বাংলায় করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে গেল সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরের ভোট
বাংলায় ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি। দৈনিক করোনা সংক্রমণের হার ১৭ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় বড়সড় সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। করোনা পরিস্থিতিতে বাংলায় আট দফায় নির্বাচন করা নিয়ে বারবার প্রশ্নের মু
বাংলায় ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি। দৈনিক করোনা সংক্রমণের হার ১৭ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় বড়সড় সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন।
করোনা পরিস্থিতিতে বাংলায় আট দফায় নির্বাচন করা নিয়ে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। এমনকি হাইকোর্টের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে।
এই অবস্থায় বড় সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের। অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হল সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরের ভোট। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা হলেও আয়ত্তে আসলে ভোটের নতুন দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ এপ্রিল সপ্তম দফায় সামশেরগঞ্জ আসনে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই ১৫ এপ্রিল ওই কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হক করোনায় প্রয়াত হন। কংগ্রেস প্রার্থীর মৃত্যুতে নিয়ম মেনে বাতিল করতে হয় সামশেরগঞ্জ কেন্দ্রের নির্বাচন।
অন্যদিকে, জঙ্গিপুর কেন্দ্রেও ২৬ এপ্রিলই ভোট হওয়ার কথা ছিল। এই কেন্দ্রেও থাবা বসায় করোনা। ১৬ এপ্রিল মৃত্যু হয় এই কেন্দ্রের সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী প্রদীপ নন্দীর।
যথারীতি ওই কেন্দ্রেও ভোট পিছিয়ে দিতে হয়। এরপর নতুন করে ১৩ মে ওই দুই কেন্দ্রে ভোটের দিন ঘোষণা করা হয়। যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। সেদিন ইদ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
১ মাসের রমজান শেষে খুশির ইদ আসে। সেদিন ভোট ঘোষণা করা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ তৈরি হয়। পুনর্নির্বাচনের দিন বদলে দেওয়ার দাবিতে সরব হন স্থানীয়দের একাংশ। অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভোট বয়কটেরও দাবি জানান।
ভোটের নতুন দিন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ঠিক সময়ে কমিশনকে এই বিষয়ে জানিয়ে চিঠি দেবেন বলেও জানান।
অন্যদিকে কংগ্রেসের তরফে ভোট বাতিলের দাবিতে কমিশনে চিঠি দেওয়া হয়। বিভিন্ন দলের আপত্তিতেই পরে ওই দুই কেন্দ্রে ভোট ফের পিছিয়ে দেওয়া হয়। নতুন করে ফের দিন ঘোষণা করা হয়।
জানানো হয়েছিল, দুই কেন্দ্রে ভোট হবে আগামী ১৬ মে। কিন্তু এবার করোনার জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছনো হল ভোট। একই সঙ্গে এই দুই এলাকায় যে আচরণ বিধি ছিল তাও কমিশনের তরফে তুলে নেওয়া হয়।
জানা যাচ্ছে, এই দুই কেন্দ্র ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি রাজ্যেও উপনির্বাচন হবে। করোনার ভয়াবহতা কমলেই এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। এমনটাই জানানো হয়েছে।