মালদহে দলের ভাঙন রুখতে জরুরি বৈঠকে মৌসম, সরলার পদ্ম গমনে কার ইন্ধন, কার নাম করলেন কৃষ্ণেন্দু
মালদহে দলের ভাঙন রুখতে জরুরি বৈঠকে মৌসম, সরলার পদ্ম গমনে কার ইন্ধন, কার নাম করলেন কৃষ্ণেন্দু
মালদহে মুখ পুড়তে চলেছে শাসক দলের। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি বৈঠকে বসলেন মৌসম বেনজির নূর। দলের নেতা কর্মীদের নিয়ে পরিস্থিতি পর্যালোচনায় জরুরি বৈঠক ডেকেছেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মালদহে এবার তৃণমূলের আসন বৃদ্ধির দায়িত্ব মৌসম এবং কৃষ্ণেন্দু নারায়ণকে দিয়ে গিয়েছেন দলনেত্রী। কিন্তু মোদীর ব্রিগেডের পরেই মালদহে শাসক দলের শিবিরে যেন ধস নেমেছে। ঘোষিত প্রার্থী বিজেপিতে যাবেন বলে খবর শোনা যাছে। জেলা পরিষদ হাত ছাড়া হতে পারে তৃণমূল কংগ্রেসের।
জরুরি বৈঠকে মৌসম
ভোটের আগে সংকটে নেমে এসেছে মালদহে। দলের ঘোষিত প্রার্থী পা বাড়িয়েছেন বিজেপির দিকে। এমনকী জেলা পরিষদও হাতছাড়া হওয়ার মুখে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলার নেতাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক ডাকলেন মৌসম বেনজির নুর। মালদহে দলের ভাল ফলের দায়িত্ব মৌসম আর কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর উপর দিয়ে গিয়েছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই গুরু দায়িত্ব নেওয়ার পরেই ভোটের মুখে শাসক দলের নাম ডোবাতে চলেছে মালদহের এক ঝাঁক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কর্মী।
বিজেপিতে সরলা মুর্মু
সকাল থেকে হবিবপুরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সরলা মুর্মুর বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা পারদ চড়তে শুরু করেছে। সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস সরলা মুর্মুকে হবিবপুর কেন্দ্রের প্রার্থী থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। তাঁর জায়গায় প্রদীপ বাস্কেকে প্রার্থী করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে সরলা মুর্মুর শারিক অবস্থা ভাল নেই সেকারণে তাঁকে প্রার্থী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। সূত্রের খবর আজ বিকেলেই হেস্টিংসে বিজেপির কার্যালয়ে বিজেপিতে যোগ দেবেন তিনি।
সরলার বিজেপি গমনের নেপথ্যে কে
সরলা মুর্মুর বিজেপিতে যোগ দানের নেপথ্যে রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর হাত। এমনই দাবি করেছেন কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। কারণ বরাবরই শুভেন্দু অনুগামী ছিলেন সরলা। তৃণমূলের মালদহের দায়িত্বে থাকাকালীন শুভেন্দু এই আদিবাসী নেত্রীর প্রভাবেই জেলা পরিষদ দখল করেছিল বলে দাবি করেছেন তিনি। তাই তিনি যে শুভেন্দুর অনুগামী হবেন সেটা আগে থেকে আন্দাজ করা গিয়েছিল বলে দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা।
জেলা পরিষদের ভাঙন
মালদহের জেলা পরিষদেও বিপুল ভাঙন। ১৫ জন জেলা পরিষদ সদস্য বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে সূত্রের খবর।সেই তালিকায় জেলা পরিষদের সভাধিপতি রয়েছেন বলে সূত্রের খবর। ১৫ জন সদস্য বিজেপিতে যোগ দিলে অনায়াসেই মালদহ জেলা পরিষদ বিজেপির দখলে চলে যাবে বলে মনে করছে রাজনৈিতক মহল। মালদহে এই ভাঙন রুখতেই দলের নেতাদের নিয়ে তড়িঘড়ি বৈঠকে বসেছেন মৌসম বেনজির নূর।