করোনা কালে ভোট, এক ধাক্কায় রাজ্যে বুথের সংখ্যা ১ লক্ষ ছাড়াবে, ইঙ্গিত কমিশনের
করোনা কালে ভোট, এক ধাক্কায় রাজ্যে বুথের সংখ্যা ১ লক্ষ ছাড়াবে, ইঙ্গিত কমিশনের
করোনা কালে বিধানসভা ভোট হবে বাংলায়। কাজেই সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনেই বিহার মডেলে ভোট করানোর কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন। সেকারণে স্যানিটাইজেশন থেকে মাস্ক এমনকী সামাজিক দূরত্ব বিধি নিয়েও কড়া অবস্থান নিতে চলেছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে বুথের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। তাতে যা বোঝা যাচ্ছে এবার প্রায় ১ লক্ষ ছাড়িয়ে যাবে রাজ্যে বুথের সংখ্যা।
বাড়ছে বুথের সংখ্যা
করোনা আবহের মধ্যে ভোট। তাই ভিড় বা ঘন জনবসিপূর্ণ এলাকায় বুথ নিয়ে বাড়তি সচেতন নির্বাচন কমিশন। পশ্চিবঙ্গের অধিকাংশ জেলাই ঘন জনবসতি পূর্ণ। সেকারণে বুথে ভোটার সংখ্যাও বেশি। কিন্তু নিউ নর্ম্যাল ভোট করাতে হলে এতো ভিড় থাকা চলবে না। সীমিত সংখ্যাক ভোটার নিয়ে বুথ তৈরি করতে হবে। সেকারণেই বুথের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আগে রাজ্যে ৭৮ হাজার বুথ ছিল। সেটা আরও ২৮ হাজার বাড়ানো হচ্ছে। তাহলে রাজ্যে মোট বুথের সংখ্যা ১ লক্ষ ছাড়িয়ে যেতে চলেছে।
কবে ভোট
মনে করা হচ্ছে এপ্রিল মাসেই ভোট করা হবে। মার্চের শেষেই ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই রাজ্য সফর করে গিয়েছেন উপ নির্বাচন কমিশনার তাঁরা জেলার পুলিশ সুপার ও জেলা শাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এবং নিরপক্ষ হয়ে ভোটের কাজ করার বার্তা দিয়েছেন। সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন তাঁরা।
ভোটার তালিকা নিয়ে নালিশ
বিরোধীরা ভোটার তালিকা নিয়ে কমিশনের কাছে নালিশ জানিয়েছেন। একাধিক জায়গায় নতুন ভোটারের সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। বাম-কংগ্রেসও একই অভিযোগ জানিয়েছে। ভোটার তালিকা সংশোধনের নাম করে ভুয়ো ভোটারের নাম ঢুকিয়ে ভোট বাড়ানোর চেষ্টা করছে শাসক দল এমনই অভিযোগ করেছেন তাঁরা। তাই পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশের আগে ভোটার তালিকা খতিয়ে দেখার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।
নিরাপত্তায় জোর
ভোটে অশান্তি হতে পারে রাজ্যে আশঙ্কা করে আগেই কমিশনে চিঠি দিয়েছে বিজেপি। রাজ্যে অবিলম্বে বাহিনী মোতায়েনে দাবি জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষরা। ইতিমধ্যেই ভিভিআইপিদের নিরাপত্তার জন্য রাজ্যে বাড়তি ২ কোম্পানি বাহিনী পাঠানো হয়েছে। এবারে নির্বাচনে বাহিনীর কড়াকড়ি জারি থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ জেপি নাড্ডার উপর হামলার ঘটনার পরেই তৎপর হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
এক কদম পিছিয়ে মাস্টারস্ট্রোক, মমতার পাল্টা চালে কৃষক মনে পিছনের সারিতে বিজেপি