'খেলা হবে' স্লোগানে ম্লান খেলোয়াড়রাই, মমতার প্রার্থী তালিকায় হার টলিউডের কাছে
প্রবীণদের পাশাপাশি নতুনদের মেলবন্ধন ঘটিয়ে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার কথা শুরুতেই বলেছিলেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে টলিউডের দাপটের কাছে হেরে গেল এবার ক্রীড়াক্ষেত্র। ২৯১ জনের যে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হলো তাতে 'খেলা হবে' স্লোগানের মাঝে ম্লান খেলোয়াড়রাই।
লক্ষ্মীর আসনে মনোজ নয়
ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি প্রার্থী হয়েছেন শিবপুর আসন থেকে। এখানে তৃণমূল বিধায়ক জটু লাহিড়ীকেই ফের দাঁড় করানোর দাবি উঠেছিল। যদিও প্রবীণ এই বিধায়ককে বয়সের কারণ দেখিয়ে বাদ দিয়ে তাঁর জায়গায় দাঁড় করানো হলো মনোজ তিওয়ারিকে। মনোজকে লক্ষ্মীরতন শুক্লার হাওড়া উত্তরে প্রার্থী করা নিয়েও জল্পনা ছিল। যদিও সেখানে গৌতম চৌধুরীই প্রার্থী হয়েছেন। মনোজ তাই লড়বেন শিবপুরের কঠিন আসনে। শক্ত পিচে কেমন ব্যাটিং করবেন মনোজ তা বলবে সময়।
নিরাপদ বিদেশ
উলুবেড়িয়া পূর্ব থেকে ২০১১ ও ২০১৬ সালে জিতেছিলেন হায়দর আজিজ সফি, যিনি বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার ছিলেন। তাঁর প্রয়াণের পর উপনির্বাচনে সেখান থেকে জেতেন ইদ্রিশ আলি। বসিরহাটের প্রাক্তন সাংসদের জেতা আসনে এবার প্রার্থী করা হয়েছে বিদেশ বোসকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পছন্দের প্রাক্তন এই ফুটবলার তাই দাঁড়াচ্ছেন তুলনায় সেফ সিটেই। কালনার বাঘনাপাড়ায় আদি বাড়ি বিদেশ বোসের। তাঁকে কালনা কেন্দ্র থেকে দাঁড় করানো নিয়েও জল্পনা ছিল। যদিও উলুবেড়িয়া পূর্ব আসনে প্রার্থী করা হয়েছে বিদেশ বোসকে।
বাদে বিস্ময়
তবে বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাসের নাম নেই প্রার্থী তালিকায়। দলনেত্রীর নির্দেশে অনেক কাজ করেছেন দীপেন্দু। সেখানকার ঘরের ছেলেও তিনি। এমনকী নুসরত জাহানকে লোকসভা ভোটে জেতানোর পিছনেও বড় ভূমিকা ছিল তিন প্রধানে খেলা এই ফুটবলারের। বসিরহাটেল দলের দায়িত্বে থেকে সংগঠনকে মজবুতও করেছিলেন বসিরহাটের মিঠু। তাঁর বাদ পড়ায় তাই অনেকেই অবাক। টলিউডের যতজনকে প্রার্থী করা হয়েছে সেই তুলনায় তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় খেলোয়াড় মাত্র দুজনই।
টলিউডের কাছে হার খেলোয়াড়দের
সৌমিক দে, মানস ভট্টাচার্য, গৌতম সরকার, দোলা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়দের তৃণমূল প্রার্থী করতে পারে বলে জল্পনা ছিল। সম্প্রতি ডানলপে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে হিন্দমোটরের সৌমিক তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁকে উত্তরপাড়া থেকে প্রার্থী করা নিয়ে জল্পনা ছিল। সেখানে কাঞ্চন মল্লিককে দাঁড় করানো হয়েছে। মানস ভট্টাচার্যকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কোনও আসন থেকেও দাঁড় করানোর কথা ছিল। তা হয়নি। পাণ্ডুয়ায় এবার দাঁড় করানো হয়নি সৈয়দ রহিম নবিকে। তাঁর বদলে প্রার্থী করা হয়েছে প্রাক্তন সাংসদ ডা. রত্না দে নাগকে। ফলে খেলা হবে স্লোগানে টলিউডের দাপটের কাছে হেরে গেলেন খেলোয়াড়রাই।