তৃণমূল-বিজেপির প্রার্থী কে? জানার পরেই নন্দীগ্রাম নিয়ে ফাইনাল কল, আপাতত আব্বাসে না বামেদের
নন্দীগ্রাম একুশের ভোটের শো স্টপার হতে চলেছে। তৃণমূলের প্রেস্টিজ ইস্যু আর বিজেপির দাপট প্রতিষ্ঠার লড়াই। বাংলা দখলে ফের মেজর ফ্যাক্টর নন্দীগ্রাম। হাইভোল্টেজ লড়াই হবে আঁচ করেই সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেছে আলিমুদ্দিন। আব্বাসকে নন্দীগ্রাম আসন ছেড়েও রাশ টেনে নিল বামেরা। তৃণমূল-বিজেপি চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরেই নন্দীগ্রাম নিয়ে ফাইনাল কল হবে আলিমুদ্দিনের এমনই খবর জানা গিয়েছে।

নন্দীগ্রামে আব্বাসকে না
নন্দীগ্রাম আসন প্রথমে আব্বাস সিদ্দিকিকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছিল বামেরা। জোট ধর্ম মেনে আব্বাসকে আসন ছেড়েছিল বামেরা।কিন্তু সেটা ঘোষণা করেই সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নিয়েছে তারা। কারণ নন্দীগ্রাম বড় ফ্যাক্টর হতে চলেছে একুশের নির্বাচনে। তাই আব্বাসকে দিয়েও নন্দীগ্রাম আসন আবার ফিরিয়ে নিল বামেরা। তৃণমূল-বিজেপির প্রার্থী ঘোষণার পরেই নন্দীগ্রাম নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আলিমুদ্দিন।

নন্দীগ্রামে মমতা
একুশের ভোটে নন্দীগ্রাম থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগে থেকেই ঘোষণা করেছেন তিনি। এবার আর ভবানীপুর নয় নন্দীগ্রাম থেকেই প্রার্থী হবেন তিনি। আগামী ১০ মার্চ মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার কথা তাঁর। আগামিকাল শুক্রবারই পূর্ণাঙ্ক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানেই স্পষ্ট হয়ে যাবে কে প্রার্থী হচ্ছে নন্দীগ্রামে।

বিজেপির প্রার্থী কে
নন্দীগ্রাম থেকে শুভেন্দু অধিকারীই প্রার্থী হবে। বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন শুভেন্দু। এই নিয়ে জল্পনা চলছে। তবে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অনুমোদন পেলেই শুভেন্দু অধিকারীই হবেন নন্দীগ্রামে মমতার প্রতিপক্ষ। নন্দীগ্রাম আন্দোলন কার তা প্রমাণ করার লড়াইয়ে মাতবেন তিনি। এই নিয়ে এখন সরগরম রাজনৈতিক মহল।

বাম প্রার্থী কে
প্রথমে আব্বাস সিদ্দিকিকে নন্দীগ্রামের আসন ছেড়ে দিয়েছিল বামেরা। কিন্তু হাইভোল্টেজ লড়াই হবে বুঝতে পেরেই রাশ ফের নিজেদের হাতে নিয়ে নিয়েছে।জোটের আসন রফা প্রায় চূড়ান্ত। বামেরা ১৬৫টি আসনে লড়বে। কংগ্রেস লড়বে ৯২টি আসনে আর আব্বাসের দল লড়বে ৩৭টি আসনে এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে। সম্প্রতি আব্বাস আবার দাবি করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তার টিকিট থাকবে তাঁর হাতে।