মমতার বাংলায় করোনার কালে জলাঞ্জলি হস্তশিল্পে! ভিন রাজ্যে কাজের খোঁজে রাজ্যের তাঁর শিল্পীরা
সামনেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। যে সময়টায় নদিয়া জেলার হস্তশিল্পে যুক্ত থাকা মানুষগুলোর ব্যস্ত থাকার কথা, সেই সময় তাঁরা প্রায় নিশ্চুপ। এই সময় শিল্পীদের দম ফেলার ফুরসত থাকে না, এবার সেই সময়ে কাজ নেই হাত
সামনেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। যে সময়টায় নদিয়া জেলার হস্তশিল্পে যুক্ত থাকা মানুষগুলোর ব্যস্ত থাকার কথা, সেই সময় তাঁরা প্রায় নিশ্চুপ। এই সময় শিল্পীদের দম ফেলার ফুরসত থাকে না, এবার সেই সময়ে কাজ নেই হাতে।
২০২১-এর লক্ষ্যে সফল প্রশান্ত কিশোরের পরিকল্পনা! প্রথম দফায় ১০ হাজার যুবকের যোগ ঘাসফুল শিবিরে
ঘরে ঘরে তাঁত বোনার আওয়াজ নেই
নদিয়ার শান্তিপুর, ফুলিয়া, সমুদ্রগড়ে যেখানে ঘরে ঘরে তাঁত। কেননা এটাই এখানকার চিরাচরিত পেশা। সেখানেই এখন তাঁতের আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে না। সারা বছরে পুজোর সময়েই সব থেকে বেশি কাজ হয়ে থাকে। এবার হয় কাজ নেই, না হলে পর্যাপ্ত অর্ডার নেই। ফলে হারিয়ে গিয়েছে ব্যবসার শিখরে থাকা সময়টাই।
কাজের খোঁজে তাঁত শিল্পীরা ভিন রাজ্যে
স্থানীয় ছাড়াও উত্তরবঙ্গ থেকে আসা প্রায় ২০ হাজার শিল্পী নদিয়া জেলার এই কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে দেশের অন্য অংশে চলে গিয়েছেন, কাজের আশায়।
ফুলিয়া থেকে কাজের আশায় দক্ষিণ ভারতে
ফুলিয়া ব্যবসায়ী সমিতির তরফে জানানো হয়েছে, গত সপ্তাহে তিনটি বাসে বোঝাই করে যুবকরা গিয়েছেন, দক্ষিণ ভারতে কাজের আশায়। এলাকার সব থেকে পুরনো এই ব্যবসায়ী সমিতিতে সদস্য সংখ্যা ৬৬৫ জন।
১০০ দিনের কাজ আর ফ্রি রেশন বাঁচিয়েছে কিছুটা
তবে পরিস্থিতি থেকে কিছু রক্ষা দিয়েছে বিনামূল্যে রেশন আর ১০০ দিনের কাজ। অন্তত না খেতে পাওয়া থেকে বেঁচেছে তাঁতি ও তাদের পরিবারগুলি।
ধাক্কা খেয়েছে তন্তুজও
এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারি সংস্থা তন্তুজ-এর কোনও চাহিদা নেই। হোলসেল মার্কেট বন্ধ। খুচরো বিক্রি ব্যবস্থাটাও ভেঙে পড়েছে।