ একঝাঁক তৃণমূল নেতার দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ঘিরে।

তৃণমূলে চাকরবৃত্তি করানোর অভিযোগ
দিলীপ ঘোষের দাবি, তৃণমূলের অন্দরে কার্যত কর্মী সমর্থকদের চাকরবৃত্তি করানো হচ্ছে। তিনি বলেন, বিজেপিতে অনেক নেতারাই এসেছেন, সেই সুরে তিনি আরও বলেন, ' এসে পদ পয়েছেন, এমএলএ , এমপি করেছি। মুকুল রায়কে এমপি সহ অনেক পদ দেওয়া হয়েছে। ' পাশাপাশি তাঁর দাবি তৃণমূলে থাকতে চাকরবৃত্তি করতে হবে।

দিলীপের খোঁচা ও তৃণমূলের ফিরহাদের জবাব
এর আগেও বহুবার দিলীপ ঘোষ সদ্য তৈরি হওয়া তৃণমূলের ফাটল নিয়ে বহুবার কটাক্ষ করেছেন। যার জবাব দিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন,'ওরা কোনও দিনই বাংলার ক্ষমতায় আসবে না।' তিনি প্রশ্ন তোলেন, পার্টি অফিস বন্ধ করে কি মানুষের মন থেকে তৃণমূলকে মুছে ফেলা যায়? ফিরহাদ বলেন, 'ওরা অনেক কিছুই করতে পারে আমাকে মেরেও দিতে পারে। '