এক্সিট পোল নয়, এক্স্যাক্ট পোলটাই ঠিক, ২ তারিখই বলবে হিসেব, তৃণমূলের জয়ের শঙ্কার মেঘ উড়িয়ে বার্তা দিলীপের
এক্সিট পোল নয়, এক্স্যাক্ট পোলটাই ঠিক, ২ তারিখই সব হিসেব মিলবে, তৃণমূলের জয়ের শঙ্কার মেঘ উড়িয়ে বার্তা দিলীপের
একুশে বাংলা দখলের লড়াইয়ে কোমড় কষেছিল বিজেপি। এবার তার ফল কী হবে তাই নিয়ে উত্তেজনা চড়ছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দাবি করেছেন এক্সিট পোল কিছু হন আসল হল একজ্যাক্ট পোল। ২ মে সব কিছু প্রমাণ হয়ে যাবে। সেই দিনটির দিকেই তাকিয়ে রয়েছে বাংলার মানুষ। যদিও কোনও এক্সিট পোলই বিজেপিকে ২০০ আসন দেয়নি। ২০০০-র বেশি আসন তো দূরের কথা। এবারও নবান্নের রং নীল সাদাই থাকছে সেই ইঙ্গিতই দিয়েছে।
বাংলা দখলের লড়াই
২০১৮-র লোক সভা ভোট থেকেই বাংলাকে পাখির চোখ করেছিল বিজেপি। লোকসভা ভোেট বিজেপির সাফল্য নতুন আশা দেখিয়েছিল মোদী-শাহদের।তাই করোনা মহামারী সামান্য স্তিমিত হতেই বাংলায় একেবারে ঝাঁপিয়ে পড়েন দিল্লির বিজেপি নেতারা। গত তিন মাস ধরে এক প্রকার বাংলা আর দিল্লি ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করেছেন মোদী শাহ। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন তাঁর বাংলায় এসেছে সভা, রোড শো করতে। বাংলার গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেরিয়েছেন অমিত শাহ। তারসঙ্গে চলেছে রাজনৈতিক কূটনীতির খেলা।
৮ দফায় ভোট
৫ রাজ্যে একসঙ্গে ভোট হয়েছে। কিন্তু কমিশনের নজরে ছিল বাংলা। একেবারে ৮ দফায় ভোট ঘোষণা করা হয় বাংলায়। নজির বিহীন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট পরিচালনা করা হয়। কমিশন পক্ষপাতিত্ব করে ভোটের দিন বাড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেছে শাসক দল। একাধিক ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কমিশন কিন্তু কড়াকড়িতে একটুও নরম হয়নি। মরিয়া হয়ে ৮ দফার ভোটে অনড় থেকেছে। তার জন্য একাধিক আদালতে কম ভর্ৎসনা শুনতে হয়নি। দেশের করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য কমিশনকে দায়ী করা হয়েছে। এমনকী কমিশনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করার কথাও বলেছে আদালত।
এক্সিট পোল কী বলছে
৮ দফার ভোট অবশেষে শেষ। এক্সিট পোল রিপোর্টও প্রকাশ্যে চলে এসেছে। অধিকাংশ রিপোর্টই বলছে ফের ক্ষমতায় আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। অর্থাৎ বাংলার মানুষ বাংলার মেয়ের উপরেই ভরসা রেখেছে। পরিবর্তনের হাওয়া বইতে দেয়নি। সি ভোটার, অ্যাক্সিন মাই ইন্ডিয়া, পোল স্ট্র্যাট, চাণক্য সকলেই কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসকেইএগিয়ে রেখেছে। রিপাবলিক সিএনএক্স এবং আর একটি সংস্থা কেবল বিজেপিকে সরকার গড়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। তবে সব এক্সিট পোলেই বিজেপিকে ১০০-র ওপর আসন দেওয়া হয়েছে।
দিলীপের বার্তা
দিনরাত এক দরে ভোটের জন্য ঝাঁপিয়ে এক্সিট পোলে মন ভাঙাই স্বাভাবিক। কিন্তু বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ হাল ছাড়তে নারাজ। তাঁর দাবি এক্সিট পোলে একেকটা চ্যানেল একেকটা কথা বলছে। আসল হল এক্স্যাক্ট পোল। কে বসবে বাংলার মসনদে সেটা ২ মে পরিষ্কার হয়ে যাবে। আপাতত সেই মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষাতেই রয়েছেন তাঁরা। আপাতত এই সব এক্সিট পোল নিয়ে মাথা ঘামাতে চাইছেন না।