বাংলার উপকূল জুড়ে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ভ্রুকুটি! অভিমুখ বদলে চিন্তার মেঘ সাত জেলায়
বাংলার উপকূলে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ভ্রুকুটি! অভিমুখ বদলে চিন্তার মেঘ সাত জেলায়
আর মাত্র একদিনের অপেক্ষা। এরপরই দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ধেয়ে আসবে উপকূল অভিমুখে। তারই জেরে গভীর আশঙ্কার কথা শোনাল আলিপুর হাওয়া অফিস। আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ওড়িশার পর বাংলাতেও যে আশঙ্কা রয়েছে তার বার্তা এল শুক্রবার।
২৪ ঘণ্টায় নিম্নচাপ পরিণত হবে ঘূর্ণিঝড়ে
আলিপুর হাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে সাফ জানানো হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে ১২ ঘণ্টার মধ্যেই। ১৬ মে অর্থাৎ বুধবার সন্ধ্যায় তা পরিণত হবে ঘূর্ণিঝড়ে। তখন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের মধ্যভাগে অবস্থান করবে বলে হাওয়া অফিসের সহ অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান।
ভয়ঙ্কর বাঁক নেবে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান
তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রাথমিক অভিমুখ থাকবে উত্তর-পশ্চিম দিকে। কিন্তু তা সমুদ্রের মাঝেই বাঁক নিয়ে গতিপথ পরবির্তন করবে। এমনকী একেবারে উত্তর-পশ্চিম থেকে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অভিমুখ বদল করবে আম্ফান। ফলে বঙ্গোপসাগরের পশ্চিম উপকূল, এমনকী অন্ধ্র-ওড়িশা উপকূলে হানা না দিয়ে বাংলা ও বাংলাদেশের দিকে বেঁকে যেতে পারে।
বাংলার সাত জেলায় প্রবল ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের এই অভিমুখ বদলের ফলে বাংলার আকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা তৈরি হবে। উপকূলের সাত জেলায় প্রবল ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। উপকূলবর্তী অঞ্চলে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইবে। সোমবার থেকেই বাংলায় দুর্যোগের পূর্বাভাস দিয়েছেন হাওয়া অফিসের আধিকারিকরা।
সোজা উত্তর বঙ্গোপসাগর অভিমুখে যাবে আম্ফান
তবে স্পষ্ট নয়, এই ঘূর্ণিঝড় বাংলার উপকূলে আছড়ে পড়বে কি না। কেননা বর্তমান পূর্বাভাস অনুযায়ী আম্ফান উত্তর-পূর্ব দিকে ঘুরে গিয়ে সোজা উত্তর বঙ্গোপসাগর অভিমুখে ধাবিত হবে। বাংলার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু ঝড় হানা দিলে যে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে, তা থেকে মুক্ত হতে পারে বাংলা।
পশ্চিমবঙ্গেও দুর্যোগের আশঙ্কা
আবহবিদরা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান যদি ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ে, তা হলে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ঝড়-বৃষ্টির সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। আর যদি ওড়িশার উপকূলে ধাক্কা খেয়ে পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশ অভিমুখে যেতে শুরু করলে সরাসরি ঘূর্ণিঝড়ের ঝাপটা সহ্য করতে হতে পারে। পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় প্রভাব পড়ার আশঙ্কা সবথেকে বেশি বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আরও পাঁচ জেলাকে সতর্ক করা হয়েছে। তা হল- কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়া।
করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাজ্যগুলিকে একাধিক জিনিসের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির পরামর্শ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর