কোচবিহারের পর এবার কাকদ্বীপ, পরিবর্তন যাত্রার সূচনায় ফের রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ
কোচবিহারের পর এবার কাকদ্বীপ, পরিবর্তন যাত্রার সূচনায় ফের রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ
পরিবর্তন যাত্রার (poribortan yatra) সূচনায় ফের রাজ্য আসতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (amit shah)। বিজেপির ৫ টি পরিবর্তন যাত্রার মধ্যে এখনই একটি শুরু হতে বাকি আছে। সেটির সূচনা করতেই ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে আসতে চলেছেন অমিত শাহ। ওইদিন কাকদ্বীপ থেকে পরিবর্তন যাত্রার সূচনা করার পাশাপাশি সেখানে একটি সভা করার কথা রয়েছেন অমিত শাহের।
বিজেপির ৫ টি পরিবর্তন যাত্রার ৪ টিই শুরু হয়ে গিয়েছে
বিজেপির ৫ টি পরিবর্তন যাত্রার চারটিই শুরু হয়ে গিয়েছে। ৬ ফেব্রুয়ারি নবদ্বীপে এই যাত্রার সূচনা করেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। বিজেপি নেতারা এই পরিবর্তন যাত্রাকে রথযাত্রা বলতে রাজি নন। পরবর্তী সময়ে তিনি তারাপীঠ এবং ঝাড়গ্রাম থেকেও অপর দুটি পরিবর্তন যাত্রার সূচনা করেছিলেন। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ১১ ফেব্রুয়ারি কোচবিহার থেকে একটি পরিবর্তন যাত্রার সূচনা করেছিলেন। অপর যাত্রার সূচনা করতে তিনি আসছেন ১৮ ফেব্রুয়ারি।
এবার পরিবর্তন যাত্রা যাবে কলকাতায়
১৮ ফেব্রুয়ারি কাকদ্বীপ থেকে যে পরিবর্তন যাত্রার আনুষ্ঠানিক সূচনা করবেন অমিত শাহ, সেই পরিবর্তন যাত্রা কপিলমুনির আশ্রম থেকে যাবে কলকাতায়। মধ্যে থাকবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ডায়মন্ডহারবার। এবং ডায়মন্তহারবারের অন্তর্গত শিরাকোল। যেখাবে গত ডিসেম্বরে জেপি নাড্ডার কনভয়ে ব্যাপক হামলার ঘটনা ঘটেছিল। সূত্রের খবর অনুযায়ী, অমিত শাহ কাকদ্বীপে জনসভা করতে পারেন।
অমিত শাহ সভা করতে পারেন সিঙ্গুরে
অমিত শাহ যেমন ১১ ফেব্রুয়ারি কোচবিহারে পরিবর্তন যাত্রার সূচনা করে সেখানে সভা করে চলে এসেছিলেন ঠাকুরনগরে, ঠিক তেমনই ১৮ ফেব্রুয়ারি তিনি কাকদ্বীপে পরিবর্তন যাত্রার সূচনা করে সেখানে সভা করে চলে যেতে পারেন হুগলির সিঙ্গুরে। ২০০৬-২০০৭ সালে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের হাত ধরে রাজ্যে পরিবর্তনের সূচনা হয়েছিল। এবারও সেই সিঙ্গুরকেই পরিবর্তনের অপর কেন্দ্র বানাতে চাইছে বিজেপি।
বাংলাকেই বেছে নিয়েছেন অমিত শাহ
একইসঙ্গে তামিলনাড়ু এবং বাংলার নির্বাচন থাকলেও বাংলাকেই লড়াইয়ের ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিয়েছেন অমিত শাহরা। বিজেপির তরফে আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা মাসে অন্তত একবার করে আসবেন পশ্চিমবঙ্গে। আর সেই সময় যত নির্বাচনের দিকে যাবে, সেখানে তত ঘনঘন যাবেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই ১১ ফেব্রুয়ারি বড় কর্মসূচি নিয়ে রাজ্যে এসেছিলেন অমিত শাহ। সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে আইটি সেলের স্বেচ্ছাসেবকদের সভায় তিনি বলেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গের এই নির্বাচন মুখ্যমন্ত্রী বাছাইয়ের নির্বাচন নয়, এই নির্বাচন সরকার পরিবর্তনের জন্যও নয়, এই নির্বাচন হল পূর্ব ভারতের উন্নয়নের নির্বাচন, পূর্ব ভারতকে মজবুত করার নির্বাচন। আর প্রতিবার কলকাতা ছাড়ার আগে তিনি রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করে, পরিস্থিতির পর্যালোচনাও করছেন। রাজ্যে কতটা এগোতে পেরেছে বিজেপি।
মমতার তৃণমূলের প্রতি নমনীয় কংগ্রেস, অধীরের বার্তা-রাহুলের অবস্থান ঘিরে জল্পন