বেনজির নিরাপত্তায় ভোট, প্রতিবুথ ঘিরে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে নতুন পরিকল্পনা কমিশনের
প্রতিবুথ ঘিরে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে নতুন পরিকল্পনা কমিশনের
একুশের ভোট হবে নজির বিহীন নিরাপত্তায়। একেবারে ছক কষে ফেেলছে নির্বাচন কমিশন। এক দিকে করোনা পরিস্থিতি অন্যদিকে রাজনৈতিক হিংসা দুয়ের মোকাবিলায় প্রস্তুত নির্বাচন কমিশন। প্রতিবুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে বলে জানানো হয়েছে। প্রথম দফার ভোটে বাড়তি নজরদারি। মাওবাদী প্রভাবিত এলাকার ভোট সুষ্ঠু ও অবাধ করতে তৎপর কমিশন। প্রতি বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী। থাকবে না রাজ্য পুলিশের নজরদারি।
বুথে বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী
রাজ্যে আবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার লক্ষ্যে একাধিকবার নির্বাচন কমিশনে দরবার করেছেন বিজেপি সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। ভোট যাতে শাসক দল প্রভাবিত করতে না পারে সেজন্য রাজ্যে ভোটের আগে থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে শুরু করে নির্বাচন কমিশন। এবার নজিরবিহীন নিরাপত্তায় ভোট হতে চলেছে বঙ্গে। প্রায় ১০০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের কথা জানিয়েছেন কমিশন। প্রতিবুথে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বুঝের ১০০ মিটারের মধ্যে এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
নজরে মাওবাদী এলাকা
প্রথম দফার ভোট রয়েছে মাওবাদী প্রভাবিত জঙ্গলমহল এলাকায়। ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর সহ একাধিক জেলায় ভোট রয়েছে। একসময়ে মাওবাদী প্রভাবিত এলাকা এগুলি। ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতেই সেখানে কয়েকটি জায়গায় মাওবাদী পোস্টার দেখা গিয়েছে। তাই প্রথম দফার ভোটে বাড়তি তৎপর হয়ে উঠেছে নির্বাচন কমিশন। প্রথম দফার ভোটে বুথে বুথে থাকথে বাড়তি বাহিনী। প্রথম দফায় মোট ৭৩২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করছে নির্বাচন কমিশন।
কোন দফায় কত বাহিনী
প্রতি দফাতেই বািহনী মোতায়েন নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রথম দফায় যেখানে ৭৩২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হচ্ছে। সেখান দ্বিতীয় দফায় ৬৯৭ কোম্পানি বাহিনী। তৃতীয় দফায় ৬৯৫ কোম্পান,চতুর্থ দফায় ৮৯৯ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন থাকছে। পঞ্চম দফার ভোটে থাকছে ৯৫৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই দফাতেই সর্বাধিক বাহিনী ব্যবহার করছে কমিশন। ষষ্ঠদফার ভোটে ৯৩৩ কোম্পানি এবং সপ্তম দফার ভোেট ৭৫২ কোম্পানি বাহিনী এবং অষ্টম দফার ভোটে ৮০৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। এছাড়াও এসডিও এবং এসডিপিও-র সঙ্গে ১ কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বািহনী রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
কমিশনকে নিশানা মমতার
বাঁকুড়ার প্রচােরর ময়দান থেকে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রভাবিত করছে নির্বাচন কমিশনকে। তার কথা শুনে কাজ করছে কমিশন। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ও রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবকে ইডির নোটিস পাঠানো নিয়ে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে মমতা অভিযোগ করেছেন অমিত শাহ কলকাতায় বসে চক্রান্ত করছেন। এমনকী তাঁকে খুন করার চক্রান্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মমতা। প্রয়োজনে তিনি ভাঙা পায়ে গিেয় নির্বাচন কমিশনে ধরনা দেবেন তিনি হুঙ্কার দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী।
ভোটের পর কংগ্রেস কোন দিকে, ডালুবাবুর মন্তব্যে অবস্থান স্পষ্ট করলেন অধীর