সব বিধানসভা এলাকায় এবার 'গণভোজ' এর আয়োজন তৃণমূলের
ইতিমধ্যেই বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট বেজে গিয়েছে, বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে ঝাঁপিয়েছে শাসক থেকে বিরোধী সব দলই। রাজ্যের লক্ষিত ১২৩ আসন, যেখানে তফসিল, আদিবাসী ও জনজাতি ভোট ফ্যাক্টর। এই সব বিধানসভা এলাকায় এবার 'গণভোজ' এর আয়োজন করল তৃণমূল।

এতদিন তৃণমূল অভিযোগ করছিল বিজেপি নেতারা রাজ্যে এসে আদিবাসীদের বাড়িতে দুপুরের খাবার খেয়ে জনসংযোগ করছে। এবার সেই রাস্তায় হাঁটতে শুরু করছে তৃণমূল, অভিযোগ বিজেপির। লক্ষ্য একটাই আদিবাসী ও জনজাতিদের ভোট নিজেদের দিকে ফেরানো। প্রশান্ত কিশোর আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় জনসংযোগ বাড়াতে তৃণমূলের নেতাদের এই দাওয়াই দিয়েছেন। এমনটাই তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে।
তাই রাজ্যের ৬৮টি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত আসনে এই গণভোজের কর্মসূচি শুরু করবে তৃণমূল নেতারা। এই সব এলাকায় আদিবাসী ও জনজাতি সম্প্রদায়ের নেতাদের সামনে রেখেই হবে এই জনসংযোগ সৃষ্টির কাজ। তৃণমূলের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর দলকে এই দাওয়াই দিয়েছেন।
তৃণমূলের একটা সূত্র জানাচ্ছে, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের তফসিলি অধ্যুষিত আসনগুলোতে তৃণমূল বড় রকমের ধাক্কা খেয়েছে। ২০১৯-এর ভোটের ফলের নিরিখে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের তফসিলি জাতি অধ্যুষিত আসনের ফলে দেখা যাচ্ছে বিজেপি তৃণমূলের প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছে।
রাজ্যের ৬৮টি তফসিলি সংরক্ষিত আসনের মধ্যে ৩৪টি আসন তৃণমূল পেয়েছিল। বিজেপি পেয়েছিল ৩৩টি আসন। আসনের নিরিখে তৃণমূল একটি আসনে বিজেপির চাইতে এগিয়ে থাকলেও ভোট প্রাপ্তির শতকরা হিসেবে তেমন উল্লেখযোগ্য ফারাক কিন্তু ছিল না। কংগ্রেস তফসিলি অধ্যুষিত এলাকায় একটি মাত্র আসনে এগিয়ে ছিল। ২% ভোট পেয়ে কংগ্রেস একটি আসন পেলেও বামেরা ৬% ভোট পেয়েও কোনও আসন কিন্তু তফসিলি সংরক্ষিত কেন্দ্রে পায়নি। তফসিল জনজাতি সংরক্ষিত ১৬ আসনের মধ্যে টিএমসি এগিয়েছিল ৩ আসনে। বাকি সবেতেই বিজেপি। তাই এবার ঘাটতি পূরণে তৃণমূল কোমর বেঁধে তফসিলি ও আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় প্রচারে নামতে চলেছে।