দলীয় কর্মিসভাতেই পঞ্চায়েত ভোঁট নিয়ে বেফাঁস সৌগত, ভোটের মুখে অস্বস্তি বাড়ল তৃণমূলের, ফায়দা তুলতে তৎপর বিজেপি
দলীয় কর্মিসভাতেই পঞ্চায়েত ভোঁট নিয়ে বেফাঁস সৌগত, ভোটের মুখে অস্বস্তি বাড়ল তৃণমূলের, ফায়দা তুলতে তৎপর বিজেপি
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে দলের কর্মিসভায় বেফাঁস মন্তব্য তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়ের। প্রকাশ্য সৌগত রায় বলেছেন পঞ্চায়েত ভোটে জোর না করলেও আমরা জিততাম। সেসময় আমরা ভোটে জিতব বলে যা করেছিলেম সেটা ঠিক ছিল না। ভোটের মুখে সৌগত রায়ের এই মন্তব্য অস্বস্তি বেড়েছে শাসক দলে। যদিও সেসময় যাঁরা শাসক দলের হয়ে কাজ করেছিলেন তাঁরা এখন বিজেপিতে। কিন্তু বিজেপিতে যোগ দিেয়ই সেই দায় ঝেড়ে ফেলেছে তাঁরা। অর্জুন সিং প্রকাশ্যে দাবি করেছে তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে কাজ করেছিলেন তাঁরা।
সৌগতর বিতর্কিত মন্তব্য
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে সৌগত রােয়র বিতর্কিত মন্তব্যে অস্বস্তি বাড়ল শাসক দলে। গতকাল ব্যারাকপুরে দলীয় সভায় সৌগত রায় বলেছেন, পঞ্চায়েত ভোেট জোর না করলেও তৃণমূল কংগ্রেস জিতত। সেসময় জোর করা উচিত হয়নি। জয়ের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস যা করেছে তা ঠিক ছিল না। তারপরেই তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। পঞ্চায়েত ভোটে যে শাসক দল কার্যস ভোট লুঠ করেছে সৌগত রায়ের এই মন্তব্যের পর বিজেপি শিবিরের সেই আভিযোগ নতুন মাত্রা পেয়েছে।
অর্জুনের নিশানা
পঞ্চায়েত ভোটের সময় যাঁরা বিজেপির হয়ে কাজ করেছিল তাঁরা এখন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বিশেষ করে অর্জুন সিং। সৌগত রায়ের এই মন্তব্যের পর একেবারে সুযোগ বুঝে তৃণমূল কংগ্রেসের উপর দায় ঝেড়ে ফেলেছেন বিজেপি নেতা। তিনি বলেছেন সেসময় তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী যা বলেছিলেন সেই নির্দেশ মেনে কাজ করেছিলাম। এতে তাঁদের কী দোষ। নেত্রী যা বলেছেন সেটা মেনেই কাজ হয়েছে।
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে সরব বিজেপি
প্রথম েথকেই পঞ্চায়েত ভোটে শাসক দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েেছ বিজেপি। তাঁরা অভিযোগ করেছিলেন, পঞ্চায়েত ভোট হতে দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস। শাসক দলের নেতা কর্মীরা পঞ্চায়েত ভোট লুঠ করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। মোদী থেকে শাহ সকলেই প্রচারের ময়দানে পঞ্চায়েত ভোটে শাসক দলের ভোট লুঠ নিয়ে সরব হয়েছে। প্রকাশ্যেই তাঁরা দাবি করেছেন বিজেপি ক্ষমতায় এলে কীভাবে সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট হয় সেটা েদখিয়ে দেবে। বাংলার মানুষ স্বাধীনভাবে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
নজির বিহীন নিরাপত্তায় ভোট
একুশের হাই ভোল্টেজ নির্বাচনে নজিরবিহীন নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রতি বুঝে চার জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাজ্য পুলিশ যাতে কিছু করতে না পারে তার চেষ্টা চলছে। অর্থাৎ রাজ্যপুলিসের আগেই যাতেকোনও অশান্তির দায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছে েযতে পারে জন্য বিশেষ পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন।