এখন লড়াইয়ের সময়, অভিমান দূরে সরিয়ে রেখে বেরিয়ে আসুন, অভিমানী দলীয় কর্মীদের বার্তা মমতার
এখন লড়াইয়ের সময়, অভিমান দূরে সরিয়ে রেখে বেরিয়ে আসুন, অভিমানী দলীয় কর্মীদের বার্তা মমতার
এখন আর অভিমান করে বসে থাকার সময় নয়। ঘর থেকে বেরিয়ে এসে লড়াইয়ের ময়দানে নামুন। ক্ষুব্ধ দলীয় কর্মীদের বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকেই এক শ্রেণির তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কর্মী বিদ্রোহী হয়ে উঠেছিলেন। প্রার্থী তালিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন এক শ্রেণির কর্মী, সমর্থক।তাঁদের উদ্দেশ্য করেই পুরুলিয়ার সভা থেকে এই বার্তা দেন তৃণমূল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতার বার্তা
আর অভিমান করে ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যাঁরা এখনও ঘরে বসে আছেন বেরিয়ে আসুন। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামিল হোন। গেরুয়া শক্তিকে রুখতে সকলের এগিয়ে আজার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরুলিয়ার সভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে অভিমানী দলীয়ক কর্নী সমর্থকদের একুশের ভোটে তৃণমূলের পাশে থেকে লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষ
তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর একাধিক জায়গায় অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। প্রকাশ্যে দলের নেতা কর্মীরাই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। একাধিক তারকা প্রার্থীকে বহিরাগত দাবি করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন শাসক দলের নেতা কর্মীরা। বাঁকুড়ায় সায়ন্তিকা, ব্যারাকপুরে রাজ চক্রবর্তী, আসানসোলে সায়নী ঘোষ সহ একাধিক তারকা প্রার্থীকে নিয়ে দলীয় কর্মী সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তাঁদের বহিরাগত দাবি করে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন প্রকাশ্যে।
টিকিট না পেয়ে দলবদল
টিকিট না পেয়ে একাধিত তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক দল বদল করেছেন। শিবপুরের প্রবীণ তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কে এবার টিকিট দেয়নি দল। অভিমানে দলত্যাগী হয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন জটু লাহিড়ি। অন্যদিকে হাওয়াড়ার সাঁকরাইলের বিধায়ক শীতল সর্দারও একই কারণে টিকিট না পেেয় বিদ্রোহী হয়ে বিজেপিেত যোগদিয়েছেন। একসময়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়া সঙ্গী সোনালি গুহও টিকিট না পেয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
ভাঙা পায়ে সভা মমতার
নন্দীগ্রামে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পরেই বিরুলিয়ায় জনসংযোগের সময় পড়ে গিয়ে পায়ে চোট পান মমতা। তৃণমূলকংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে চক্রান্ত করে আক্রমণ করা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু তাঁকে যে দমিয়ে রাখা যাবে না তা প্রমাণ করতেই আজ থেকে হুইল চেয়ারেই প্রচার সভা শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ১৯ এবং ২০ তারিখ তিনি নন্দীগ্রামেও যাবেন বলে জানা গিয়েছে।