প্রশান্ত কিশোর কেন রাতারাতি দীনেশ ত্রিবেদীর চক্ষুশূল হলেন! বিস্ফোরক পদত্যাগী সাংসদ
তৃণমূল ছেড়ে যাঁরাই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের অনেকেই প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। দলের মধ্যে থেকেও অনেকেই প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে অসন্তোষকে প্রকাশ্যে আনেন। তবে সদ্য পদত্যাগী রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী এবার বিস্ফোরক মন্তব্যে প্রশান্ত কিশোরকে আক্রমণ করেছেন। যা উঠে এসেছে এক নামী ইংরেজি দৈনিকের সাক্ষাৎকারে।

রাজ্যসভায় বক্তব্য নিয়ে অসন্তোষ দলে!
দীনেশ ত্রিবেদীর দাবি, রাজ্যসভায় যদি তিনি কোনও দিনও প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য না করতেন, তাহলে সেকথা জানানো হত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দীনেশ ত্রিবেদী দাবি করেছেন, কোনও পার্টির বিরুদ্ধে যদি বলতেই হয়, তাহলে একটি ভদ্রতার বেষ্টনীতে সেই কথা বলতে তিনি চাইছিলেন। এমনই দাবি করেছেন দীনেশ ত্রিবেদী। তবে তা তাঁকে যে করতে দেওয়া হয়নি, তা সাক্ষাৎকারে অকপটে বলেছেন দীনেশ ত্রিবেদী।

প্রশান্ত কিশোর কেন দীনেশের চক্ষুশূল?
প্রসঙ্গত, প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে দীনেশের। সাক্ষাৎকারে তিনি তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট নিয়ে বলেন, 'আমি জানিই না যে আমার টুইট কে করতেন? তাঁরা আমাদের অ্যাকাউন্ট পাসওয়ার্ড ডিটেলস নিতেন। ভারসা করে আমি তা শেয়ার করেছি। পরে দেখেছি আমার অ্যাকাউন্ট থেকে কু ভাষায় টুইট।' দীনেশ ত্রিবেদীর বিস্ফোরক দাবি যে, তাঁর অ্যাকাউন্ট কে ব্যবহার করতেন তিনি জানেন না। তবে দলের তরফে পাসওয়ার্ড নেওয়া হত বলে জানান ত্রিবেদী। এমন ঘটনা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন বহুবার দলে। অনেক ক্ষেত্রে টুইট মুছে ফেলতে হয় বলে সাক্ষাৎকারে জানান দীনেশ। আর এক্ষেত্রে যে তাঁর বক্তব্যের নিশানায় প্রশান্ত কিশোরই রয়েছেন, সেদিকে স্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে বলে মত অনেকেপ। তবে তিনি এক্ষেত্রে কোনও নাম নেননি।

'কেন প্রয়োজন কনসালট্যান্ট' , প্রশ্ন দীনেশের
সাক্ষাৎকারে দীনেশ ত্রিবেদী বলেন,'ক্ষমতায় আসার পর কেউ কোটি কোটি টাকা একজনকে দেবে, আর তাঁর কর্মীরা এসে আপনাকে বলে দেবে কী করতে হবে।' এই প্রসঙ্গে দীনেশ ত্রিবেদী বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বামেদের সঙ্গে লড়েছিলেন তখন কি কাউকে দরকার হয়েছে মমতার? সেই সময় দীনেশ ত্রিবেদী তাঁর ও মুকুল রায়ের লড়াইয়ের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন সাক্ষাৎকারে।

কোন ঘটনাকে 'লজ্জাজনক' আখ্যা দীনেশের?
দীনেশ ত্রিবেদীর দাবি, যে পার্টি তিনি ঘাম, রক্ত ঝরিয়ে তৈরি করেছেন, সেই পার্টির প্রতিনিধি হয়ে কীভাবে সভায় কথা বলতে হবে, তা কোনও সংস্থার কাছ থেকে শেখাটা 'লজ্জাজনক'। তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতির কথা দলে অনেকেই জানেন, তবে মুখ খুলতে অনেকেই পারছেন না।
দিলীপের চায়ে পে চর্চাতেও চমক, লাকি-ড্র করে পুরস্কার বিতরণ, লোক টানার কৌশল, কটাক্ষ তৃণমূলের