হুগলিতে দাঁড়িয়ে ১৮-০ করার ডাক শুভেন্দুর, সিঙ্গুর ইস্যুতে চাইলেন ক্ষমা
হুগলিতে দাঁড়িয়ে ১৮-০ করার ডাক শুভেন্দুর, সিঙ্গুর ইস্যুতে চাইলেন ক্ষমা
হুগলিতে দাঁড়িয়ে ১৮- শূন্য করার হুশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আজ হুগলির গুড়াপে সভা করতে যান রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারী। সেই সভা থেকেই একদিকে বন সহায়ক নিয়োগ নিয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর নাম নিয়ে উত্তর দিয়েছেন রাজীব। অন্যদিকে, ভোট লুঠ নিয়ে মন্তব্য শুভেন্দুর। তাঁর দাবি, এখন তো ভোট নয়, লুঠ হয়। ফলে বিজেপি কর্মীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমার নম্বর দেওয়া রয়েছে। ফোন করবেন। পাশাপাশি এদিন শুভেন্দু বলেন, একজন তোলাবাজ ভাইপো শুনলে রেগে যাচ্ছেন। এখানেও একজন তোলাবাজ রয়েছে...! তবে কে? তা স্পষ্ট করেননি নন্দীগ্রামের নায়ক।
হুগলিতে দাঁড়িয়ে সিঙ্গুর নিয়ে দুঃখ প্রকাশ শুভেন্দুর!
হুগলিতে দাঁড়িয়ে ফের একবার সিঙ্গুর নিয়ে দুঃখপ্রকাশ শুভেন্দু অধিকারীর। তিনি বলেন, সিঙ্গুরে টাটা ন্যানোর কারখানাকে তাড়ানো মোটেই ঠিক কাজ হয়নি। সেই সময় বলতে পারিনি। আজ এই ঘটনার জন্যে বাংলার যুবক সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন বিজেপির এই নেতা। তাঁর আরও মন্তব্য, সিঙ্গুরে টাটা ন্যানোর কারাখানাকে তাড়িয়ে বেকার যুবকদের স্বপ্ন ধ্বংস করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, এর আগে হুগলিতে দাঁড়িয়ে সিঙ্গুর থেকে ন্যানো কারখানা চলে যাওয়া বিষয়ে মুখ খুলছিলেন মুকুল রায়। সেই সময় নেত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে আন্দোলন করার জন্যে ক্ষমাও চেয়েছিলেন। এবার সেই সিঙ্গুর ইস্যুতে ক্ষমা চাইলেন শুভেন্দু অধিকারীও। যদিও এর আগে সিঙ্গুরে দাঁড়িয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় আসলে ফের সিঙ্গুরে টাকাদের ফিরিয়ে আনবেন তাঁরা।
পরিবর্তন আনতে গেলে ভারতীয় জনতা পার্টিকে জেতাতে হবে।
২০১১ সালে দীর্ঘ বাম জমানার অবসান ঘটিয়ে বাংলায় পরিবর্তনের পরিবর্তন হয়। ক্ষমতায় আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সেটা আসল পরিবর্তন নয় বলেই মনে করেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, আদৌও কি পরিবর্তন হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে বেকার সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। কোনও চাকরি নেই। কটাক্ষ করে বলেন, চাকরি হবে কীভাবে, কোনও শিল্পই তো তৈরি হয়নি। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই সিঙ্গুরে টাটা ন্যানোর কারখানার বিষয়ট তুলে ধরেন শুভেন্দু। বলেন, টাটার ন্যানোর কারখানাকে তাড়িয়ে বেকার যুবকদের স্বপ্ন ধ্বংস করেছে। তবে এবার পরিবর্তনের পরিবর্তনের জন্যে অবস্যই ভারতীয় জনতা পার্টিকে জেতাতে হবে বলে সাধারণ মানষের কাছে আবেদন ছুড়ে দেন প্রাক্তন এই তৃণমূল নেতা। তাঁর মতে, চুপচাপ ফুলে ছাপ দিলে হবে না। পদ্মফুলে ছাপ দিতে হবে। যে পদ্মফুল দিয়ে দেবী দুর্গার বোধন করেছিলেন রামচন্দ্র। অসুর নিধন করা হয়েছিল।
শুভেন্দুকে পাশে রেখেই মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ রাজীবের
এদিনের সভায় শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও ছিলেন প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সকালে উত্তরের একটি জনসভা থেকে নাম না করে রাজীবের বিরুদ্ধে মারাত্মক দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন। বন সহায়ক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে তদন্ত করা হবে বলেও হুশিয়ারি দেন তিনি। যদিও এর কয়েক ঘন্টা পর হুগলির জনসভা থেকে তার জবাব দেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়,'মুখ্যমন্ত্রী ফোনে বলেছিলেন, জেলায় জেলায় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের কোটা দিয়ে দাও।' বীরভূমের এক নেতা সহায়ক পদে নিজের লোক ঢোকাতে চেয়েছিলেন, সেকথাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি বলেছিলেন বলে দাবি করেন রাজীব। সমস্ত কিছু তাঁদের ফোনে রেকর্ড করা আছে বলে এদিন মন্তব্য রাজীবের। কার্যত নাম করে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে রাজীবের হুশিয়ারি, কেঁচো খুড়তে কেউটে বার করবেন না...!
সিঙ্গুর নিয়ে মুকুলের 'পথে'ই চলেছেন শুভেন্দু! সংশোধন করলেন বাম আমলের 'স্লোগান'