বিজেপির চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেই ট্র্যাডিশন ভাঙতে পারেন মমতা! দিদির প্রার্থীপদ নিয়ে জল্পনা মধ্যগগনে
'লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট' কাকে বলে, সেটা সম্ভবত ২০২১ নির্বাচন থেকে বুঝিয় দিতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখনও পর্যন্ত যা খবর সূত্রের, তাতে বাংলার অগ্নিকন্যাকে এবারের ভোটে ট্র্যাডিশন ভেঙে এক অন্য ছকের লড়াইয়ে দেখা যাকে। যে ছকের একটি ডায়মেনশন অবশ্যই বাংলার মসনদে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে হ্যাট্রিকের লড়াই, আর অন্য যুদ্ধটি বিজেপিকে বাংলায় পরাস্ত করা। এই লক্ষ্যে সম্ভবত বিজেপির দেওয়া চ্যালেঞ্জকে গ্রহণ করেই মমতা নিজের প্রার্থীপদে তাক লাগানো চমক নিয়ে আসছেন!
শুভেন্দুর চ্যালেঞ্জ ও মমতার নন্দীগ্রাম বার্তা
নন্দীগ্রাম তাঁর 'লাকি' জায়গা, সেটা নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়েই মমতা ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি নন্দীগ্রাম আসন থেকে লড়তে চাইছেন। এরপর শুভেন্দুর খাসতালুক নন্দীগ্রামে মমতার নামে দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে যায়। কার্যত তখনই বোঝা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্র্যাডিশন ভেঙে নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়াতে চলেছেন। এর আগে ভবানীপুরই ছিল তাঁর আসন। এদিকে, শুভেন্দু অধিকারী এই মর্মে পর পর ২ টি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন বিজেপির তরফে। প্রথমত, শুভেন্দুর দাবি বিজেপি মমতাকে নন্দীগ্রামে ৫০ হাজার ভোটে হারাবে। আর দ্বিতীয়ত মমতাকে নন্দীগ্রাম বাদে কোনও জায়গা থেকে তাঁরা প্রার্থী দেখতে চান না। এই দুই চ্যালেঞ্জ কার্যত মমতার দিকে ছুঁড়ে দেয় বিজেপি।
বিজেপির চ্যালেঞ্জ ও মমতার 'ট্র্যাডিশন' ভাঙার সম্ভাবনা
নামী বাংলা সংবাদমাধ্যম 'সংবাদ প্রতিদিন' এর খবর বলছে , নন্দীগ্রাম থেকেই যে শুধু মমতা ভোটে দাঁড়াচ্ছেন তা নয়। এবার সম্ভবত নিজের লড়াইয়ের আসন কলকাতার ভবানীপুর থেকে নাও দাঁড়াতে পারেন মমতা। এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেন খোদ বাংলার অগ্নিকন্যা। সেক্ষেত্রে ভবানীপুর নয়, মমতা দাঁড়াতে পারেন শুধু নন্দীগ্রাম থেকে। যা তৃণমূলের বহুদিনের পুরনো ট্র্যাডিশন ভাঙার শামিল। যদিও খবরের নিশ্চয়তা এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। এদিন তিনি কালীঘাটে দলীয় প্রার্থীপদ নিয়ে ১২ সদস্যের বৈঠক করেন। তারপরই এই খবর উঠতে শুরু করেছে। ফলে বিজেপির তরফে দেওয়া শুভেন্দুর চ্যালেঞ্জ কার্যত গ্রহণ করে নিয়েই মমতা ভবানীপুর থেকে নাও দাঁড়াতে পারেন। গোটাটাই এখনও 'সম্ভাবনা' স্তরে রয়েছে।
মমতার 'লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট'
শোনা যাচ্ছে, তৃণমূল ২০২১ সালের ভোটের প্রার্থী তালিকায় ব্যাপক চমক আনছে। বহু বয়স্কদের তালিকা থেকে সরিয়ে দিতে পারে তাঁরা। আবার বহু হেভিওয়েটের আসন বদল করা হতে পারে তারা। সেই জায়গা থেকে মমতা নিজে হেভিওয়েট প্রার্থী হয়ে নিজের খাসতালুক ছেড়ে দিয়ে শুধুমাত্র একটি আসন থেকে লড়তে পারেন। এবার প্রশ্ন উঠতে পারে, যে যদি মমতা ভবানীপুর ছেড়ে দেন, তাহলে সেই আসনে কে লড়তে পারেন?
ভবানীপুর থেকে কোন সম্ভাবনা?
নামী সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সম্ভবত ভবানীপুর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারে কোনও সদস্য তথা নেত্রী ঘনিষ্ঠ কেউ ভোটে দাঁড়াতে পারেন। বা দলের কোনও হেভিওয়েট ভবানীপুরে এবারের প্রার্থী হতে পারেন। এদিকে, ভবানীপুরে গত লোকসভা ভোটে বিজেপির ভোটব্যাঙ্কে জোয়ার দেখা গিয়েছিল। সেই জায়গা থেকে ভবানীপুর কোন সমীকরণে থাকতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।
নন্দীগ্রাম ফ্যাক্টর
এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপাতত যে নন্দীগ্রামেই ফোকাস করতে চাইছেন তা স্পষ্ট। ইতিমধ্যেই অখিল গিরিকে ফোন করে তিনি জেলার হালহকিকত ও দলের পরিস্থিতির খোঁজ নেন। এরপর নন্দীগ্রামকে ফোকাসে রেখেই মমতা পারদ চড়াতে পারেন বলে খবর উঠছে।