For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

শুধু নন্দীগ্রাম আসনেই প্রার্থী হয়ে মাস্টার স্ট্রোক দিলেন মমতা

শুধু নন্দীগ্রাম আসনেই প্রার্থী হয়ে মাস্টার স্ট্রোক দিলেন মমতা

  • By অশোক বসু
  • |
Google Oneindia Bengali News

রাজ্যে সবার আগে তৃণমূলের প্রায় সম্পূর্ণ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তালিকায় অনেক চমক আছে। ৮০ বছরের ওপরে যাঁদের বয়স তাঁদের বাদ দিয়েছেন। বিনোদন জগতের অনেককে প্রার্থী করেছেন। উল্লেখযোগ্য বেশ কয়েকটা আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করেছেন। অনেক তরুণ মুখ এনেছেন। তবে তালিকার সবচেয়ে বড় চমক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ভবানীপুর কেন্দ্রে এবার দাঁড়াচ্ছেন না বলে সেখানে দাঁড়াবেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। আর মমতা লড়বেন শুধুমাত্র নন্দীগ্রাম আসন থেকেই।

শুভেন্দুর কাছে বড় চাপ হয়ে গেল

শুভেন্দুর কাছে বড় চাপ হয়ে গেল

শুভেন্দু অধিকারী বিজেপির পতাকাতলে ঠাঁই নেওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেদিন প্রথম নন্দীগ্রামে সভা করতে গিয়েছিলেন, সে দিনই তিনি সেখানেই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন যে এবার তিনি লড়বেন নন্দীগ্রাম থেকে। তবে শুধু নন্দীগ্রাম নয়, তাঁর নিজের ভবানীপুর আসন থেকেও লড়বেন। এই ঘোষণার পর শুভেন্দু মমতাকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন। বড় গলা করে বলেছিলেন, আমি এখানকার ভূমিপুত্র। নন্দীগ্রাম থেকে তৃণমূলকে জিতিয়ে নিয়ে গিয়েছিলাম আমিই। সেই আমি ঘোষণা করছি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এখানে আমি ৫০ হাজার ভোটে হারাব। যদি না পারি তাহলে রাজনীতি করা ছেড়ে দেব। চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন বটে, কিন্তু শুভেন্দু কি নিশ্চিত ছিলেন যে এখানে মমতাকে আধ লক্ষ ভোটে হারিয়ে দেবেন। মনে হয় না। এলাকার রাজনীতি সচেতন মানুষ ধরে নিয়েছিল শুভেন্দুর এই কথাগুলো নেহাতই কথার কথা। রাজনীতি করতে গেলে জাঁক করে এমন অনেক কথা বলতে হয়। পূর্ব মেদিনীপুর অধিকারী পরিবারের রাজনৈতিক গড়। সেখানে ওদের কথাই শেষ কথা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহধন্য শুভেন্দুর বিরুদ্ধে পূর্ব মেদিনীপুরে কারও কথা বলার কোনও অধিকার ছিল না। এগুলো শুভেন্দু দল ছাড়ার পর জানতে পারা গিয়েছে। সেই ধারণা থেকেই হয়তো শুভেন্দুর মনে হয়েছিল মমতাকে তিনি টক্কর দিতে পারেন। তাই বড় মুখ করে বলেছিলেন, দুই মেদিনীপুর আর সংলগ্ন জঙ্গলমহল এলাকা থেকে তিনি ৩৫টা আসন তুলে নিয়ে আসবেন বিজেপির জন্য। এ কথা মুখে বললেও আগে থেকেই বিজেপির প্রার্থী হয়ে নন্দীগ্রাম থেকে জিততে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় ছিল শুভেন্দুর। যে কারণে আরামবাগের এক সভায় তিনি বলেও ফেলেছিলেন আমি আরামবাগেও প্রার্থী হতে পারি। মমতা নন্দীগ্রাম থেকে লড়বেন জানানোর পর চাপ বেড়ে গিয়েছিল শুভেন্দুর। এই ঘোষণার পর নন্দীগ্রাম থেকে তাঁর পক্ষে সরে যাওয়া খুব মুশকিল ছিল। তাহলে সাধারণ মানুষের কাছে বার্তা পৌঁছে যেত, ভয়ে হাল ছেড়ে দিলেন শুভেন্দু। তিনি মনেপ্রাণে চাইছিলেন তাঁকে যেন অন্য কোথাও প্রার্থী করে বিজেপি। যদিও মুখে তাঁকে বলতেই হয়েছে, আমি নন্দীগ্রামেই দাঁড়াতে চাই। বৃহস্পতিবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিয়েও সে কথা বলিয়েছেন তিনি। তবে তারচেয়েও বড় কথা, বৃহস্পতিবারই তাঁর বাবা, এখনও তৃণমূলের সাংসদ, শিশির অধিকারী এক টেলিভিশন চ্যানেলে বলেছেন, শুভেন্দু নন্দীগ্রামেই দাঁড়াবে। ওই তো এখান থেকে তৃণমূলকে জিতিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। ও আর যাবে কোথায়। তবে সে বলায় কোনও জোর ছিল না।

