পাহাড়ে সংকটে তৃণমূল, ভোটের আগেই মোর্চায় চওড়া ফাটল, গুরুং ভার্সেস বিমল লড়াইয়ের ফায়দা তুলছে বিজেপি
পাহাড়ে সংকটে তৃণমূল, ভোটের আগেই মোর্চায় চওড়া ফাটল, গুরুং ভার্সেস বিমল লড়াইয়ের ফায়দা তুলছে বিজেপি
গুরুংকে ফিরিয়েও ফায়দা হচ্ছে না শাসক দলের। ভোট কৌশলী পিকের সব সমীকরণ ব্যর্থ করে দিতে চলেছে বিমল ও গুরুং গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব। দুই গোষ্ঠীই প্রার্থী তালিকা তৈরি করে ময়দানে নেমে পড়েছে। তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাঁরা ভোট ময়দানে ঝাঁপাচ্ছেন বলে দাবি করলেও। দুই গোষ্ঠী পৃথক পৃথক লড়াই করবে বলে জানিয়েছে। আর মোর্চার এই দ্বন্দ্বের ভরপুর ফায়দা তুলতে মরিয়া গেরুয়া শিবির।
মোর্চায় চওড়া ফাটল
ভোট যত এগিয়ে আসছে পাহাড়ে তত মোর্চা শিবিরে ফাটল চওড়া হচ্ছে। গুরংয়ের সঙ্গে বিনয় তামাং শিবিরের দূরত্ব ক্রমশ বাড়ছে। বিমল গুরুংকে কিছুতেই ঘরে তুলতে নারায় বিনয় তামাংরা। প্রথম থেকেই গুরুংকে নিয়ে প্রবল আপত্তির কথা জানিয়ে এসেছে তারা। ভোটের কথা ভেবেও হাত মেলাতে নারাজ তাঁরা। কার্যত পাহাড়ে এখন মোর্চায় দুই ভাগ। গুরুং শিবির আর বিনয় তামাং শিবির। কেউ কারোর কাছে মাথা নোয়াতে নারাজ।
সংকটে তৃণমূল
গুরুং বনাম- বিনয় তামাংয়ের বিরোধের জেরে সংকট বাড়ছে শাসক শিবিরে। কারণ লোকসভা ভোটে তৃণমূল পাহাড়ে প্রার্থী দিলেও বিধানসভা ভোটে পাহাড়ের রাশ মোর্চার হাতে । কাজেই বিধানসভা ভোটে পাহাড়ে প্রার্থী দেওয়ার কথা মোর্চা। দার্জিলিং, কালিম্পং ও কার্শিয়াং এই তিন কেন্দ্রে প্রার্থী দেয় মোর্চা। কিন্তু এবার কী হবে তাই নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে শাসকদল। গুরুং পাহাড়ে ফেরায় মোর্চায় দুটি ভাগ তৈরি হয়েছে। দুই ভাগই নিজেদের প্রার্থী তালিকা তৈরি করে ফেলেছে। এই নিয়ে চরম সংকটে রয়েছে শাসক দল।
ফায়দা তুলছে বিজেপি
পাহাড়ে মোর্চার এই দ্বন্দ্বের ফায়দা তুলতে মরিয়া বিজেপি। যদিও গুরুং ফেরার পরেই পাহাড়ে সুর চড়াতে শুরু করেছে মোর্চা। এই প্রথম পাহাড়ে প্রচারে গিয়ে কালো পতাকা দেখতে হয়েছে বিজেপিকে। পাহাড়ে পরিবর্তন যাত্রা করতে গিয়ে কালো পতাকা দেখেছেন দিলীপ ঘোষ। কিন্তু মোর্চার শিবির ভাগের পর ফের নতুন করে ফায়দা তোলার আশায় রয়েছে বিজেপি। যদিও মোর্চার দুই শিবিরই তৃণমূলের হয়ে লড়াইয়ের দাবি জানিয়েছে।
গুরুংকে ফিরিয়ে কোন সমীকরণ
গুরুংকে পাহাড়ে ফিরিয়ে বিজেপিকে চাপে রাখতে চেয়েছে শাসক দল। ২০২০ সালে হঠাৎ করে পুজোর আগেই প্রকাশ্যে আসেন বিমল গুরুং। সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থনের কথা বলেন বিমল। ভোট কৌশলী পিকের উদ্যোগেই গুরুংকে পাহাড়ে ফেরানো বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। গুরুংকে পাহাড়ে ফিরিয়ে বিজেপিকে চাপে রাখতে চেয়েছিল পিকে। কিন্তু সেই পাশা উল্টো পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে রাজনৈতিক মহল।