কবে ২০২১-এর নির্বাচনের দিন ঘোষণা, কবেই বা নির্বাচন, ইঙ্গিত উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনের
পরপর দুমাসে দুবার রাজ্য সফরে উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। তিনি দিল্লি ফেরত যাওয়ার পরেই রাজ্য সফরে আসার কথা নির্বাচন কমিশনের (election commission) পুরো বেঞ্চের। তবে বৈঠকে উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন নির্বাচনের দিন নিয়ে ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন।

কড়া হাতে নির্বাচনী কর্মকাণ্ড পরিচালনা! বাংলায় আসতে চলেছে নির্বাচন কমিশনের পুরো বেঞ্চ

উপনির্বাচন কমিশনারের বৈঠক
বুধবার রাজ্যের জেলাশাসক এবং পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে একের পর এক বৈঠক করেন উপনির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। প্রথমে জেলার পুলিশ সুপার এবং পরবর্তী সময়ে জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের জন্য আলাদা বৈঠক হয় বলে জানা গিয়েছে। এদিনও সুদীপ জৈন স্বাস্থ্য, শিক্ষা, স্বরাষ্ট্র, পরিবহণ দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

এপ্রিলের শেষ সপ্তাহের মধ্যে প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা
একদিকে যেমন সিবিএসই বোর্ডের পরীক্ষার দিন ঘোষণা হয়েছে, অন্যদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার দিনই ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। সাধারণভাবে মে-জুন মাসে পরীক্ষাগুলি হবে। এই পরীক্ষাগুলির কোনও ক্ষতি না করেই নির্বাচনের দিন ঘোষণা করতে চায় নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বলেছেন, কমিশন কেরল, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, পশ্চিমবঙ্গ এবং অসমের ভোট প্রক্রিয়া এপ্রিলের মধ্যেই শেষ করতে চায়। বৈঠকে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন সুদীপ জৈন, এমনটাই খবর সূত্রের। উইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতি সপ্তাহে রিপোর্ট পাঠানোর জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কলকাতার পুলিশ সুপার অনুজ শর্মা-সহ একাধিক জেলা পুলিশ সুপারদের তিনি সতর্ক করেছেন বলে জানা গিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে শোকজ ছাড়াই আধিকারিকদের সরাসরি অপসারণ করা হবে বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের দিন ঘোষণা হতে পারে
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচনের দিন ঘোষণা করে দিতে পারে নির্বাচন কমিশন। সূত্রের আরও খবর গতবারের মতো, সাত দফা কিংবা আরও বেশি দফায় ভোট করানো হতে পারে রাজ্যে। তার জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে রাখতে বলা হয়েছে। প্রশাসন ছাড়াও রাজনৈতিকদলগুলির কাছ থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই করে স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করণের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। করোনা পরিস্থিতিতে এবার বুথের সংখ্যা বাড়তে চলেছে। এই সংখ্যা অন্তত ২৫ শতাংশ বাড়বে বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে রাজ্যে পাঠানো আধা সামরিক বাহিনীর সংখ্যাও বাড়বে। তা ৮০০ কোম্পানির আশপাশে হতে পারে। তা যেই সংখ্যাই হোক না কেন, এখনও পর্যন্ত তা এই রাজ্যের ক্ষেত্রে সর্বাধিক হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

বিহার মডেলকে অনুসরণ
করোনা পরিস্থিতিতে ভোট হয়েছে বিহারে। সেই কারণে বিহারে কোন কোন পদ্ধতিতে ভোট হয়েছে, তা পশ্চিমবঙ্গের আধিকারিকদের সামনে তুলে ধরে প্রস্তুতি জোরদার করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।