মমতা হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীনও তৃণমূলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অব্যাহত, উত্তরের জেলায় ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টায় দল
দলের সুপ্রিমো অসুস্থ। তাঁর নির্বাচনী সভা সহ যাবতীয় কর্মসূচি আপাতত বাতিল হয়েছে। কবে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবেন তা জানা যাচ্ছে না। এদিকে, নেত্রী নিজে জানিয়েছেন প্রয়োজনে তিনি হুইল চেয়ারে প্রচারে নামবেন। এমন এক পরিস্থিতিতে দলের অন্দরে জায়গায় জায়গায় কোন্দল দেখা যাচ্ছে প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকেই।
তৃণমূলের সভা বয়কট দলেরই একাংশের!
এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের ভরতপুর বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী হুমায়ুন কবীর একটি নির্বাচনী সভার ডাক দেন। তা বয়কট করে দেন দলেরই ৩ ব্লক সভাপতি। এছাড়াও বেশ কয়েকজন পঞ্চায়েত প্রধানও এই সভায় যোগ দেননি। আর তার জেরেই চড়েছে জল্পনা।
খবরে হুমায়ুন কবীর!
এদিকে, এমন বৈঠকে দলের একাংশের যোগ না দেওয়ার ঘটনা রীতিমতো রাজনৈতিক জল্পনায় এসে গিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন যে তৃণমূল কর্মীরা তৃণমূলেরই সভায় যোগ দেননি , তাঁরা কার্যত হুমায়ুন কবীরকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন। মনে করা হচ্ছে, এর নেপথ্যে তৃণমূলের আরেক তাবড় নেতার সমর্থকরা রয়েছেন।
কোন্দল থামাতে কোন স্ট্র্যাটেজি
এদিকে, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে যখন সংঘাত চরমে উঠতে শুরু করেছে, তখন কার্যত সমস্যা কাটাতে ময়দানে নেমেছেন জেলার কোঅর্ডিনেটার অশোক দাস। তিনি , হুমায়ুন কবীরের ডাকা বৈঠকে যেমন উপস্থিত ছিলেন, তেমনই হুমায়ুন বিরোধীদের ডাকা বৈঠকেও হাজির ছিলেন। এর সঙ্গেই অশোক দাস এক মাস্টারস্ট্রোক নেন ভোটের আগে।
দলীয় কোন্দল মেটাতে কোন পদক্ষেপ?
মুর্শিদাবাদের অন্দরে কোন্দল মেটাতে অশোক দাস এই রবিবার তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীকে নিয়ে বৈঠকের ডাক দিয়েছেন। এর আগে , এমন দ্বন্দ্বের ঘটনার খবর বাইরে আসায় রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল।
অস্বস্তি অনুব্রত গড় থেকে ইংরেজবাজারে!
শুধু মুর্শিদাবাদ নয়। মালদা থেকে বীরভূমে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর দলের একাংশের ক্ষোভের মুখে তৃণমূলের আরেকাংশ। ইংরেজবাজারে কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী দাবি করেছেন যে তাঁকে প্রচারে সাহায্য করছে না দলের আরেকাংশ। আর দুরবাজপুরে প্রার্থী অপছন্দ বলে অনুব্রত মন্ডলের দ্বারস্থ জেলার তৃণমূলের একাংশ।