আসানসোলকে বিরোধী শূন্য করবে বিজেপি, গেরুয়া শিবিরে এন্ট্রি জিতেন্দ্র তিওয়ারির
আসানসোলকে বিরোধী শূন্য করবে বিজেপি, গেরুয়া শিবিরে এন্ট্রি জিতেন্দ্র তিওয়ারির
সব
জল্পনার
অবসান
ঘটিয়ে
অবশেষে
বিজেপিতে
যোগ
দিলেন
জিতেন্দ্র
তিওয়ারি।
বৈদ্যবাটীতে
দিলীপ
ঘোষের
সভায়
বিজেপিতে
যোগ
দেন
তিনি।
তাঁর
হাতে
দলীয়
পতাকা
তুলে
দেন
বিজেপির
রাজ্য
সভাপতি।
সেই
সভায়
উপস্থিত
ছিলেন
সদ্য
তৃণমূল
কংগ্রেস
থেকে
বিজেপিতে
যোগদানকারী
বিজেপি
নেতা
রাজীব
বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত
কয়েকদিন
ধরেই
তাঁর
বিজেপিতে
যোগদানের
জল্পনা
পারদ
চড়েছিল।
বিজেপিতে জিতেন্দ্র
সেই বিজেপিতেই ভিঁড়লেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। বৈদ্যবাটীকে দিলীপ ঘোষের সভায় যোগ দেন পশ্চিম বর্ধমানের তৃণমূল কংগ্রেস প্রাক্তন জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি। দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে ওঠার পর থেকেই জিেতন্দ্রর বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা পারদ চড়েছিল। দীর্ঘ দিন এই নিয়ে তদ্বির করতে হয়েছে জিতেন্দ্রকে। অবশেষে সব ঠিক ঠাক হয়ে বিজেপিতে যোগদানের পথ সুগম হল। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দিতেন তিনি।
দলের বিরুদ্ধে সরব জিতেন্দ্র
দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন আসানসোলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তিনি অভিযোগ করেছিলেন রাজ্য সরকারের বাধার কারণেই আসানসোল স্মার্ট সিটি হতে পারেনি। কেন্দ্রের স্মার্ট সিটির অনুদানের টাকা আটকে দিয়েছিল মমতা সরকার।তার পরিবর্তে দ্বিগুণ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি গিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু বাস্তবে সেটা করেনি। আসানসোলের উন্নয়নে কোনও টাকাই দেয়নি রাজ্য সরকার।
মান ভাঙাতে উদ্যোগী মমতা
হঠাৎ করে জিতেন্দ্রর বিদ্রোহী হওয়ার ঘটনায় অস্বস্তি বেড়েছিল শাসক দলে। শেষে হস্তক্ষেপ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকের পর অবশেষে জিতেন্দ্র জানান তিনি তৃণমূল কংগ্রেসেই আছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আস্থা রয়েছে তাঁর। জিতেন্দ্রর এই মন্তব্যের পরেও দীর্ঘদিন দলের কোনও কাজে তাঁকে দেখা যায়নি। শোনা যাচ্ছিল আসানসোল-দুর্গাপুরে বাবুল-শুভেন্দু মোকাবিলায় জিতেন্দ্রকে ব্যবহার করবে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু সেটা আর বাস্তবায়িত হয়নি।
বাবুলের সঙ্গে প্রবল বিরোধ
জিতেন্দ্রর সঙ্গে বাবুলের খুব একটা সুসম্পর্ক কোনও দিনই ছিল না। বরবরই বাবুলের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে ছিলেন জিতেন্দ্র। বিজেপি সাংসদের একাধিক কাজে বাধা তৈরি করেছিলেন তিনি। এমনকী জিতেন্দ্রর অনুগামীদের সঙ্গে বাবুলের অনুগামীদের প্রকাশ্যে বিরোধও হয়েছিল। তাই জিতেন্দ্রর বিজেিপতে যোগদানের জল্পনায় খুব একটা খুশি হননি বাবুল সুপ্রিয়। এমকী প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেছিলেন সায়ন্তন বসু, অগ্নিমিত্রা পালরাও।