বৃষ্টিতে ভিজল গরমে 'ক্লান্ত' তিলোত্তমা! মরশুমের প্রথম কালবৈশাখীর তাণ্ডবে মৃত দুই
প্রবল দাবদাহে ক্লান্ত কলকাতাও ভিজল বৃষ্টিতে। ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও তেমনটা হয়নি। তবে কয়েকটি জেলাতে ব্যাপক কালবৈশাখীর দাপট দেখা গিয়েছে। উত্তরবঙ্গ তো বটেই, দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলাতে ৪০ থেকে ৫০ কিমি বেগে ঝড় বয়ে গিয়েছ
প্রায় দুমাসের অপেক্ষা শেষে স্বস্তির বৃষ্টি বাংলায়! প্রবল দাবদাহে ক্লান্ত কলকাতাও ভিজল বৃষ্টিতে। ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও তেমনটা হয়নি। তবে কয়েকটি জেলাতে ব্যাপক কালবৈশাখীর দাপট দেখা গিয়েছে। উত্তরবঙ্গ তো বটেই, দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলাতে ৪০ থেকে ৫০ কিমি বেগে ঝড় বয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
বিশেষ করে বীরভুমের দুবরাজপুর, বাঁকুড়া, বর্ধমান সহ একাধিক জেলাতে এই দাপট দেখা গিয়েছে।
ক্ষয়ক্ষতির খবর সামনে আসছে
মরশুমের প্রথম কালবৈশাখী বঙ্গে আছড়ে পড়তেই বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্ষয়ক্ষতির খবর সামনে আসছে। রাজ্যের একাধিক জেলাতে গাছ পড়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যার ফলে বিদ্যুৎহীন বেশ কয়েকটি জায়গা। এছাড়াও দুবরাজপুরে ঝড়ের দাপটে বেশ কয়েকটি বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে বলেও খবর। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সিউড়িতেও। তবে ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর সামনে আসেনি। ঘটনাস্থলে প্রশাসনের আধিকারিকরা। খতিয়ে দেখা হচ্ছে ক্ষয়ক্ষঅতির পরিমান।
এখনও পর্যন্ত দুজনের মৃত্যুর খবর
যদিও কালবৈশাখীর দাপটে এখনও পর্যন্ত দুজনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। জানা যাচ্ছে, গাছের ডাল ভেঙে পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। কাটোয়ার কেতুগ্রামে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে খবর। মৃত ওই কিশোরীর নাম মৌসুমী খাতুন বলে খবর। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, কয়েকজন পাড়ার শিশুর সঙ্গেই খেলছিল মৌসুমি। হঠাত করেই কালো মেঘে ঢেকে যায় আকাশ। শুরু হয় কালবৈশাখীর দাপট। আর সেই সময়ে মৌসুমির উপর একট গাছের ডাল ভেঙে পড়ে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে ওই কিশোরীকে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
এলাকায় শোকের ছায়া
অন্যদিকে কৃষ্ণনগর থেকেও মৃত্যুর খবর সামনে আসছে। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে কাছে রেল ব্রিজে একটি গাছ পড়ে একজনের মৃত্যুর খবর সামনে আসছে। জানা যাচ্ছে, স্কুটি নিয়ে জাতীয় সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি। হঠাত ঝড় ওঠায় রাস্তার পাশেই দাঁড়ান ওই ব্যক্তি। আর সেই সময়ে হুড়মুড়িতে একটি গাছের ডাল ভেঙে পড়ে ওই ব্যক্তির উপর। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
ঘটনায় নেমে এসেছে এলাকায় শোকের ছায়া।
ব্যাহত হয় রেল লাইনে
অন্যদিকে কালবৈশাখীর কারণে ব্যাহত হয় কাটোয়া শাখার রেল লাইনে। মূলত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার কারণে ওই লাইনে থমকে যায় রেল চলাচল। আটকে যায় একের পর এক লোকাল। ফলে বাড়ি ফিরতে গিয়ে সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় নিত্যজাত্রীদের। শুধু ওই শাখাতেই নয়, মেন লাইনেও ঝড় বৃষ্টির কারণে সাময়িক সমস্যা হয় ট্রেন চলাচলে।
এই অবস্থায় আগামী ২৪ ঘন্টায় দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলাতে ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ফলে মানুষকে সাবধান থাকার কথা বলা হয়েছে।