মরার ওপরে খাড়ার ঘা! ঘনিয়ে আসা ঘূর্ণাবর্তের জেরে বানভাসী দক্ষিণবঙ্গের যেসব জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা
দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টি থেমে এখন তা শুরু হয়েছে উত্তরবঙ্গে। তবে বন্যা থেকে রেহাই নেই। দামোদর অববাহিকা অঞ্চলে বেশি বৃষ্টির কারণে ডিভিসর জলাধার থেকে প্রতিদিনই প্রচুর পরিমাণে জল ছাড়া হচ্ছে। যেই কারণে পূর্ব বর্ধমান, হাওড
দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টি থেমে এখন তা শুরু হয়েছে উত্তরবঙ্গে। তবে বন্যা থেকে রেহাই নেই। দামোদর অববাহিকা অঞ্চলে বেশি বৃষ্টির কারণে ডিভিসর জলাধার থেকে প্রতিদিনই প্রচুর পরিমাণে জল ছাড়া হচ্ছে। যেই কারণে পূর্ব বর্ধমান, হাওড়া ও হুগলি জেলার কোনও কোনও জায়গায় নতুন করে বন্য পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। তবে এরইমধ্যে নতুন করে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। জানিয়েছে হাওয়া অফিস (weather office)।
উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের হিমালয় সংলগ্ন পাঁচ জেলা দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের কোনও কোনও জায়গায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। তুলনায় উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং মালদহে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
দক্ষিণবঙ্গের ৪ জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা
উত্তর বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত থেকে নিম্নচাপের জেরে দিন দুয়ের ভারী বৃষ্টি হয় গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। এখন সেই জেলাগুলির পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়। সেইসব জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে, হাওড়া, হুগলি, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। এর মধ্যে ঘাটালের অবস্থা খুবই খারাপ। এরই মধ্যে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের ওপরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে চলেছে। তবে তার থেকে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এই ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে ৪ ও ৫ অগাস্ট নাগাদ দক্ষিণবঙ্গের চার জেলা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। তবে এই ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে কলকাতায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। সেখানে হাল্কা থেমে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা( ডিগ্রি সেলসিয়াস)
ব্র্যাকেটে আগের দিনের তাপমাত্রা
আসানসোল
২৫.১
(২৪.২)
বালুরঘাট
২৬.৩
(২৬.৬)
বাঁকুড়া
২৫
(২৪)
ব্যারাকপুর
২৬.৪
(২৮.২)
বহরমপুর
২৫
(২৪.৬)
বর্ধমান
২৫.৪
(২৪.৪)
ক্যানিং
২৫
(২৪.৬
)
কোচবিহার
২৭.১
(২৬.১)
দার্জিলিং
১৬.৪
(১৬.৪)
দিঘা
২৭.৭
(২৭.৬)
কলকাতা
২৭.১
(২৬.২)
মালদহ
২৭.১
(২৫.৯)
পানাগড়
২৬.৫
(২৫)
পুরুলিয়া
২৪.১
(২৩.৬)
শিলিগুড়ি
২৫.৭
(২৫.১)
শ্রীনিকেতন
২৫.৬
(২৪.৮)
বেশি বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গে
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত বাংলায় যে বৃষ্টি হয়েছে, তাতে দক্ষিণবঙ্গে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। সাম্প্রতিক উত্তর বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে যে বৃষ্টি হয়েছে, তাতে দক্ষিণবঙ্গে ৩১৯ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে কলকাতায় হয়েছে আরও বেশি। ৩৬২ শতাংশ। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে সেখানে এখনও পর্যন্ত বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে প্রায় ১৫ শতাংশের মতো। সেই সময়ে দক্ষিণবঙ্গে বেশি বৃষ্টি হয়েছে ২৭ শতাংশের মতো।