ভবানীপুর নয়, শুধু নন্দীগ্রামেই দাঁড়াবেন মমতা

ভবানীপুর নয়, শুধু নন্দীগ্রামেই দাঁড়াবেন মমতা

যেদিন ঘোষণা করেছিলেন, সেদিন বলেছিলেন ভবানীপুরের সঙ্গে নন্দীগ্রামে দাঁড়াবেন তিনি। কিন্তু দিন দুয়েক আগে থেকেই জানা গিয়েছিল তিনি ভবানীপুরে দাঁড়াবেন না। শুধুমাত্র নন্দীগ্রামে লড়বেন। কারণ, তাহলে লোকের কাছে বার্তা যাবে যে তিনি নন্দীগ্রাম আসনে নিঃসংশয় নন। তাই সঙ্গে ভবানীপুর রেখে দিচ্ছেন। যদি নন্দীগ্রামে জিততে না পারেন, তাহলে তাঁর ভবানীপুর থাকবে। তাই তিনি ভবানীপুর আসনটি ছেড়ে দিয়ে শুধুমাত্র নন্দীগ্রাম থেকেই লড়াই করবেন বলে জানিয়ে দিলেন। এর মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন নন্দীগ্রাম থেকে জিতেই তিনি আবার মুখ্যমন্ত্রী হবেন।

এখন শুভেন্দু কী করবেন

এখন শুভেন্দু কী করবেন

শুক্রবার সকালেই পূর্ব মেদিনীপুরের কিছু লোকের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম যে নন্দীগ্রামে যদি শুভেন্দু এবং মমতার লড়াই হয় তাহলে কী অবস্থা দাঁড়াবে? প্রায় সকলেই একবাক্যে বলেছে, মমতাই জিতবেন। ক'দিন ধরে ওই এলাকায় খোঁজখবর নিয়ে যা আভাস পাচ্ছি তাতে এটা ঠিক যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওখান থেকে জিতে আসবেন। তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। তাহলে শুভেন্দু এখন কী করবেন। নন্দীগ্রামে এখন তো তাঁর না দাঁড়িয়ে আর উপায় নেই। না দাঁড়ালে লোকে বলবে ভূমিপুত্র ভয়ে পালিয়ে গেল। আর দাঁড়িয়ে যদি তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৫০ হাজারের বেশি ভোটে না হারাতে পারেন, তাহলে তো কথা রাখতে তাঁকে রাজনৈতিক বাণপ্রস্থে যেতে হবে। বিজেপি তাদের পুরনো লোকেদের জন্য ৭০-৮০টি আসন বেছে রেখে দিয়েছে। অন্য দল থেকে যারা এসেছে তাদের নিজেদের যোগ্যতা এবং ক্ষমতায় এর বাইরে যেসব আসন আছে, সেই সব আসনে দাঁড়িয়ে জিতে আসতে হবে। শুভেন্দু কি পারবেন তাঁর কথা রাখতে? সময় সব প্রশ্নের উত্তর দেবে।

সহজ আসনে কোনও দলবদলুকে ঠাঁই দেবে না বিজেপিসহজ আসনে কোনও দলবদলুকে ঠাঁই দেবে না বিজেপি

English summary
West Bengal Assembly Election 2021: Fighting from Nandigram is a masterstroke by Mamata Banerjee itself
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X