মমতা-তেজস্বী রুদ্ধশ্বাস জোট অঙ্কের মাঝে অখিলেশের বার্তা নিল 'এন্ট্রি', সমীকরণ কোনদিকে
সকালে কালীঘাটের বৈঠক ছিল নজরে, বিকেলে নবান্ন ফোকাসে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত মার্চের প্রথম দিন থেকেই স্টেপ আপ করে 'খেলা' শুরু করে দিলেন ২০২১ এ বাংলা দখলের লড়াইয়ে। এদিন তৃণমূলের প্রার্থীপদের তালিকা সকালে ঘোষণা করার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিকেলে তেজস্বী যাদবের সঙ্গে জোট নিয়ে বৈঠক করবেন। তার মাঝেই চলে এল অখিলেশ যাদবের বার্তা।
নবান্নে হাইভোল্টেজ বৈঠক
এদিন সকালে তৃণমূলের প্রার্থীপদের তালিকা নিয়ে কার্যত চূড়ান্ত বার্তা দিতেই বৈঠকে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সূত্রে ধরে এখনও খবর তেজস্বীর সঙ্গে আলোচনার পর তৃণমূল আজ আংশিক তালিকা প্রকাশ করতে পারে। তবে তেজস্বীর সঙ্গে জোট অঙ্ক স্থির করেই তিনি তা করবেন বলে খবর।
তেজস্বী-মমতা বৈঠক ও ভোট অঙ্ক
এদিকে, তেজস্বী যাদবের সঙ্গে এদিন নবান্নে চারটে নাগাদ বৈঠকে বসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কার্যত গোবলয়ের এই দল ছাড়াও মমতার সঙ্গে বাংলার ভোটে হাত মেলাতে চেয়েছে এনসিপির শরদ পাওয়ার থেকে সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ।
অখিলেশের বড় বার্তা
অখিলেশ যাদব এদিন এক চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলরা ভোটে নৈতিক সমর্থন জানিয়েছেন। যেখানে বাম কংগ্রেস-আব্বাস জোটের পথে এগিয়ে যাচ্ছে , সেখানে তৃণমূলের তরফে জোট বেশ তাৎপর্যপূর্ণ হতে পারে। এদিকে, এদিন অখিলেশ নিজের সমর্থনের বার্তা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভাপতি সুব্রত বক্সিকে।
মমতা-তেজস্বী-অখিলেশ অঙ্ক
একটা সময় শোনা গিয়েছিল তেজস্বী যাদব সম্ভবত বামেদের ব্রিগেডে যোগ দেবেন। তবে শেষে তিনি তা না করে নবান্নে মমতার সঙ্গে দেখা করতে চলেছেন। জানা গিয়েছে, জামুরিয়া আসন বামেরা তেজস্বীদের না ছেড়ে দেওয়ায় লালুপুত্র বামেদের জোটে আর এগিয়ে যাননি। সেই জায়গা থেকে তৃণমূলের তরফে পিকের নয়া স্ট্র্যাটেজি এদিন চমকপ্রদ জোট অঙ্ক তৈরি করে কি না সেদিকে তাকিয়ে বাংলা। এমন এক প্রেক্ষাপটে অখিলেশের বার্তাও বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
চিঠিতে অখিলেশ করেছেন সাবধান
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিবিরের জন্য অখিলেশ যাদব যে নৈতিক সমর্থনের বার্তা দিয়েছেন, তাতে বিজেপির স্ট্র্যাটেজি নিয়ে মমতাকে সতর্ক করা হয়েছে বলে খবর। মমতাকে তিনি উত্তরপ্রদেশে বিজেপির ছকের রিপিট টেলিকাস্ট বাংলায় হতে পারেন, বলে সতর্ক করেছেন। অখিলেশ জানিয়েছেন, যত বেশি দফায় ভোট হবে, তত বেশি নির্বাচনে সমস্যা তৈরি করা সহজ। বিজেপি সেটা করে। বিজেপির এটি পুরনো রণনীতি বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন অখিলেশ।