ফের ঘূর্ণাবর্তের ভ্রুকুটি! সপ্তাহের শুরুতেই বাংলা জুড়ে আবহাওয়ার কোন পরিবর্তন
শনিবারের মতোই রবিবারেও সকাল থেকেই কুয়াশার দাপট। এদিন কলকাতার ন্যূনতম তাপমাত্রা ছিল শনিবারের থেকেও কম। শনিবার ন্যূনতম তাপমাত্রা ছিল ১৪. ১ ডিগ্রি। আর রবিবার তার ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে দিন বাড়তেই তাপমাত্রা বেড়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সোমবার ও মঙ্গলবার তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।


দক্ষিণ অসম ও সংলগ্ন এলাকায় ঘূর্ণাবর্ত
হাল্কায় থেকে মাঝারি মানের কুয়াশা দার্জিলিং, জলপাইগুড়িতে দেখা গিয়েছে। এছাড়া কোচবিহার ও মালদেহর কোনও কোনও জায়গায় ঘন কুয়াশা দেখা গিয়েছে। মধ্যমমানের কুয়াশা দেখি গিয়েছে বীরভূম এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে এদিন তাপমাত্রা বেড়েছে। হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের কোনও কোনও জায়গায় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশি ছিল। শনিবার যে ঘূর্ণাবর্ত উত্তর পূর্ব বাংলাদেশ এবং সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছিল, তা এদিন দক্ষিণ অসম এবং সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া
রবিবার দুপুরে দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘন্টায় উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। আগামী তিন থেকে চারদিন হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গে রাতের তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন হবে না। তবে উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলাতেই ঘন কুয়াশার সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘন্টায় কুয়াশার জেরে দৃশ্যমানতা ২০০ মিটারের কমে নেমে যেতে পারে।

দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘন্টায় গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে আবহাওয়া শুকনো থাকবে। আগামী দু থেকে তিনদিন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে রাতের তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন হবে না। তবে আগামী ৪৮ ঘন্টায় দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলাতেই ঘন কুয়াশা দেখা দিতে পারে। যার জেরে দৃশ্যমানতা ৫০ মিটারে নেমে যেতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা( ডিগ্রি সেলসিয়াস)
আসানসোল ২৫.৩
বালুরঘাট ২০.৮
বাঁকুড়া ২৬.৪
ব্যারাকপুর ২৩.২
বহরমপুর ২২.২
বর্ধমান ২৩.৫
ক্যানিং ২৫
কোচবিহার ২৫.৬
দার্জিলিং ১১
দিঘা ২৬.৭
কলকাতা ২৩
মালদহ ১৯.৮
পানাগড় ২৫
পুরুলিয়া ২৬.৭
শিলিগুড়ি ২৪.৭
শ্রীনিকেতন ২৩.২
দিল্লির এইমসে ভর্তি লালু প্রসাদ যাদব, পাশে রয়েছে স্ত্রী সহ গোটা পরিবার