তৃণমূলের আরও এক মন্ত্রী 'বেসুরো'! মমতার কাছে জানিয়ে রাখলেন 'ক্ষোভ' এর কারণ
তৃণমূলের একাধিক নেতা মন্ত্রী ভোট আসতেই পর পর ছন্দপতনের দিকে যেতে শুরু করেছেন। আগেই 'বেসুরো' হয়ে দল পাল্টেছেন শুভেন্দু অধিকারী থেকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়রা। এরপর একাধিক নেতা নেত্রী ভোটের আগে নিজের কেন্দ্রে দাঁড়ানো নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন। এবার সেই অনন্তুষ্টের তালিকায় নাম এল মঙ্গলকোট বিধানসভার সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর।
সিদ্দিকুল্লার স্পষ্ট দাবি
মঙ্গলকোট নিয়ে তৃণমূলের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী জানিয়েছেন, মঙ্গলকোট থেকে তিনি আর দাঁড়াতে চাননা। এবিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মঙ্গলকোটের তৃণমূলের বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা ২ কোটি ৯৯ ক্ষ টাকার বিধায়ক তহবিলের কাজের খতিয়ান তুলে ধরেছেন।
কেন মঙ্গলকোট চাননা সিদ্দিকুল্লা?
প্রসঙ্গত, দেবশ্রী রায় এর আগে জানিয়েছেন, তিনি আর রায়দিঘি কেন্দ্র থেকে লড়াই করতে চান না ভোটে। ফলে ওই কেন্দ্রে প্রার্থীপদে দেবশ্রী যে থাকতে চাননা তা স্পষ্ট করেছেন তিনি। সেক্ষেত্রে দেবশ্রী তাঁর নাম টোটো কেলেঙ্কারিতে জড়ানোয় অসন্তুষ্ট। এবার সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীও কার্যত একই সুরে জানিয়েছেন, তাঁর কেন্দ্রে তিনি উন্নয়নের কাজ করতে পারছেন না। কাজ না হওয়ায় দলের একাংশের বাধাকে তিনি কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন।
'মঙ্গলকোটের মাটি উত্তপ্ত, আমি শান্তিপ্রিয়'
উল্লেখ্য, নিজের বক্তব্যে সিদ্দিকুল্লার দাবি, 'মঙ্গলকোটের মাটি উত্তপ্ত, আমি শান্তিপ্রিয়'। তিনি বলছেন, যাঁরা তাঁর কাজে বাধা দিচ্ছেন, তাঁরা অবুঝ, তাঁরা বাধা দিয়ে ভুল করছেন।সিদ্দিকুল্লাহ জানান, পূর্ব বর্ধমান জেলা থেকেই তিনি দাঁড়াতে চান। তবে কোথা থেকে দাঁড়াবেন, তা ঠিক করবেন দলনেত্রী। প্রসঙ্গত, রাঢ়বাংলার নেতা অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে বহুদিনের সংঘাত রয়েছে সিদ্দিকুল্লার। বহুবারই তিনি অনুব্রতর বিরুদ্ধে নাম না করে সরব হয়েছেন। এবারও তিনি বেসুরো হওয়ায় চড়ছে জল্পনার পারদ। প্রসঙ্গত, পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম, কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোটের দায়িত্বে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল।
মমতাকে অভিযোগ জানান
এদিকে, জানা গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন সিদ্দিকুল্লা। তিনি সাফ জানিয়েছেন যে কেন তিনি মঙ্গলকোট থেকে লড়তে চাননা। এমনই দাবি সূত্রের। ৫ বছর কাজ করার পর জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে কোথায় সমস্যা হচ্ছে তাও সিদ্দিকুল্লা মমতাকে জানিয়েছেন বলে খবর।