তৃণমূল-বিজেপিকে বিঁধতে বামেরা শান দিচ্ছে গোপন হাতিয়ারে, ফোকাসে প্রচার-যুদ্ধ
জোট আসন রফা নিয়ে এতদিন জোট-জটে আটকে ছিল বামেরা। এবার কোমর কষে ময়দানে নামতে নিজেদের গোপন অস্ত্রে শান দিতে শুরু করে দিয়েছে তারা। গত ১৮ ফেব্রুয়ারির হাইভোল্টেজ ব্রিগেডের পর এবার বামেদের পাখির চোখ দমদার ইস্তেহার তৈরি। একনজরে দেখা যাক বাম শিবিরের অন্দরে কী ঘটছে।
গোপন অস্ত্রে শান শুরু!
জানা গিয়েছে এবার বিজেপি ও তৃণমূলকে বিঁধতে মূলত শিল্প ইস্যুতে জোর দিতে চলেছে বামেরা। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের 'খেলা হবে'র পাল্টা 'শিল্প হবে' স্লোগানে মাত করতে চাইছে বামেরা। সেই জায়গা থেকে তাদের ইস্তেহারে কোন কোন ইস্যু বড় স্থান পেতে চলেছে তাতে নজর রয়েছে বামেদের ভোটব্যাঙ্কের।
মমতাকে সিঙ্গুর খোঁচা!
বাম দুর্গ পতনের বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতিয়ার ছিল সিঙ্গুর আন্দোলন। আর ২০২১ সালে সেই সিঙ্গুরকে হাতিয়ার করেই বামেরা 'কারখানা ওহি বনায়েঙ্গে'র সুর ধরেছেন। বামেদের ইস্তেহারে বিজেপির সুর কে কটাক্ষ করে এইভাবেই শিল্প নিয়ে জোরালো সওয়াল আসতে পারে বলে সূত্রের দাবি।
বামেরা ভোট টানতে কাদের ফোকাসে রাখছে?
মূলত
,
তরুণ
সমাজকে
টার্গেট
করেই
বামেরা
ভোট
প্রচারের
লক্ষ্য
স্থির
করছে।
এজন্য
সিঙ্গুরে
ফের
গাড়ি
কারখানার
সুরও
শোনা
যাচ্ছে
বাম
অন্দরমহল
থেকে।
যাতে
রাজ্যের
বেকাররা
কর্মসংস্থান
পান
তার
লক্ষ্যেই
ইস্তেহারে
পর
পর
ঘুঁটি
সাজাচ্ছে
বামেরা।
এমন
দাবি
সূত্রের।
ফলে
প্রার্থী
তালিকায়
তরুণদের
এনে
ও
ইস্তেহারে
শিল্পকে
আগে
রেখে
বামেরা
যে
যুব
ভোটের
দিকে
নজর
দিচ্ছে
তা
বলাই
বাহুল্য।
আব্বাসদের সঙ্গে নিয়ে কোন ইস্যুতে সরব হতে পারে বামেরা?
এখনও পর্যন্ত যা খবর, আব্বাস সিদ্দিকির মতো নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বামেরা সংখ্যালঘু উন্নয়নকেও জোরালো বার্তা দিতে পারে। সংযুক্ত মোর্চার তরফে তারা আদিবাসী ভোটব্যাঙ্কের দিকেও ফোকাস বাড়িয়ে দিতে পারে প্রচারে। গোটা বিষয়গুলি নিয়ে আপাতত ব্যস্ত বাম থিঙ্কট্যাঙ্ক।