গুপ্তিপাড়ায় খোঁজ করেছেন মমতা, তাঁর বান্ধবী বুলু-র সন্ধান পেল ওয়ানইন্ডিয়া
৩০বি, হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবন। তার অদূরেই ৩৮ হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট। সেটিই হলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বান্ধবী 'বুলু'-র মামাবাড়ি। দুই বাড়ির লোকজনদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতাও ভালোই। সেই সুবাদেই যাতায়াত, আলাপ। এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রায় ১০ বছরের রাজনৈতিক সঙ্গী বন্দনা গঙ্গোপাধ্যায় ওরফে বুলু। সেই বান্ধবীকেই আজ হুগলির গুপ্তিপাড়ার জনসভায় খুঁজছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদি অনেক বছর পর দেখা মেলে। রাজনৈতিক বক্তব্যের আগে বান্ধবীর সঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর দেখা করার ইচ্ছাপ্রকাশ তাই এক আবেগঘন মুহূর্ত তৈরি করেছিল। না, দেখা হয়নি বান্ধবীর সঙ্গে। তবে তাঁকে খুঁজে পেয়েছে ওয়ানইন্ডিয়া বাংলা।
কাছে, তবু দূরে
কালীঘাটে দুই বাড়ির দূরত্ব যেমন বেশি নয়। আজ যখন হেলিকপ্টারে গুপ্তিপাড়া হাই স্কুল মাঠে মুখ্যমন্ত্রী এসে পৌঁছান, তার অদূরেই ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই বান্ধবীর বাড়ি। সেই বাড়ির ঢিল ছোড়া দূরত্ব দিয়েই সভাস্থলের দিকে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তিনি ছাড়া কারও তো জানা ছিল না বান্ধবীর কথা। সভাস্থলে পৌঁছে হঠাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বান্ধবী বুলু-র সঙ্গে দেখা করতে চাওয়া, বান্ধবীর মঞ্চে এসে পৌঁছানোর জন্য রাস্তা ফাঁকা করার নির্দেশ সব কিছুই তো ছিল। কিন্তু চোখের দেখা হলো না এদিন। গুপ্তিপাড়া এলেন, ফিরেও গেলেন। কাছে এসেও দুই বান্ধবী তাই থেকে গেলেন দূরেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদিও বলেন, এখানে না এলে বুলু নিশ্চয়ই আমার কথা শুনবে। গুপ্তিপাড়া এলে ওর কথা মনে পড়বেই।
দেখা আশির দশকে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই বান্ধবীর খোঁজ পেয়েছে ওয়ানইন্ডিয়া বাংলা। বুলু নামেই বান্ধবীকে ডাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে আশির দশকের গোড়ায় পরিচয়ের সময় তাঁর নাম ছিল বন্দনা গঙ্গোপাধ্যায়। বিয়ের পর হন বন্দনা ভট্টাচার্য। বন্দনাদেবী ও তাঁর ভাই মনোতোষ গঙ্গোপাধ্যায় মামার বাড়ি গেলেই দিদির বাড়িতে যেতেন। পেশায় চিকিৎসক মনোতোষবাবু আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বন্ধু।
১০ বছর একসঙ্গে রাজনীতি
বন্দনাদেবীর স্বামী কয়েক মাস আগে প্রয়াত হন। তারপর থেকে বাড়ির বাইরে বিশেষ বেরোন না। তিনি জানালেন, বিয়ের পরও স্বামী, সন্তানকে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়ে দেখা করেছি। দেখা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরও। তাঁর মা যখন অসুস্থ ছিলেন তখনও গিয়েছি। তারপর আর বিশেষ দেখা হয়নি। পুত্রের বিয়ের নিমন্ত্রণের কার্ড নিয়ে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। কিন্তু বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তখন দিল্লিতে থাকায় দেখা হয়নি। কার্ডটি রেখে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দফতরের দায়িত্বে থাকা মানিক মজুমদার (যিনি কয়েক মাস আগে প্রয়াত হন)-এর কাছে।
আবার অপেক্ষা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ সভায় তাঁকে খুঁজেছেন জানতে পারার পর থেকেই ভিড় করেছে অনেক স্মৃতি। দিদির বান্ধবী বুলু বলছেন, দেখা হলে ভালোই লাগত। পারিবারিক সূত্রে ঘনিষ্ঠতা, সেই সঙ্গে এক দশকের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা রইলেন তাই আবার অপেক্ষায়।