বাংলায় হাড়কাঁপানো শীত অগ্রহায়ণের শুরুতেই! পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়ার রিপোর্ট একনজরে
শীতের দিনে মেঘলা আকাশে বাঙালির মেজাজে খানিকটা বিরক্তি এসেছিল। সকালে কুয়াশা আর রাতের বৃষ্টিতে সেভাবে সূর্যের দেখা মেলেনি। এবার আবহাওয়ার রিপোর্ট বলছে, শেষমেশ নভেম্বরের শেষের দিক থেকেই সম্ভবত উলের পোশাক বের করতে হবে বাঙালিকে! দেখে নেওয়া যাক পশ্চিমবঙ্গের (west bengal) এর আবহাওয়ার রিপোর্ট কী বলছে।
ঘূর্ণাবর্তের বাধা কাটিয়ে শীত!
এতদিন ঘূর্ণাবর্তের জেরে শীত প্রবেশ করতে পারেনি বাংলায়।এবার সেই বাধা কাটিয়ে অগ্রহায়ণের চেনা বাংলা ধীরে ধীরে শীতের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছে। আজ ৬ অগ্রহায়ণের পর থেকে নামতে তলেছে তাপাত্রার পারদ। এমনই খবর আবহাওয়া দফতর সূত্রে।আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী আগেই জানানো হয়েছে, বৃষ্টির হাত ধরে বাংলায় নামবে শীত। আর তা সম্ভবত আসতে চলেছে।
২৩ নভেম্বর আবাহাওয়ার মোড় ঘুরতে চলেছে!
আবহাওয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী সোমবার ২৩ নভেম্বর থেকেই রাজ্যে প্রবল ঠান্ডা জাঁকিয়ে পড়তে পারে। শীতের আমেজ ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক জায়গায় ভোরবেলা থেকেই বোঝা যাচ্ছে। সকালের তাপমাত্রা শুক্রবার সকাল থেকেই কম, সঙ্গে রয়েছে কুয়াশা।
আজকের তাপমাত্রা
এদিন রাজ্যে তাপমাত্রা এক লাভে ২০ ডিগ্রির আশপাশে ঘোরা ফেরা করছে। আজকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির আশপাশে ঘুরছে।
বৃষ্টির খবর, শীতের খবর
শনিবারের মতো সেভাবে এদিন বৃষ্টি পড়বে না। তবে শীত ঢুকতে শুরু করবে রবিবার কিম্বা সোমবার থেকেই। এতদিন বৃষ্টির জন্য শীত বাধা পেয়ছে রাজ্যে। জানা গিয়েছে, শ্রীলঙ্কার উপকূলে তৈরি নিম্নচাপ শক্তি শালী হচ্ছে। তার টানে উত্তুরে বাতাস আরও শক্তি বাড়াবে। ফলে ঠান্ডা পড়ার প্রবণতা বাড়ছে। সকালের দিকে ঘন কুয়াশার প্রভাব থাকবে। তবে মেঘ কেটে গেলেই শীত।
উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা( ডিগ্রি সেলসিয়াস)
দার্জিলিংয়ে সর্বনিম্ন ৫. ৫১ ডিগ্রি তাপমাত্রা রয়েছে। মালদায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রয়েছে ১৯. ৮ ডিগ্রি সেলিয়াস। বহরমপুরে ২০.৯১ ডিগ্রি রয়েছে তাপমাত্রা। বাঁকুড়াতে ১৭. ৬ ডিগ্রি , রৌদ্রউজ্জ্বল পুরুলিয়াতে তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির আশাপশে। খড়গপুরে তাপমাত্রা ২১ . ৪ , ক্যানিংয়ে ২২ ডিগ্রি তাপমাত্রা রয়েছে।