বাম-কংগ্রেস জোটের বাকি ১০১ আসনে কি ঠাঁই পাবে আব্বাস শিবির! ডেডলাইন দিয়ে কোন বার্তা পীরজাদার
অধীর চৌধুরীর লেটেস্ট আপডেট,আব্বাস সিদ্দিকি র ডেডলাইন বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধার
একুশের আগে বাংলার ভোটে দলবদল যেমন চমক দিয়েছে তেমনই জোট রাজনীতিও শিরোনাম কাড়ছে। এককালের কট্টর বিরোধী একুশের বিধানসভা ভোটের আগে হাত মিলিয়ে জোট গড়েছে। এদিকে, দুই শিবিরই ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির কাছে জোট বার্তাও পৌঁছেছে। এরকম এক প্রেক্ষাপটে আব্বাস সিদ্দিকি এদিন দিয়ে দিলেন জোটের প্রশ্নে বড় জবাব!
জোট রাজনীতি ও আব্বাস আসাদ
প্রসঙ্গত, বিগত লোকসভা ভোটের দিকে তাকালে দেখা যাবে, তৃণমূল কংগ্রেস ভোট বৈতরণী পার করেছে এই মুসলিম ভোটের ওপর ভরসা রেখে। তবে এবার বিধানসভা ভোটে পরিস্থিতি খানিকটা আলাদা। সেই জায়গায় জোট রাজনীতির দিক দিয়ে যদি আব্বাস ও আসাদ জোট বদ্ধ হয়, যে জোট বার্তা রাজ্যে এসে দিয়ে গিয়েছেন খোদ মিমের প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি , তাহলে ক্ষতি তৃণমূলের। তবে, তৃণমূলের সেই ক্ষতিকে বিজেপি কাজে লাগাবে নাকি বাম-কংগ্রেস কাজে লাগাবে সেই প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। অন্যদিকে, বাম ও কংগ্রেস আলাদা আলাদা করে আব্বাস সিদ্দিকির ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের সঙ্গে জোট গড়ার বার্তা আগেই দিয়েছে। সেই জায়গা থেকে বেশ কিছু অঙ্ক মেলা এখনও বাকি।
ফোকাসে ৭ ফেব্রুয়ারি ও আব্বাসের বার্তা
রাজ্যে ৭ ফেব্রুয়ারি আসছেন মোদী। সেই দিক থকে এই দিনটির গুরুত্ব যেমন রয়েছে, আবার এই ৭ ফেব্রুয়ারিকেই ডেডলাইন ঘোষণা করে বাম ও কংগ্রেসের কাছে জোটের প্রশ্নে উত্তর দেওয়ার ডেডলাইন ঘোষণা করেছেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা তথা ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের আব্বাস সিদ্দিকি।
বাম-কংগ্রেস জোট ও কোথায় অস্বস্তি আব্বাসের?
প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত রাজ্য়েরক ২৯৪ টি আসনের মধ্যে বাম ও কংগ্রেস জোট ১৯৩ টি আসনে আসন রফা করেছে। বাকি রয়েছে ১০১ টি আসন। সেই জায়গা থেকে প্রশ্ন উঠছে, যে এই ১০১ টি আসনে আব্বাস সিদ্দিকিরা জায়গা পাবেন কি না! এদিকে, সূত্রের দাবি, আব্বাস সিদ্দিকিরা যে সমস্ত জায়গাকে নজরে রেখে প্রার্থী দেবেন ঠিক করেছেন, সেখানের বেশিরভাগ আসনেই রফা হয়ে গিয়েছে বাম ও কংগ্রেসের। এই জায়গা থেকে আব্বাসের বার্তা 'যে কোনও দিন ভোট ঘোষণা হয়ে যাবে। আমাদের হাতেও বেশি সময় নেই। তাই দুই পক্ষকেই ৭ তারিখ পর্যন্ত সময় দিয়েছি। ওই দিন পর্যন্ত আসন রফা নিয়ে তাঁরা কোনও সিদ্ধান্ত না জানালে আমরা নিজেদের মতো করে চলব।'
মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক ও কয়েকটি জেলা
উল্লেখ্য, আব্বাসের দর মুর্শিদাবাদ, মালদহের মতো জায়গাকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে। যেখানে বাম-কংগ্রেস কার্যত আসনের চূড়ান্ত রফা করে নিয়েছে বলে দাবি সূত্রের। এদিকে ২০১১ সালের আদম সুমারী বলছে মুর্শিদাবাদে সবথেকে বেশি মুসলিম ভোট রয়েছে ৬৬.২৭ শতাংশ। তারপর আছে মালদহে ৫১.৩ শতাংশ এবং উত্তর দিনাজপুরে ৫০ শতাংশ। বীরভূমে ৩৭ শতাংশ, নদিয়ায় ২৭ শতাংশ। এরপর রয়েছে কোচবিহার ও দক্ষিণ দিনাজপুর। এমন এক পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে অধীরগড় মুর্শিদাবাদ সহ একাধিক জায়গা ঘিরে মুসলিম ভোট বাংলার নির্বাচনী রাজনীতিতে বড় প্রভাব ফেলবে। আর সেই জায়গা থেকে বাম কংগ্রেসের জোটের অন্দরে আব্বাসরাও প্রবেশ করবেন কি না, তা সম্ভবত এই সপ্তাহেই স্পষ্ট হবে।
বেসুরোদের বশে আনতে ময়দানে টিম পিকে, রাজ্য নেতৃত্বের ফোনের পরেই সুর নরম দুলাল সরকারের