'বাজেটে রাজ্যপালকে দিয়ে বলানো হল ৬ লাখ কোটি টাকার কার্যক্রমের কথা, কিন্তু..', মমতাকে প্রশ্নবাণ ধনখড়ের
গত কয়েক মাসে ক্রমাগত রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের মতবিরোধ বিভিন্ন ইস্যুতে প্রকাশ্যে এসেছে। বহুবার একে অপরকে নিয়ে মুখ খুলেছেন। গতরাতে রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের ওপর হামলা নিয়েও এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টার্গেট করে রাজ্যপাল টুইট করেছেন। এদিকে, এবিপি নিউজের 'শিখর সম্মেলন' এ যোগ দিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ফের একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে নিশানা তাক করে একের পর এক প্রশ্ন রেখেছন।


বাজেটে '৬ লাখ কোটি টাকার কার্যক্রমের' প্রসঙ্গ
প্রসঙ্গত, এবারের বাংলার বাজেট পড়তে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। সেই প্রসঙ্গ তুলে রাজ্যপাল এদিন 'শিখর সম্মেলন' এ যোগ দিয়ে প্রশ্ন তোলেন, ' আজ পশ্চিমবঙ্গ কোথায়?এখানে কি কোনও ইন্ডাস্ট্রি আছে? বিধানসভায় রাজ্যপালের মুখ দিয়ে বলানো হল যে ৬ লাখ কোটি টাকার কার্যক্রম অ্যাডভান্স স্টেজে রয়েছে। রাজ্যপাল হাত জোড় করে একটি প্রশ্ন করছে যে সেটা কোথায় আছে? কোন ভূভাগে আছে?'

'সরকারি কর্মচারীরা নেতাদের মতো..'
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বলেন, 'এখানে সরকারি কর্মীরা নেতাদের মতো কাজ করেন। এখানে কাউকে জিজ্ঞাসা করুন যে অফিসারদের পোস্টিং কীভাবে হচ্ছে, কার সামনে তাঁরা নতমস্তক হয়ে থাকেন?'

রাজ্যপালকে 'বিজেপির এজেন্ট' তকমার জবাব
এদিন রাজ্যপাল ধনখড় বলেন, 'রাজভবনে সবচেয়ে বেশি আমার দেখা হয় বিরোধীদের সঙ্গে। শাসকদলের লোকজন কেউই রাজভবনে আসেন নাষ কাউকে জিজ্ঞাসা করুন। আমি নিজে ওঁদের সঙ্গে কথা বলতে এগিয়ে যাই।আমি প্রথমবার ২০২০ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি বিধানসভায় সম্বোধন করি। বাংলার অবস্থা ইমারজেন্সির থেকেও খারাপ।'

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে সরব ধনখড়
এদিনের সভায় ধনখড় বলেন, আম্ফানের সময় যথেষ্ট তৎপরতার সঙ্গে প্রস্তুতি নেয়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তিনি বলেন,'আমার দায়িত্ব ছিল রাজ্যসরকারের সঙ্গে মিলে কাজ করার। তবে মমতা সরকার আমার সঙ্গ দেয়নি। ওঁর সঙ্গে ফোনে বহুবার কথা হয়েছে, তবে দেখা সেভাবে হয়নি ততবার,যতবার হওয়া উচিত ছিল। ' তিনি বিস্ফোরক দাবি তুলে বলেছেন, 'আমি কোনও এসপি বা কালেক্টরের মুখ দেখিনি।'
বাংলায় অনুপ্রবেশ রুখবই! হুঁশিয়ারির মধ্যেই শহরে বিএসএফের সঙ্গে বৈঠক শাহের