ভূমিকম্পের জেরে বড়সড় বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে বাংলা! কেন্দ্রস্থল যে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ
তবে কি বড়সড় বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে দক্ষিণবঙ্গ! মঙ্গলবার সন্ধ্যার ভূমিকম্পের পর সেই আশঙ্কাই বড় হয়ে দেখা দিল। অন্তত ভূ-বিদরা যে আশঙ্কার কথা শোনালেন, তা ভয়-ভীতিরই।
তবে কি বড়সড় বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে দক্ষিণবঙ্গ! মঙ্গলবার সন্ধ্যার ভূমিকম্পের পর সেই আশঙ্কাই বড় হয়ে দেখা দিল। অন্তত ভূ-বিদরা যে আশঙ্কার কথা শোনালেন, তা ভয়-ভীতিরই। এই আশঙ্কা সত্যি হলে যে কোনওদিন ওলটপালট হয়ে যেতে পারে সবকিছু। বিপর্যয় নেমে আসতে পারে বাংলার বুকে। আর সেই বিপর্যয় রাজ্যের রাজধানী শহর লাগোয়া জেলাগুলির উপরই নেমে আসবে সবার আগে।
বছর দুই-তিন ধরেই মাঝে-মধ্যেই কেঁপে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ। তখন জানা গিয়েছে ভূমিকম্পের উৎসস্থল নেপাল বা উত্তরবঙ্গের পার্বত্য অঞ্চল। এতদিন উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি এই বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়েছিল। এবার দক্ষিণবঙ্গও একই বিপদের সামনে। ভূ-বিদরা জানিয়েছেন মঙ্গলবারের ভূমিকম্পের উৎসস্থল হুগলি। তাতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে কলকাতা-সংলগ্ন জেলাগুলিতে।
ভূ-বিদদের ব্যাখ্যা, ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি মতোই হঠাৎ জেগে উঠেছে হুগলির পাণ্ডুয়ার কাছাকাছি ভূমিকম্পের উৎসস্থল। এই ভূমিকম্পের উৎসস্থলের অবস্থান ছিল ২২.৯ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশে আর ৮৮.৩০ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে। সেইমতো দেখা গিয়েছে, উৎসস্থলের এলাকাগত অবস্থায় হয় হুগলির পাণ্ডুয়া। ভূ-বিদদের ব্যাখ্যায়, দক্ষিণবঙ্গের তলা দিয়ে গিয়েছে ইন্ডিয়ানা প্লেট আপ ইউরেশিয়ানা প্লেট। হঠাৎ করেই তা সরে গিয়েই বিপত্তি ঘটে। এইভাবে ভূমিকম্পের সৃষ্টিতে পশ্চিমবঙ্গ যে খুব নিরাপদ রয়েছে, তা বলা যায় না।
[আরও পড়ুন : ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল বাংলার পাঁচ জেলা, আতঙ্কে রাস্তায় নেমে এলেন মানুষজন]
এখন হুগলিকে তিন নম্বর সিসমিক জোনে রাখছে মৌসম ভবন। তিন নম্বর সিসমিক জোনে থাকার অর্থ মাঝারিমানের ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল হয়ে গেল গঙ্গাতীরবর্তী এই জেলা। অর্থাৎ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ একেবারেই নিরাপদ নয়। আর প্রথমবার ভূমিকম্পেই ৫ রিখটার স্কেল কম্পনমাত্রা, বেশ আতঙ্কেরই।
এখন হুগলি ভমিকম্প প্রবণ অঞ্চল হয়ে যাওয়ায় নির্মাণ ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন জরুরি। মঙ্গলবারের ভূমিকম্পে তীব্রতা ৫ রিখটার স্কেল হলেও বেশ কিছু বাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, ফাটল দেখা দিয়েছে। তাতেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। হুগলির এই ভূমিকম্পের জেরে কেঁপেছে পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিও। অন্তত পাঁচ জেলায় ভালোই অনুভূত হয়েছে কম্পন।