বিধানসভায় কৃষকদের 'পাশে থাকা'র ভোটাভুটিতে অনুপস্থিত মমতা! বিরোধীদের তুমুল কটাক্ষ
বিধানসভায় কৃষকদের 'পাশে থাকা'র ভোটাভুটিতে অনুপস্থিত মমতা! বিরোধীদের তুমুল কটাক্ষ
কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের (farm laws) বিরুদ্ধে দিল্লির সীমান্তে কৃষক আন্দোলন শুরু হওয়ার পরে সেখানকার আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। রাজ্য বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন ডেকে কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করানোও হল। কিন্তু ভোটাভুটিতে অংশ নিলেন না মুখ্যমন্ত্রী। যা নিয়ে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছে বিরোধী শিবির।
বিধানসভায় কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ
এদিন ধ্বনি ভোটে কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ হয়ে গেল। প্রস্তাবটি আনেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রস্তাবের পক্ষে তৃণমূল বিধায়কের পাশাপাশি ভোট দেন কংগ্রেস এবং বাম বিধায়করাও। তবে রাজ্যে কৃষি আইন সংশোধনীর প্রস্তাব খারিজ হয়ে গিয়েছে। এই প্রস্তাবের পক্ষে পড়ে ২৭ টি ভোট আর বিপক্ষে পড়ে ১০১ টি ভোট।
ভোটদানে অনুপস্থিত মুখ্যমন্ত্রী
কেন্দ্রীয়
সরকারের
তিনটি
নতুন
কৃষি
আইনকে
কালা
আইন
বলেছিলেন
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়।
একাধিকবার
সিঙ্ঘু
সীমান্তে
দলের
সাংসদদের
পাঠিয়েছেন
তিনি।
আন্দোলনরত
কৃষকদের
সঙ্গে
ফোনে
কথা
বলেছেন।
তাঁদের
পাশে
থাকার
আশ্বাস
দিয়েছেন।
কেন্দ্রীয়
কৃষি
আইনের
বিপক্ষে
রাজ্য
বিধানসভায়
প্রস্তাব
আনে
তৃণমূল
সরকার।
প্রস্তাবের
ওপরে
বিতর্কে
অংশও
নেন
মুখ্যমন্ত্রী।
কিন্তু
যখন
তা
বিধানসভায়
ধ্বনি
ভোটে
পাশ
হল,
সেই
সময়
অনুপস্থিত
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা বিরোধীদের
এই অনুপস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন বিরোধীরা। এদিন সভার মধ্যেই বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেন কংগ্রেসের মুখ্য সচেতক মনোজ চক্রবর্তী। পরে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতিকে আজব ব্যাপার বলে কটাক্ষ করেন। পাশাপাশি বলেন যা তিনি করছেন, সবটাই লোক দেখানো।
তৃণমূলের সাফাই
এব্যাপারে শাসক তৃণমূলের তরফে অবশ্য সাফাই দেওয়া হয়েছে। তাদের তরফে বলা হয়েছে, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির কারণে মুখ্যমন্ত্রী ভোটাভুটির সময়ে থাকতে পারেননি। একইসঙ্গে তৃণমূলের দাবি মুখ্যমন্ত্রী জোরোলো ভাবে নতুন কৃষি আইনের বিরোধিতা করেছেন এবং তা প্রত্যাহারের দাবি করেছেন। প্রসঙ্গত এদিন বিধানসভায় নিজের ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পদত্যাগের দাবিও তোলেন। বলেন, হয় আইন প্রত্যাহার করো, নাহলে গদি ছাড়ো।
সারাদিন বিধানসভায় হট্টগোল
এদিন সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল বিধানসভা। বিধানসভা বসার পরেই তাপস রায় বলতে ওঠেন। সেই সময় বাম ও কংগ্রেসের তরফে টিপ্পনি করলে, তাপস রায় ক্ষেপে গিয়ে বাম ও কংগ্রেসকে নির্লজ্জ ও বেহায়া বলে আক্রমণ করেন। এরপর শোরগোল শুরু করে দেন বাম ও কংগ্রেস বিধায়করা। সেই সময় স্পিকার জানান, তাপস রায়ের বিতর্কিত মন্তব্য বিধানসভার কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়া হবে। দুপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বলতে উঠলে বিজেপি বিধায়করা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরে তাঁরা জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন।