মতুয়া ভোট ঘিরে তৃণমূলকে পাশার চালে মাত দিতে মরিয়া বিজেপি! ২৭ মার্চ ঘিরে প্রস্তুতি তুঙ্গে
মতুয়া ভোটকে নজরে রেখে বিজেপি ইতিমধ্যেই হেভিওয়েটদের ময়দানে নামিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক যে বিজেপিকে কতটা মাইলেজ দিতে পারে, তার আঁচ লোকসভা ভোট থেকেই পেয়ে গিয়েছিল গেরুয়া শিবির। তবে পরবর্তী পরিস্থিতিতে নাগরিকত্ব ইস্যুতে মতুয়াদের মধ্যে যে ক্ষোভের প্রকাশ দেখা গিয়েছিল , তা প্রশমন করতে রীতিমতো অমিত শাহকে ময়দানে নামতে দেখা যায়। এরপরবর্তী পর্যায়ে মোদীকে ঘিরে উঠছে নয়া খবর।
অমিত শাহের আশ্বাস
এর আগে , ঠাকুর নগরের মাটিতে দাঁড়িয়ে মতুয়াদের প্রতি নাগরিকত্ব নিয়ে আশ্বাস দিয়ে যান অমিত শাহ। সেখানের সভায় ঘিরে পারদ চড়েছিল বহু আগেই। সভা প্রথমবার ভেস্তে যাওয়ার পর ক্ষোভের পারদ চরমে পৌঁছয় ঠাকুরনগরে। পরে সেখানের মাটিতে দাঁড়িয়ে অমিত শাহ বলেছিলেন,' আমরা সেই লোক যাঁরা যা কথা বলি স কাজে সেটাই করি।' এরপরই তিনি আশ্বাস দিয়ে জানান যে কোভিডের টিকাকরণ শেষ হলেই দেশে নাগরিকত্ব নিয়ে আইন লাগু হবে।
কেন মতুয়া ভোট বড় ফ্যাক্টর?
প্রসঙ্গত, মতুয়া ভোট রীতিমতো পারদ চড়িয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলাতে। উত্তরবঙ্গে রাজবংশীদের পর দক্ষিণবঙ্গে হিন্দু ভোটের মধ্যে মতুয়াদের আধিক্য বহু আসনে রয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা থেকে নদিয়ায় ভোটগ্রহণে প্রায় ৭ টি আসনে এই ভোটব্যাঙ্ক প্রভূত প্রভাব ফেলতে পারে বলে খবর। এদিকে, সূত্রের দাবি ২৯৪ আসনের মধ্যে অন্তত ৪৩ থেকে ৫০ টি আসনে মতুয়াদের প্রভাব বেশ চমকপ্রদ হতে পারে এবারের ভোটে। সেই জায়গা থেকে এই ভোটব্যাঙ্ক তৃণমূল ও বিজেপি দুই শিবিরের কাছেই জরুরি।
তৃণমূলের বার্তা
এদিকে, বনগাঁ সহ একাধিক কেন্দ্রে লোকসভা ভোটে পিছিয়ে পড়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এরপর বিধানসভায় সেই জমি দখলে মরিয়া তৃণমূল। কারণ মতুয়া অধ্যুষিত এই কেন্দ্র মমতাকে বহু ভোটের বৈতরণী পার করেছে। সেই জায়গা থেকে গত ডিসেম্বরে মতুয়াদের খাস তালুক গোপাল নগরে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধে পারদ চড়িয়ে নাগরিকত্ব নিয়ে মতুয়াদের 'ভয় পাওায়ার দরকার নেই' বলে বড় বার্তা দিয়ে আসেন।
২৭ মার্চ মোদীর কর্মসূচি
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক নিয়ে গেরুয়া শিবির পারদ চড়াতে শুরু করেছে। মোদীর বাংলাদেশ সফরেও মতুয়াদের কেন্দ্র করে এক কর্মসূচি রাখা হয়েছে। ২৭ মার্চ সেখানে ওরাকান্ডিতে মতুয়া মন্দিরে মোদীর পুজো দেওয়ার কথা। উপস্থিত থাকবেন শান্তনু ঠাকুর। মনে করা হচ্ছে, ১৭ এপ্রিল, ২৬ এপ্রিলের পঞ্চম ও ষষ্ঠ দফার ভোটকে নজরে রেখে (মতুয়া ভোট ব্যাঙ্ক সেদিন নজরে থাকবে) ২৭ মার্চ মোদীর এই মন্দির সফর ঘিরে পারদ তুঙ্গে রয়েছে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকেই মতুয়াদের ভারতে আগমন । আর সেই বাংলাদেশে মোদীর মতুয়া মন্দির পরিদর্শন নিঃসন্দেহে যে পাশার বড় চাল, তা বলা বাহুল্য।