দাবি না মানলে একাই লড়ব, আসন নিয়ে চূড়ান্ত ফয়সালার আগেই বাম-কংগ্রেসকে বার্তা আব্বাসের
দাবি না মানলে একাই লড়ব, আসন নিয়ে চূড়ান্ত ফয়সালার আগেই বাম-কংগ্রেসকে বার্তা আব্বাসের
আজই আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে আসন রফা নিয়ে চূড়ান্ত বৈঠকে বসছে বাম-কংগ্রেস। গতকাল এই নিয়ে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়েছে। আব্বাসদের আসন ছাড়া নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরে জটিলতা তৈরি হয়েছে। গতকাল অধীর চৌধুরী এই নিয়ে খোলসা করে কিছু জানাননি। তবে আব্বাসদের সঙ্গে জোটে চূড়ান্ত হবে তার ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছিলেন অধীর। কিন্তু সেই পথ কতটা সফল হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
আব্বাসের সঙ্গে চূড়ান্ত বৈঠক
জোটের সঙ্গে আসন রফা নিয়ে আজই আব্বাসের সঙ্গে চূড়ান্ত বৈঠক বাম-কংগ্রেসের। আব্বাস সিদ্দিকির দল জোটে সামিল হলে কত আসন পাবে তা নিয়েই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে আজ। বৈঠকের আগেই পারদ চড়তে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে। মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ার আসন নিয়ে কংগ্রেস দোলাচলে রয়েছে। গতকাল যদিও অধীর চৌধুরা ইতিবাচক ইঙ্গিতই দিয়েছেন। কিন্তু কত আসন আব্বাসদের দেওয়া হবে তা নিয়ে জানানো হয়নি।
আব্বাসের বার্তা
বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে বৈঠকে বসার আগেই চূড়ান্ত বার্তা দিয়েছেন আব্বাস সিদ্দিকি। তিনি বলেছেন আজই এসপার নয় ওসপার। কতগুলি আসন বাম-কংগ্রেস জোট আব্বাসদের দেবে তা নিয়ে ফয়সালা নাহলে একাই লড়বেন তাঁরা। দয়া ন,জোট চাই অধীর-বিমানদের কড়া বার্তা দিয়েছেন আব্বাস সিদ্দিকি। তিনি বলেছেন তাঁর দল একুশের ভোটে কোন কোন আসন চেয়েছে তা লিখিত আকারে বাম-কংগ্রেসকে দিয়েছে।
কটা আসন দাবি আব্বাসের
জোটের সঙ্গে সামিল হতে আব্বাস সিদ্দিকি ৬০ থেকে ৭০টি আসন দাবি করেছে। তারমধ্যে কেবল দক্ষিণবঙ্গের জন্য ৪০টি আসন দাবি করেছেন তাঁরা। বাকি আসন উত্তরবঙ্গের জন্য। তবে মালদহ,মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ার আসন দাবি নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে মতভেদ তৈরি হয়েছে। এই তিনটি জেলার আসন ছাড়তে নারাজ কংগ্রেস। এদিকে আব্বাস নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন। কোনও ভাবেই এর কম আসনে তাঁরা মানবেন না বলে জানিয়েছেন। গত কয়েকদিন ধরেই এই নিয়ে জোটে জল্পনা শুরু হয়েছে।
মুসলিম ভোট ভাগ
মুসলিম ভোট টানতেই আব্বাসদের জোটে সামিল করতে চাইছে বাম-কংগ্রেস। যদিও আগে থেকেই মিমের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে আব্বাসের দল। জোটে আব্বাসের দল সামিল না হলে মুসলিম ভোট ভাগ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েই যাচ্ছে। আজই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। আব্বাসের বার্তা যেদিকে ইঙ্গিত করছে তাতে আসন নিয়ে সমস্যা নাও মিটতে পারে। সেক্ষেত্রে একা চলো নীতিই নিতে চলেছে আব্বাস সিদ্দিকির দল।
বসন্ত পঞ্চমীতে দেশজুড়ে হামলার ছক, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের জালে দুই পিএফআই সদস্য