কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে উসকানি! মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে FIR
নারদ সকাল থেকেই উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ্যের দুই মন্ত্রী ও এক বিধায়ককে। গ্রেফতার করা হয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও। এই পরিস্থিতিতে সোমবার মেদিনীপুরে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে
নারদ সকাল থেকেই উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ্যের দুই মন্ত্রী ও এক বিধায়ককে। গ্রেফতার করা হয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও। এই পরিস্থিতিতে সোমবার মেদিনীপুরে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে এখনও তৃণমূলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
তবে একদিকে যখন নারদা ইস্যুতে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি তখন তৃণমূল সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে এফআইআর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।
FIR করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ
সোমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হল। মেদিনীপুরের কোতায়ালি থানায় এই FIR করা হয়েছে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের বিরুদ্ধে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগ, ভোটের আগে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে উসকানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন তিনি। ইতিমধ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং মহিলা কমিশনেও এই অভিযোগপত্র পাঠানো হয়েছে বলে খবর। অভিযোগপত্র রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়, মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বরাষ্ট্রসচিব এইচ কে দ্বিবেদী, রাজ্য পুলিশের ডিজিপি বীরেন্দ্রকে পাঠানো হয়েছে।
বিজেপির রাজ্য সভাপতির অভিযোগ ঘিরে সরগরম
কোতোয়ালি থানায় খোদ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, "ভোটের আগে একাধিক প্রচারে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে উসকানিমূলক মন্তব্য করেছেন মমতা। এমনকি মহিলাদের কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ডাক দিয়েছিলেন। এধরণের একাধিক উসকানি দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর এ ধরনের একাধিক মন্তব্যের ভিডিও ফুটেজ পাবলিক ডোমেনে পাওয়া যাবে বলেও দিলীপ ঘোষের। তাঁর আরও অভিযোগ, "নির্বাচনের পরে রাজ্যজুড়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। এই পিছনেও দলীয় নেত্রীর ইন্ধন রয়েছে।" তৃণমূলের খেলা হবে স্লোগানকে প্ররোচনামূলক বলে দাবি বিজেপি সাংসদের। এমনকি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে সংবিধান মেনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাজ করছে না বলেও অভিযোগ।
সিবিআই দফতরে ধরনা
একদিকে যখন চার নেতাকে আদালতে তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে অন্যদিকে নিজাম প্যালেসে পৌঁছে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে সাংবাদিকরা মমতাকে জিজ্ঞেস করেন তাঁর আসার কারণের বিষয়ে। তিনি বলেন, ''ওদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি।'' এরপরেই নিজাম প্যালেসের ১৫ তলার অফিসে চলে যান। কথা বলেন তৃণমূলের আইনজীবীদের সঙ্গে। আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অনিন্দ রাউতকে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে অনিন্দ রাউত বাইরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এই গ্রেফতারিকে বেআইনি বলে মমতা বলেছেন। যত ক্ষণ না তাঁকে গ্রেফতার করা হচ্ছে, তিনি নিজাম প্যালেস ছাড়ছেন না। কার্যত সিবিআই দফতরে ধর্ণায় বসেছেন তিনি।