নন্দীগ্রামের লড়াইকে কীভাবে দেখছেন মমতা, কালীঘাট থেকেই চড়ালেন সুর
নন্দীগ্রামের লড়াইকে কীভাবে দেখছেন মমতা, কালীঘাট থেকেই চড়ালেন সুর
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের প্রার্থীপদ নন্দীগ্রাম থেকে ঘোষণার পরই ফোকাস এই মুহূর্তে বিজেপির প্রার্থী তালিকার দিকে। শোনা যাচ্ছে, বিজেপি থেকে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারী ভোটে দাঁড়াতে পারেন। আর তা যদি হয় , তাহলে সম্ভবত প্রথমবার বিধানসভা ভোটের লড়াইয়ে ফোকাস কলকাতা থেকে সোজা সরে গিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরে পড়বে। তবে তা এখনও জল্পনায়। এই জল্পনার মাঝেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন নন্দীগ্রামের ভোট সংঘাতকে তিনি কোন নজরে দেখতে চান।
নন্দীগ্রামে তাঁর বিপক্ষের প্রার্থী নিয়ে মমতার বক্তব্য
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হয় যে তিনি নন্দীগ্রামে বিপক্ষের প্রার্থীকে কী বলতে চান? জবাবে মমতা বলেন, 'আমার কিথু বার্তা নেই সবাই ভালো থাকুক।' এরসঙ্গেই মমতা বলেন, এরসঙ্গে বাকি ২৯৪ আসনেও যাঁরা বিরোধীপক্ষে লড়াই করছেন ,তাঁরা যেন ভালো থাকেন, সুস্থ থাকেন। মজার ছলে মমতার বক্তব্য 'তাঁরা দীর্ঘায়ু হোক। তাঁরা খুব মোচা মোটা হোক। তাঁরা ২০০ বছর করে বাঁচুন। তাঁরা ভালো থাকুন। আর আমি যেন রোগা হই।'
নন্দীগ্রাম প্রথমবার অভূতপূর্ব লড়াইয়ের সাক্ষী হতে পারে!
প্রসঙ্গত, বিজেপি যদি নন্দীগ্রাম থেকে শুভেন্দু অধিকারীকেই দাঁড় করায় তাহলে , কার্যত নন্দীগ্রামই স্থির করে দিতে পারে যে নবান্নের মসনদ কার! ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে বিজেপির তরফে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর তালিকায় বিজেপির তরফে খানিকটা এগিয়ে শুভেন্দু। যদিও এবিষয়ে কোনও নিশ্চিত তথ্য নেই। এদিকে, ঘাসফুল শিবির থেকে মমতা মুখ্যমন্ত্রী পদে হ্যাট্রিকের আশায়। সেই জায়গা থেকে নন্দীগ্রামের লড়াই এবারের ভোটে ফোকাসে।
নন্দীগ্রামের লড়াই নিয়ে মমতা
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামের লড়াই নিয়ে মন্তব্য করে গিয়ে বলেন,' টপ অব দ্য টপ' হতে চলেছে এই লড়াই। প্রসঙ্গত, তৃণমূলের বহু চেষ্টার পরও মান অভিমানের পালা চলেছিল দলের মধ্যে। সময়টা ২০২০ সালের শেষদিক। এরপরই তৃণমূল ত্যাগ করে ২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু। পর্বর্তীকালে শুভেন্দুর গড় নন্দীগ্রামে মমতা সভা করতে গিয়ে সেখান থেকে নিদের প্রার্থীপদ ঘোষণা করেন। জানান নন্দীগ্রাম তাঁর লাকি জায়গা। তিনি সেখান থেকেই দাঁড়াতে চান।
ভবানীপুর ছাড়লেন মমতা !
এদিন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ বার্তায় জানান, তিনি ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে দাঁড়াচ্ছেন না। সেই জায়গায় ভবানীপুর থেকে লড়বেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। মমতা ববেন, যে কথা আমি দিয়ে থাকি, সেকথা আমি রাখি। সেই বার্তা রেখেই কার্যত মমতা সোচ্চার কণ্ঠে জানান দিলেন যে তিনি কেবলমাত্র নন্দীগ্রাম আসন থেকেই দাঁড়াচ্ছেন এবারের ভোটে।
'স্মাইলি ইলেকশান'
'৯ তারিখ ২ টোর সময় ইস্তোহার' ঘোষণা করবেন বলে জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও এদিন রাজ্যের ভোটকে 'স্মাইলি ইলেকশান' বলে দাবি করেন মমতা।
শোভনের কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী রত্না! একুশের ভোটে কি তাহলে স্বামী-স্ত্রী সম্মুখ-সমরে