সংখ্যালঘু প্রার্থী ইস্যুতে এবার তৃণমূলের অন্দরে উত্তরের জেলায় দলীয় ক্ষোভ-বিক্ষোভে পারদ চড়ছে
প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার পর থেকে তৃণমূলের অন্দরে ক্ষোভ বিক্ষোভ ও ভাঙনের খবর উঠে আসছে। প্রার্থী না হওয়ার জন্য বহু তৃণমূল হেভিওয়েট প্রকাশ্যে চোখের জল ফেলেছেন। অনেকেই অভিমানের জেরে দল ছেড়েছেন বলে দাবি করেন। অনেকেই যোগ দেন বিজেপিতে। এদিকে, দক্ষিণবঙ্গের কলকাতায় যখন তৃমমূলের তামাম হেভিওয়েটরা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন , তখন উত্তরবঙ্গে দলের অন্দরে ক্ষোভ বিক্ষোভে সামিল হচ্ছেন।

উত্তরবঙ্গে সংখ্যালঘু ইস্যুতে ক্ষোভ তৃণমূলে?
এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, উত্তরবঙ্গের কোচবিহারে তৃণমূলের অন্দরে ক্ষোভ শুরু হয়েছে সংখ্যালঘুদের প্রার্থী ইস্যুতে। এই নিয়ে কোচবিহারের ৯ বিধানসভা আসনে ক্ষোভের আঁচ পাওয়া যাচ্ছে।

মূল ইস্যু কী?
কোচবিহারের ৯ বিধানসভা আসনের একটিতেও তৃণমূলের তরফে কোনও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাকে প্রার্থী করা হয়নি। জানা গিয়েছে, এই নিয়েই তৃণমূলের অন্দরে ক্ষোভ তুঙ্গে। প্রসঙ্গত, জেলায় তফশিলিদের জন্য সংরক্ষিত ৫ আসনে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বাকি ৪ আসনে সংখ্যালঘুদের থেকে কাউকে প্রার্থী করা হয়নি। মূলত এই ৪ আসন নিয়েই ক্ষোভ জমছে তৃণমূলের অন্দরে।

সংখ্যালঘু ভোটার ও কোচবিহার
প্রসঙ্গত, সংখ্যালঘু ভোটারের আধিক্য কোচবিহারের ওই ৪ আসনে রয়েছে। সেই জায়গা থেকে সেখানে একজনও সংখ্য়ালঘু প্রার্থী না থাকার প্রসঙ্গটি ওঠে স্থানীয় ইমাম মোয়াজেজেমের একটি সভায়। সভা থেকে স্থানীয় নেতা জালিলকে প্রার্থী করার ডাক দেওয়া হয়েছে।

তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব কী বলছে?
এদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব দাবি করেছে যে গোটা বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যাবে। এদিকে, কোচবিহারের তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জালিল আহমেদের দাবি,' আগামী ১৪ মার্চ মোয়াজ্জেম কাউন্সিল বৈঠক ডেকেছে। আমিও থাকব। এরা দলের সমর্থক। তাদের দাবিদাওয়া থাকতেই পারে। প্রার্থী না করলে অনেক কিছুই করা যায়। ' এমন বক্তব্য রেখেই জালিলের দাবি, সংখ্যালঘু ভোটের দরকার তৃণমূলের রয়েছে কি না, তা তিনি দেখতে চান।