৬ দফার ম্যারাথন নির্বাচন শেষ, কেউ পড়ছেন বই, কেউ সময় কাটাচ্ছেন পরিবারের সঙ্গে, কেউ আবার সেই কাজ পাগলই
কলকাতা, ৯ মে : বাংলার ছয় দফার (আদতে সাত দফা) দীর্ঘ সময় ধরে চলা নির্বাচনের ইতি হয়েছে ৫ মে। রং-দল নির্বিশেষে ভোট প্রার্থীদের ভাগ্য আপাতত বন্দি হয়ে রয়েছে ইভিএম মেশিনে। কিন্তু এখন আর সেসব নিয়ে চিন্তা নয়। ম্যারাথন নির্বাচনের শেষে এবার শান্তিতে কয়েকটা দিন পরিবার-বন্ধুদের সঙ্গেই কাটাতে চান রাজ্যের হেভিওয়েট ও তারকা প্রার্থীরা।
পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রবীন তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, "আমি বই পড়তে ভালবাসি, কিন্তু নির্বাচনী প্রচারের চাপে সেভাবে সময় বের করে উঠতে পারিনি। এখন বেশ খানিকটা সময় পাওয়া গিয়েছে। এখন অলস সময়টুকু বই পড়েই কাটাব। তাছাড়া দলে কর্মী ও সহকর্মীদের সঙ্গে দেখাও করব।"
বেহালা পশ্চিম কেন্দ্র থেকে এবার লড়ছেন পার্থ। নিজের জয় সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী পার্থবাবু জানিয়ে দিলেন তিনি যে জিতছেনই তা নিয়ে তিনি নিশ্চিত।
অন্যদিকে এশিয়ান গেমস-এর স্বর্ণপদকজয়ী অ্যাথলেট তথা সিপিএম প্রার্থী জ্যোতির্ময়ী শিকদার অবশ্য পরিবারের সঙ্গেই এখনকার সময়টা কাটাতে চান।
বরিষ্ঠ তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় অবশ্য জানিয়েছেন ভোট মিটে গেলেও কাজ তো আর শেষ হয় না, তাই এই সময়টায় কাজ এবং পরিবার দুটোর মধ্যে ব্যালান্স করে চলতে হবে।
ঠিক একই কথা বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার মুখেও। রাহুলবাবুর কথায়, "ভোট মিটে গেলেও আমি একটা দিনেরও ছুটি নিইনি। দলের সাংগঠনিক কাজ নিয়ে আপাতত ব্যস্ততা তো আছেই। তবে পরিবারকেও যতটা সম্ভব সময় দিচ্ছি। এরপর আবার আরও বেশি ব্যস্ত হয়ে যাব।"
তবে এমনও অনেকে আছেন ভোট মিটলেও যাদের ব্যস্ততা এখনও মেটেনি। এদের মধ্যে অন্যতম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদ অধীর চৌধুরি। ভোটের প্রচারে বাম-কং জোটের হয়ে ১০০টিরও বেশি জনসভা করেছিলেন অধীরবাবু। কিন্তু ভোট মিটে গেলেও আপাতত ঝাড়া হাত পা হতে পারছেন কই। স্পষ্ট জানালেন, "ভোট শেষ হয়ে গিয়েছে ঠিকই কিন্তু দলের আরও অনেক কাজ রয়েছে। সেগুলিতে এখন সময় বেশি দিতে হচ্ছে।"
সিপিএম-এর রাজ্য সভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় আপাতত চলতি সংসদের অধিবেশন নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। অভিনেত্রী থেকে বিজেপি নেত্রী হওয়া রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন ভোট শেষ হলেও দলের সাংগঠনিক কাজে তিনি এতটাই ব্যস্ত যে অন্যদিকে তাকানোর সময়ও নেই তার।